হাংরি আন্দোলন: সাহিত্যের স্বকীয় অভিসন্দর্ভ
অনেকদিন বাদে মলয় রায় চৌধুরী পড়তে ঘাঁটছিলাম । তাঁর ‘প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কবিতাটা ‘ইলেক্ট্রিফায়িং ! আগে অনেকবার পড়লেও বিষয়বস্তুর দৃষ্টিকোনে কোথাও শেয়ার বা অপাত্রে আলোচনা করতে ইচ্ছে হয়নি । এটা ‘নৈবেদ্য কবিতা’ ।
মলয় রায় চৌধুরীর জেল-জরিমানার কবিতা এই ‘প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’! যে জন্য তাঁর হাতকড়া পড়েছিল এবং চোর-ছেঁচড়াদের সাথে কারাভোগ করতে হয়েছিল । একই সাথে পূণঃপাঠ করলাম সাহিত্যে কাল্ট মুভমেন্ট (১৯৬১-১৯৬৫) ‘হাংরি আন্দোলন’ বা ‘হাংরি জেনারেশন’ ও এর ডিসকোর্স নিয়ে যার ফলশ্রুতি এই কবিতা । যেখানে ছিল এস্টাবলিশমেন্ট বিরোধী এক অনন্যডিসকোর্স । যাকে গবেষকরা বলেন- “দর্শন-পরিসর, প্রতিপ্রশ্ন-প্রক্রিয়া,অভিজ্ঞতা-বিন্যাস, প্রকল্পনার মনোবীজ, জ্ঞান পরিমণ্ডল, ভাষা-পরাভাষা, বাচনিক নির্মিতি, উপস্হাপনার ব্যঞ্জনা, মানবিক সম্পর্ক বিন্যাসের অনুষঙ্গ,কৌমসমাজের অর্গল, দেশজ অধিবাস্তব পরিবর্ধন ক্রিয়া” ।
প্রসঙ্গত: ১৯৫৩ সালে গ্রেট ব্রিটেনে এ. আলভারেজ ও তাঁর অন্যান্য দোসরদের ঐতিহাসিক ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’গ্রুপ, যাঁরা চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের প্রজন্মের প্রতিস্ব নির্মাণের উপাদান ও লক্ষণগুলোর কার্যকারণের সামাজিক-দার্শনিক ভিত্তি খুঁজে বের করার; যখন সবে তাঁদের দেশ ভারত মহাদেশ থেকে দর্পচূর্ণ হয়ে ফিরেছিল, যা ছিল তাদের আর্থরাজনৈতিক স্খলনের সূত্রপাত । একই সঙ্গে স্বরণ করা হয় আমেরিকার ‘বিট জেনারেশন’ এর কথা । এসবের মৌল চেতনা ও অনুরননে তৈরি হয়েছিল ‘হাংরি আন্দোলনে’র প্রারম্ভিকা, যা সমকালীন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের এস্টাবলিশমেন্টকে ভীষনভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন । হাংরি আন্দোলনের মূলে ছিলদেশভাগে পশ্চিমবাংলার পুঁজিকাঠামোয় তীব্র আঘাত । এর সাথে যুথবদ্ধও ছিলেন অনেক বিখ্যাত পশ্চিমবঙ্গীয় সাহিত্যিক । শক্তি চট্টোপাধ্যায়, উৎপল কুমার বাসু, বিনয় মজুমদার, ফালগুনি রয় সহ অনেক বিদগ্ধজন । যদিও ‘অ্যাংরি, বিট জেনারেশন ও হাংরি মুভমেন্টের কিছু ফেলোসফিক্যাল পার্থক্য রয়েছে এবং পরবর্তীতে শক্তি’সহ অনেকে এ আন্দোলন থেকে সরে পড়েছিলেন । তথাপি আন্দোলনগুলো সাহিত্যে একেকটি স্বকীয় জায়গা করে নিয়ে সাহিত্যকে নতুন করে পরিসর নিতে সহায়তা করেছে ।
উৎসুক পাঠক যারা এখনও ‘প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ পড়ে উঠেননি । খুঁজে-টুজে পড়ে নেন ।
অনেকদিন বাদে মলয় রায় চৌধুরী পড়তে ঘাঁটছিলাম । তাঁর ‘প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কবিতাটা ‘ইলেক্ট্রিফায়িং ! আগে অনেকবার পড়লেও বিষয়বস্তুর দৃষ্টিকোনে কোথাও শেয়ার বা অপাত্রে আলোচনা করতে ইচ্ছে হয়নি । এটা ‘নৈবেদ্য কবিতা’ ।
মলয় রায় চৌধুরীর জেল-জরিমানার কবিতা এই ‘প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’! যে জন্য তাঁর হাতকড়া পড়েছিল এবং চোর-ছেঁচড়াদের সাথে কারাভোগ করতে হয়েছিল । একই সাথে পূণঃপাঠ করলাম সাহিত্যে কাল্ট মুভমেন্ট (১৯৬১-১৯৬৫) ‘হাংরি আন্দোলন’ বা ‘হাংরি জেনারেশন’ ও এর ডিসকোর্স নিয়ে যার ফলশ্রুতি এই কবিতা । যেখানে ছিল এস্টাবলিশমেন্ট বিরোধী এক অনন্যডিসকোর্স । যাকে গবেষকরা বলেন- “দর্শন-পরিসর, প্রতিপ্রশ্ন-প্রক্রিয়া,অভিজ্ঞতা-বিন্যাস, প্রকল্পনার মনোবীজ, জ্ঞান পরিমণ্ডল, ভাষা-পরাভাষা, বাচনিক নির্মিতি, উপস্হাপনার ব্যঞ্জনা, মানবিক সম্পর্ক বিন্যাসের অনুষঙ্গ,কৌমসমাজের অর্গল, দেশজ অধিবাস্তব পরিবর্ধন ক্রিয়া” ।
প্রসঙ্গত: ১৯৫৩ সালে গ্রেট ব্রিটেনে এ. আলভারেজ ও তাঁর অন্যান্য দোসরদের ঐতিহাসিক ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’গ্রুপ, যাঁরা চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের প্রজন্মের প্রতিস্ব নির্মাণের উপাদান ও লক্ষণগুলোর কার্যকারণের সামাজিক-দার্শনিক ভিত্তি খুঁজে বের করার; যখন সবে তাঁদের দেশ ভারত মহাদেশ থেকে দর্পচূর্ণ হয়ে ফিরেছিল, যা ছিল তাদের আর্থরাজনৈতিক স্খলনের সূত্রপাত । একই সঙ্গে স্বরণ করা হয় আমেরিকার ‘বিট জেনারেশন’ এর কথা । এসবের মৌল চেতনা ও অনুরননে তৈরি হয়েছিল ‘হাংরি আন্দোলনে’র প্রারম্ভিকা, যা সমকালীন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের এস্টাবলিশমেন্টকে ভীষনভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন । হাংরি আন্দোলনের মূলে ছিলদেশভাগে পশ্চিমবাংলার পুঁজিকাঠামোয় তীব্র আঘাত । এর সাথে যুথবদ্ধও ছিলেন অনেক বিখ্যাত পশ্চিমবঙ্গীয় সাহিত্যিক । শক্তি চট্টোপাধ্যায়, উৎপল কুমার বাসু, বিনয় মজুমদার, ফালগুনি রয় সহ অনেক বিদগ্ধজন । যদিও ‘অ্যাংরি, বিট জেনারেশন ও হাংরি মুভমেন্টের কিছু ফেলোসফিক্যাল পার্থক্য রয়েছে এবং পরবর্তীতে শক্তি’সহ অনেকে এ আন্দোলন থেকে সরে পড়েছিলেন । তথাপি আন্দোলনগুলো সাহিত্যে একেকটি স্বকীয় জায়গা করে নিয়ে সাহিত্যকে নতুন করে পরিসর নিতে সহায়তা করেছে ।
উৎসুক পাঠক যারা এখনও ‘প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ পড়ে উঠেননি । খুঁজে-টুজে পড়ে নেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন