শুক্রবার

সুপ্রীতি বর্মনের নসিহত : প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার

 সুপ্রীতি বর্মণ গঙ্গোপাধ্যায়ের নসিহত : প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার

কলঙ্কভাগের আলাপচারিতায় নিষিদ্ধ রমণীকামসূত্র বিধ্বংসী ক্ষুধার্ত আলোড়নে যখন গৃহস্থের লজ্জাশ্রী গরাদের দোহন ছেড়ে উন্মুক্ত সৌন্দর্য এ প্রণয়দগ্ধ কুসুমে প্রস্ফুটিত হবার ক্রোড় খুঁজে পায় তখন তোমার দেখা মেলে!!!!

@####লজ্জাই নারীর আভূষণ এই চিরাচরিত রক্ষণশীল ছাঁচে আধমরা যেসব বুভুক্ষু হ্যাংলা জিহ্বার সঙ্গম দোসর হয়ে স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের ছলাকলায় উদ্বিগ্ন কোলাহলে খুঁজে বেড়ায় ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত জঠর পোড়াধরা প্রেমিকের আত্মতৃপ্তি রমণ উল্লাস লহরী উদ্দাম চঞ্চল চন্দ্র ও চকোরের খাওয়াখাওয়ি তখন তোমার দেখা মেলে!!!!

@####সঙ্গম সহবাস কিংবা রমণ উল্লাস যা দরজার কপট কটাক্ষের আড়ালে শুধুমাত্র রাতবাসের রঙরাসহেমাঙ্গিনীমোহ রসের ধারাস্নান সেটা যে নয় কিংবা বেশ্যাবৃত্তির প্রতি রক্তচক্ষু শাপিত পৈশাচিক ধর্ষকামী একঘরে থেকে যাবার আচরণ নোংরা বোধে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বিধ্বস্ত উদ্বাস্তু শারীরিক পেষণ অখণ্ড উলঙ্গিনী নিরাভরণ প্রাঞ্জল অধ্যায় নিষিদ্ধ নিখাদ দ্রষ্টব্য প্রকরণ সেটার খোলস উন্মোচন সোহাগের ঊর্ণনাভ জাল তুমি আমি যখন তখন আদ্যোপান্ত আদিম আস্কারা আদি থেকে অন্ত নেই কোন ভ্রূক্ষেপ নেই কোন পিছুটান প্রতিবন্ধকতার শুধুই অনন্ত আস্কারার মিলন তোমার হাংড়ির ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত মিলন তখন তোমার দেখা মেলে!!!!

যখন প্রথম প্রথম লেখার জগতে এসে পড়ি কোন প্লান কিংবা প্রোগ্রাম ছাড়াই শুধুমাত্র জটিল ধাঁধা ও উদ্বিগ্ন কোলাহলের ঝড় থেকে নিজের ক্ষুদ্রনীড় কে আগলে নিজের করে ধরে রাখতে নগণ্য সামর্থ্য এ তখন এলোপাথাড়ি এলোকেশ বিধ্বস্ত উদ্বাস্তু অস্তিত্ব নিজের আবেগ নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া থেকে সংরক্ষণের জন্য কলম ধরে মহীরুহ হতে নিজের মূল্য নিজেই নিজের জন্য খুঁজে নিতে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে ক্রমবিবর্তনের শেকড়বাকড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আস্থা কে প্রগাঢ় ইচ্ছার কালজয়ী স্রোতে টিকিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছি কোন প্রত্যাশা ছাড়া।

এমতাবস্থায় আকস্মিক এই পদার্পণের চরণে ছিল শুধুমাত্র শৈল্পিক শৃঙ্গার রস এবং প্রখর ক্ষুধার নির্লিপ্ত নির্লজ্জ উপোসি ভোগ যা করাতলগত স্পৃহা হয়ে কিছুতেই সম্পূর্ণ হয়না শুধু বাড়তেই থাকে দিন প্রতিদিন কারণ ঠেলাগোঁজা এই দায়বদ্ধকতার জীবন তার একরত্তি পোষায় না তাই রক্রমাংসে লাস্যময়ী হয়ে অজন্তা ইলোরায় সম্পূর্ণ রূপে গ্রন্থিত হয়ে যেতে চায় আমরণ আজন্মসাধন রমণসূত্রে যেখানে কামরূপরসগন্ধবর্ণের এক অপরূপ সঙ্গমের অলেখ্য জোয়ার অহর্নিশি বয়েই চলে কোন বিরাম নেই।

কিন্তু নির্দিদ্ধায় সেই পদক্ষেপ নিতে গিয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে কুরুচিকর ব্যক্তিগত আক্রমণের উল্টোপাল্টা তীর্যক মন্তব্য এর আঁচড়কাটা অসহ্য আগুন ও রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকে। তোমাকে ছিঁড়তে থেকে বিকলাঙ্গ শ্যাওলা পড়া অপ্রচলিত একঘেঁয়ে নৈঃশব্দ্য শীৎকার যাপনঘুম গার্হস্থ্য এর অস্তিত্বের চিড় খাওয়া অসঙ্গত আসক্তির রোষানলে শুধুই উন্মাদনার শিহরণ জাগায়। এমতাবস্থায় দীর্ঘায়িত কাব্যশৈলীর আলাপনে প্রায় সকলেই এই নিষিদ্ধ করে দেওয়া তথাকথিত বস্তুসেবন বর্জ্যপদার্থের আগলেই ঠেলেগুঁজে দিতে থাকে উচ্ছিষ্ট করে। তবুও নীড় ছোট আস্থা অগাধ আত্মস্থ ক্ষুধার দর্পণ ভাঙাচোরা অস্তিত্ব কে স্পর্ধা দেয় সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে এক অবাধ্য জেদী মননে এক আলোকবর্ষ দূরে শুধুমাত্র প্রণয় তোমাকে অশ্লীলতার দায়ে আত্মসাৎ এর হাত থেকে উদ্ধার করার দায়ে ছুটে চলেছে হাজার হাজার কিংবা কোটি কোটি শুক্রাণু ডিম্বাণুর ঘোটকদৌড় পরস্পর অবাধ উলঙ্গ শুদ্ধসত্ত্ব সহজিয়া মিলন ঘটাতে।

   "সোহাগ প্রজাপতির ফুলশয্যা" এই কাব্যগ্রন্থ যার মূল বিষয় হচ্ছে "সহবাস ও সঙ্গম" সম্পাদনা ও প্রকাশ করার চক্করে আমাকে একাই অনেক ঝড়ঝাপটা সহ্য করে এগিয়ে যেতে হয়েছে কারোর কোন সহযোগিতা ছাড়া। এই কাব্যগ্রন্থ কে অনেকেই অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত করেছে আর আমি মেয়ে হয়ে কেন এমন নিষিদ্ধ অশ্লীল অশুচি বিষয় নির্বাচন করেছি তার জন্য অনেক বিরূপ কটাক্ষের তির্যক বাণ এ দগ্ধ করে গেছে যার শিকার আমাকে হতে হয়েছে। তার পাশাপাশি সেই নির্দিষ্ট বিষয়ে যত তাবড় তাবড় কবি থেকে শুরু করে ছোটখাটো সদ্য উৎপন্ন কবির কাছ থেকে শুধু না লিখতে চাওয়া ও পারার অক্ষমতা গ্রহণ করে যেতে হয়েছে। যাদের কে হন্যে হয়ে প্রখর দুশ্চিন্তার সঙ্গদোষে যা হোক করে খুঁজে আনা হয়েছে এবং পরিশেষে তাদের এই বিষয়ে লিখতে গিয়ে কালঘাম ছুটে গেছে। তবুও আমার মন পরিপূর্ণ আস্বাদন ভোগ করে উঠতে সক্ষম হয়নি কারণ বেশ কিছুজনের লেখা অসমাপ্ত রসে আটকে থেকে পূর্ণতা পায়নি স্রষ্টার কমলাক্ষরের স্পর্শ কিছু কিছু অংশেই সম্পূর্ণ হয়েছে আর বেশ কিছুজনের অপরিপূরক মননশীলতায় বন্ধ্যা রমণগুণ উৎসারিত হয়েছে।

মলয় দা কে বলেছিলাম এই ব‌ইয়ের সম্পাদকীয় লিখে দিতে তখন আশ্চর্য লেগেছিল যে উনি আমাকে বলেছিলেন যে তুই লেখ নিজেই এর সম্পাদকীয় সেটাই বরং সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। এই কথা শুনে কেমন করে যেন একটা কঠোর দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ প্রাণে আত্মবিশ্বাস নিয়ে লিখে গিয়েছিলাম সম্পূর্ণ এক ব্যতিক্রমী সম্পাদকীয় অন্য কারোর অপেক্ষা না করে।

আমার লিখনশৈলীর অলঙ্করণ ও তার বিধিবদ্ধ ধারা থেকে বেরিয়ে গিয়ে এক জটিল দ্বন্দ্বের ঊর্ণনাভ জাল বোধগম্য এর উর্ধ্বে থাকা ঊষর মরুভূমির মরীচিকা অগ্নিস্নান হবার প্রবণতা অগ্নিমান্দ্য জঠরে তার আশ্রয় তাই সেই সূত্র অনেকের গলাধঃকরণ কিংবা হজমের বাইরে চলে গেছে সেই কারণে আমাকে অনেকেই কানেকামড়ে বোঝানোর চেষ্টা করে গেছে যেন সেই পথ ব্যতিরেকে আমি আড়ষ্ট করে নিজের ব্যতিক্রমী সত্তা কে চাপা দিয়ে ঢুকে পড়ি চিরাচরিত অভ্যাসের গোয়ালে যাতে আমাকে গ্রহণ করা যায় মগজ ধোলাই ছেড়ে অবোধ শিশুর স্বভাবসুলভ সহজ আচরণে সঙ্কটাপন্ন আমার সৃষ্টির কালঘামে কিন্তু আমি সেটাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে আমার ভ্রমরভ্রামরী বিলাস চালিয়ে গেছি।

তখন মলয় দা আমার এই সিগনেচার স্টাইলে  নিজের বিশেষ ক্রোড়পত্রে অংশগ্রহণ করে আমাকে লেখার অনুরোধ জানায়। শুধু তাই নয় সেই প্রসঙ্গে অনেকবার আমি লিখতে অস্বীকার করলেও উনি বারবার বলে গেছেন আমিই লিখতে পারবো আর আমার ঐ সিগনেচার স্টাইল উনি নিতে চান কারণ আমার ঐ স্টাইলের স্বকীয়তার সৃজন শৃঙ্গার রস ব্যতিক্রমী তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করে যা তিনি উৎকন্ঠায় প্রখর আগ্রহী হয়ে পেতে চান তাই আমাকেই এই প্রসঙ্গে লিখতে হবে। অন্য আর পাঁচজন প্রতিষ্ঠিত কিংবা গবেষকের পাশাপাশি আমার এই নিজস্ব আত্মোপলব্ধির গবেষণা করতে পারা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমার কাছে। তার প্রেমের একগুচ্ছ কবিতার সংগ্রহশালার মধ্যে থেকে আমার অবাধ বিচরণে নিজের ইচ্ছায় নির্বাচিত কবিতাগুলোর বিশ্লেষণী পর্যালোচনা দমদম জংশন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।এ যেন আমার এক স্বকীয়তার প্রোথিতদশার আলোড়ন।

এখন যদি কাউকে সে কথা অকপট প্রকাশ্যে বলি গর্বের সাথে তখন কেউ কেউ বলে উঠে তোমাকে তো কেউ একজন শক্তি হয়ে উৎসাহ ও উচ্ছ্বসিত আত্মপ্রকাশ এর মোক্ষমার্গ দিয়ে তোমার সাফল্য প্রশস্ত করেছে আর তাতেই তোমার প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পেরেছে যা আর পাঁচজনের কপালে জোটে না।

এই প্রসঙ্গে এই পরশ্রীকাতরতার প্রতিবাদে আমি বলতে চাই যে যে কেউ হোক না কেন তাকে তখনি কেউ উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দিতে পারবে কিংবা তাকে খুঁজে এনে প্রতিষ্ঠার সোপানে উন্নীত করতে পারবে যদি তার মধ্যে সেই কঠোর অস্তিত্ব এর ঔজ্জ্বল্য এর দ্যুতি থাকে আগে থেকে তার অন্তরে প্রতিপালিত হবার চরণে না হলে যত‌ই তাকে ঠেলে গুঁজে নিয়ে যাওয়া হোক তবুও ক্ষমতার অভাবে পথের মাঝে একদিন না একদিন হোঁচট খেয়ে সে পড়বেই কোনদিন এগিয়ে যেতে পারবে না আর যদি কোনক্রমে এগিয়েও যায় তবুও নিরেট শূন্য‌অন্ধবন্ধভগ্নাংশ হয়ে আটকে থাকবে কোটরগত অসমাপ্ত চাহিদায় অসম্ভব প্রত্যাশায়।

আমি তাই চাই এই প্রসঙ্গে যে প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতাশালী অভিব্যক্তিরা এগিয়ে এসে সেই উপযুক্ত খোঁজের সন্ধান করে যান যাতে যারা সত্যিকারে যোগ্য তারা যেন তাদের সঠিক মূল্য পায় ঔচিত্য বোধে যাতে অকালে তারা কোনদিন অবসাদগ্রস্থ চিত্তে যেন হারিয়ে না যায়। তবেই আমাদের শিল্প শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চার সঠিক মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ হবে না হলে আপামর ব্রতী সকলে অসমাপ্ত প্রশ্নের চাহিদার উপাস্য অনুশোচনা কাকতাড়ায়ু হয়ে অপেক্ষমাণ থেকে যাবে শমনের দীর্ঘশ্বাসের যন্ত্রণায়।

চিরাচরিত প্রতিষ্ঠার কিংবা প্রতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধকতার আচার ও শৃঙ্খলাদাসত্বপ্রথার হাড়গোড়ভাঙা মেনে নেওয়া ও মানিয়ে নেওয়ার অন্তর্দ্বন্দ্ব এর দলাইমালাই নিষ্পেষণ এবং খাওয়াখাওয়ি ত্যাগ করে কঠোর পরিশ্রম ও সংযমী মননে যারাই আজ পর্যন্ত কঠোর সংগ্রামে ব্রতী হয়ে এসেছে আজন্মসাধন তপস্যায় তাদেরকেই সবচেয়ে বেশি বিরুদ্ধাচরণ ও ব্যভিচারী উৎখাত হয়ে যাবার কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। মলয় রায় চৌধুরী সেই প্রসঙ্গে ব্যতিক্রমী নয়। তাকেও অনেককিছু সহ্য ও সহ্যাতীত গ্রহণের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে হয়েছে ঐ আলোকবর্ষ দূরে সেই স্বর্গীয় প্রশান্তি ও সৌন্দর্য মোক্ষের সন্ধানমার্গে। অনেক না মেনে নেওয়া পোস্ট তাই খাওয়াখাওয়ির এবং রিপোর্টের শিকার হয়েছে অবশ্য এই প্রসঙ্গে আমরা কেউই তার ব্যতিক্রমী নয়। সকল কে সত্যের অগ্ন্যুৎপাত এর ভিতরে প্রবেশ করতেই হয় সততার দাম দিতে গিয়ে এক অগ্নিপরীক্ষা এটাই তার ভবিতব্য।

আমাদের অস্তিত্ব তো এমনিতেই ঠেলেগুঁজে থ মেরে বসে থাকা ঠনঠনে গরুর গাড়ি সেখানে যদি সবসময় চুপটি করে মুখে আঙুল দিয়ে সুবোধ বালক হতে হয় তাহলে তো সমগ্র অস্তিত্ব গুলিয়ে উঠবে বীর্যস্খলন শিলান্যাসে ঝুলবারান্দার উলালিঝুলালির অন্দরমহলে।

সেক্ষেত্রে সঙ্গমের ফলশ্রুতি নপুংসক দশায় কালাশৌচ যাপনে ক্ষয় হয়ে নগ্নীকরণ লগ্নিকরণেরহিসেবনিকেশ খাতায় অবশিষ্টভগ্নাংশের মড়ক দশায় ঝুলে থাকবে।

মলয় দার একটা কবিতা আমার প্রথম দিন থেকে সবচেয়ে বেশি প্রিয় যা আমি যতবার পড়ে যাই ততবার এক একগুঁয়ে জেদী প্রেমিকের স্বগতোক্তির উচ্চারণে উত্থিত যৌবন ও বীর্যবিলাসিশৌর্যে সমর্পণ তার প্রেমিকার কাছে সোহাগের প্রতিশ্রুতি প্রণয়দগ্ধ অঙ্গীকারে অঙ্গাঅঙ্গি আদরে আবদারে কর্ষণ ও রমণ উল্লাসে উচ্ছ্বসিত হতে থাকে যার নাম "প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার",,,,,,,

চন্দ্রমুখী তে প্রকাশিত মলয় রায় চৌধুরীর কবিতা "প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার"

Interpretation Style Segment

কালজয়ী প্রেমের ইতিহাস আক্ষরিক সোহাগ ভূষন।

"প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার"

'ওঃ মরে যাব মরে যাব মরে যাব

আমার চামড়ার লহমা জ্বলে যাচ্ছে অকাট্য তুরুপে

আমি কী কোর্বো কোথায় যাব ওঃ কিছুই ভাল্লাগছে না

সাহিত্য-ফাহিত্য লাথি মেরে চলে যাব শুভা

শুভা আমাকে তোমার তর্মুজ-আঙরাখার ভেতরে চলে যেতে দাও

চুর্মার অন্ধকারে জাফ্রান মশারির আলুলায়িত ছায়ায়

সমস্ত নোঙর তুলে নেবার পর শেষ নোঙর আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে

আর আমি পার্ছিনা, অজস্র কাঁচ ভেঙে যাচ্ছে কর্টেক্সে

আমি যানি শুভা, যোনি মেলে ধরো, শান্তি দাও

প্রতিটি শিরা অশ্রুস্রোত বয়ে নিয়ে যাচ্ছে হৃদয়াভিগর্ভে

শাশ্বত অসুস্থতায় পচে যাচ্ছে মগজের সংক্রামক স্ফুলিঙ্গ

মা, তুমি আমায় কঙ্কালরূপে ভূমিষ্ঠ করলে না কেন ?

তাহলে আমি দুকোটি আলোকবর্ষ ঈশ্বরের পোঁদে চুমু খেতুম

কিন্তু কিছুই ভালো লাগে না আমার কিছুই ভালো লাগছে না

একাধিক চুমো খেলে আমার গা গুলোয়

ধর্ষণকালে নারীকে ভুলে গিয়ে শিল্পে ফিরে এসেছি কতদিন

কবিতার আদিত্যবর্ণা মুত্রাশয়ে

এসব কী হচ্ছে জানি না তবু বুকের মধ্যে ঘটে যাচ্ছে অহরহ

সব ভেঙে চুরমার করে দেব শালা

ছিন্নভিন্ন করে দেব তোমাদের পাঁজরাবদ্ধ উত্সব

শুভাকে হিঁচড়ে উঠিয়ে নিয়ে যাব আমার ক্ষুধায়

দিতেই হবে শুভাকে

ওঃ মলয়

কোল্কাতাকে আর্দ্র ও পিচ্ছিল বরাঙ্গের মিছিল মনে হচ্ছে আজ

কিন্তু আমাকে নিয়ে কী কোর্বো বুঝতে পার্ছিনা

আমার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে

আমাকে মৃত্যুর দিকে যেতে দাও একা

আমাকে ধর্ষণ ও মরে যাওয়া শিখে নিতে হয়নি

প্রস্রাবের পর শেষ ফোঁটা ঝাড়ার দায়িত্ব আমায় শিখতে হয়নি

অন্ধকারে শুভার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়া শিখতে হয়নি

শিখতে হয়নি নন্দিতার বুকের ওপর শুয়ে ফরাসি চামড়ার ব্যবহার

অথচ আমি চেয়েছিলুম আলেয়ার নতুন জবার মতো যোনির সুস্থতা

যোনিকেশরে কাঁচের টুকরোর মতো ঘামের সুস্থতা

আজ আমি মগজের শরণাপন্ন বিপর্যয়ের দিকে চলে এলুম

আমি বুঝতে পার্ছিনা কী জন্য আমি বেঁচে থাকতে চাইছি

আমার পূর্বপুরুষ লম্পট সাবর্ণ চৌধুরীদের কথা আমি ভাবছি

আমাকে নতুন ও ভিন্নতর কিছু কোর্তে হবে

শুভার স্তনের ত্বকের মতো বিছানায় শেষবার ঘুমোতে দাও আমাকে

জন্মমুহুর্তের তীব্রচ্ছটা সূর্যজখম মনে পড়ছে

আমি আমার নিজের মৃত্যু দেখে যেতে চাই

মলয় রায়চৌধুরীর প্রয়োজন পৃথিবীর ছিল না

তোমার তীব্র রূপালি য়ুটেরাসে ঘুমোতে দাও কিছুকাল শুভা

শান্তি দাও, শুভা শান্তি দাও

তোমার ঋতুস্রাবে ধুয়ে যেতে দাও আমার পাততাড়িত কঙ্কাল

আমাকে তোমার গর্ভে আমারি শুক্র থেক জন্ম নিতে দাও

আমার বাবা-মা অন্য হলেও কি আমি এরকম হতুম ?

সম্পূর্ণ ভিন্ন এক শুক্র থেকে মলয় ওর্ফে আমি হতে পার্তুম ?

আমার বাবার অন্য নারীর গর্ভে ঢুকেও কি মলয় হতুম ?

শুভা না থাকলে আমি কি পেশাদার ভালোলোক হতুম মৃত ভায়ের

ওঃ বলুক কেউ এসবের জবাবদিহি করুক

শুভা, ওঃ শুভা

তোমার সেলোফেন সতিচ্ছদের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীটা দেখতে দাও

পুনরায় সবুজ তোশকের উপর চলে এসো শুভা

যেমন ক্যাথোড রশ্মিকে তীক্ষ্ণধী চুম্বকের আঁচ মেরে তুলতে হয়

১৯৫৬ সালের সেই হেস্তনেস্তকারী চিঠি মনে পড়ছে

তখন ভাল্লুকের ছাল দিয়ে সাজানো হচ্ছিল তোমার ক্লিটোরিসের আশপাশ

পাঁজর নিকুচি-করা ঝুরি তখন তোমার স্তনে নামছে

হুঁশাহুঁশহীন গাফিলতির বর্ত্মে স্ফীত হয়ে উঠছে নির্বোধ আত্মীয়তা

আ আ আ আ আ আ আ আ আ আঃ

মরে যাব কিনা বুঝতে পার্ছিনা

তুল্কালাম হয়ে যাচ্ছে বুকের ভেতরকার সমগ্র অসহায়তায়

সব কিছু ভেঙে তছনছ করে দিয়ে যাব

শিল্পের জন্যে সক্কোলকে ভেঙে খান-খান করে দোব

কবিতার জন্য আত্মহত্যা ছাড়া স্বাভাবিকতা নেই

শুভা

আমাকে তোমরা ল্যাবিয়া ম্যাজোরার স্মরণাতীত অসংযমে প্রবেশ কোর্তে দাও

দুঃখহীন আয়াসের অসম্ভাব্যতায় যেতে দাও

বেসামাল হৃদয়বত্তার স্বর্ণসবুজে

কেন আমি হারিয়ে যাইনি আমার মায়ের যোনিবর্ত্মে

কেন আমি পিতার আত্মমৈথুনের পর তাঁ পেচেছাপে বয়ে যাইনি

কেন আমি রজঃস্রাবে মিশে যাইনি শ্লেষ্মায়

অথচ আমার নিচে চিত আধবোজা অবস্থায়

আরাম গ্রহণকারিনী শুভাকে দেখে ভীষণ কষ্ট হয়েছে আমার

এরকম অসহায় চেহারা ফুটিয়েও নারী বিশ্বাসঘাতিনী হয়

আজ মনে হয় নারী ও শিল্পের মতো বিশ্বাসঘাতিনী কিছু নেই

এখন আমার হিংস্র হৃৎপিণ্ড অসম্ভব মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে

মাটি ফুঁড়ে জলের ঘূর্ণি আমার গলা ওব্দি উঠে আসছে

আমি মরে যাব

ওঃ এ সমস্ত কী ঘটছে আমার মধ্যে

আমি আমার হাত হাতের চেটো খুঁজে পাচ্ছি না

পায়জামার শুকিয়ে যাওয়া বীর্য থেকে ডানা মেলছে

৩০০০০০ শিশু উড়ে যাচ্ছে শুভার স্তনমণ্ডলীর দিকে

ঝাঁকে ঝাঁকে ছুঁচ ছুটে যাচ্ছে রক্ত থেকে কবিতায়

এখন আমার জেদি ঠ্যাঙের চোরাচালান সেঁদোতে চাইছে

হিপ্নোটিক শব্দরাজ্য থেকে ফাঁসানো মৃত্যুভেদী যৌন-পর্চুলায়

ঘরের প্রত্যেকটা দেয়ালে মার্মুখী আয়না লাগিয়ে আমি দেখছি

কয়েকটা ন্যাংটো মলয়কে ছেড়ে দিয়ে তার অপ্রতিষ্ঠ খেয়োখেয়ি।'

মলয় রায় চৌধুরীর রচনা কবিতা "প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার" তার উপর আমার করা বিশ্লেষণী পর্যালোচনা যা কলকাতার আন্তর্জাতিক ব‌ইমেলায় দমদম জংশন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল,,,,,

প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার

বিশ্লেষণী পর্যালোচনা

দমদম জংশন পত্রিকার মলয় রায় চৌধুরীর ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত

সুপ্রীতি বর্মন

"বৈদ্যুতিক ছুতারের জন্য কবিতায়",,,, কাম রজঃগুনে প্রেমিক জেদী মন সাহিত্য-ফাহিত্য লাথি মেরে চলে যাবে।সে দেউলিয়া থাকতে চায় নিঃস্ব থেকে কারন প্রেম হল তার একমাত্র সম্পত্তি।সমস্ত নোঙর তুলে নেবার পর শেষ নোঙর ছেড়ে চলে যাচ্ছে তার প্রিয়তমার বিরহের উদ্বিগ্নতা। দুর্নিবার যন্ত্রনায় ছিন্ন প্রেমিক স্বত্তার উৎকন্ঠিত হৃদয় প্রেমিকাকে হিঁচড়ে উঠিয়ে নিতে চায় আপন ক্ষুধায়।লকলকে জিহ্বায় শ্যাওলা জমেছে তোমার নিরাসক্তির ঘোমটার ঔদাসিন্যতায় তুমি রেখেছো যেন গা ঠেস ছাড়ো ছাড়ো একরাশ হ্যাংলায় অশ্রাব্য ঘুমের স্নিগ্ধতার দূরত্ব।তাই বোধহয় চোখের পালকি থেকে বিদায় নিয়েছে দৈহিক স্পর্শের টান কন্যা এখন যুবতী।

প্রতিবেশী নাভিগহ্বরে লটকে পড়েছে সোঁদা গন্ধের বিনুনী তোমার বীর্যের আঠালো স্রোতে নিংড়ে পেতে চাইছে আজ জরায়ুর গন্ধ।

মশারীর রৌদ্রদগ্ধ আঁতুরঘরে হাঁপরের দীর্ঘশ্বাসে রাত্রিযাপনের কোলাজে গুটানো পাছার দূর্দন্ডপ্রতাপে শ্রীমতি সোহাগটুকু নিংড়ে রক্তিম টিপে করেছে বন্দী।আঠালো স্রাবে বৈদ্যুতিক ঝাপটা তুমি আজ হয়েছো যেন ছুতোর।তোমার অপটু ধস্তাধস্তি কুঠারে আমার নাভিতে উছলিয়ে বৈতরিনী জাহ্নবীর ছলাকলায় গুহ্য অভ্যন্তর সরস পড়ি পড়ি মরি মরি। উড়ুক্কু কলা ঊরুদ্বয়ে আগোল আমার যৌবনতটে তোমার আঁশ কামড়ে যোনির সুস্থতা নাড়ি ছেঁড়া রোমান্টিসিজম শুভার প্রতি কাঙাল হৃদয় প্রেমিক মলয়ের।

শুভার স্তনের বিছানায় আমাকে শুতে দাও শেষবার ঘুমোতে দাও মর্মান্তিক আকুতি এক ব্যথিত চিত্তের।ভরাট স্তনের শিমূলে মাথা গোঁজার ঠাঁই।উদ্দাম ন্যাংটো তন্বীর আঁচড়ে কোঁকড়ানো চুলে মেঘের কার্নিশ আকন্ঠ ভরে যাচ্ছে আজ বীর্যের স্রোতে।রূপশালী নাভিমাসে বীর্য ফোঁটায় স্নিগ্ধ গথিক পিলার আঁকশি রূপে নেতিয়ে থাকা দূর্বল শরীরী বাকলের হেতাল বনে আনতে চায় মরা কোটালের বান।

পরিপক্ক সোহাগের ডোরে খেঁজুর মন্থনে উদ্যত উদ্ধত জেদী আঠালো লিঙ্গ ঢোঁড়া সাপ স্ফীতগতরে ঊরুজাত রোঁয়া ওঠা শিহরনের কম্বলে দগ্ধভূমি পুরুষত্বের ঔরসে নিষিক্ত জরায়ু আজ তার একচ্ছত্র অধিকার।পিতৃতন্ত্র আজ জাঁকিয়ে বসে শীত হয়ে কুমারী স্তনে।

তাই আজ সব প্রয়োজন শূন্য প্রেমিকার গর্ভে ঔরসজাত সন্তান রূপে শুক্র থেকে প্রেমিকের জন্ম হোক এ যেন এক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রেমিকের দৃঢ় অঙ্গীকার কালজয়ী উৎসর্গীকরন দেহতত্ত্বের সঙ্গমে।

পাঁজর নিকুচি করা ঝুরি নামছে স্তনে আর তুলকালাম হয়ে যাচ্ছে বুকের ভেতরের সমগ্র অসহায়তা।যোনি মেলে ধরো প্রেমিকের আকুতির টান পাঁজরাবদ্ধ উৎসবে।পাঁজরের দরমায় পৃষ্ঠটান উরুদ্বয়ের আগোলে চতুষ্কাম বর্গক্ষেত্র।

কুমারী অমাবস্যায় পদ্মবোঁটার উন্মোচন অন্তর্বাস ছিঁড়ে বেআব্রু শুভার রজঃস্বলায় প্রেমিক শ্লেষা হয়ে মিশে যেতে চায়।মায়ের যোনিবর্ত্মে অাত্মগোপন বা ধিক্কার স্বীয় অধিকারে তাই অথৈ বানে পিতার আত্মমৈথুনের পেচ্ছাপে তার বয়ে যাওয়া কেবল এক নিষ্পাপ প্রেমিকের স্বীকারোক্তি শুভার প্রতি তার শেষ প্রয়োজন।তাই ঋতুস্রাবে ধুয়ে যেতে চায় এক প্রেমিকের পাপতাড়িত কঙ্কাল।

এক অসাধারন কাল্পনিক চিত্র প্রেমিক সোহাগ স্বপ্ন গর্ভবতী শ্রীময়ী শুভার আসন্ন প্রস্ফুটিত কুসুম।শুকিয়ে যাওয়া বীর্য থেকে ডানা মেলে ৩০০০০০ উড়ে যাচ্ছে শুভার স্তনমন্ডলীর দিকে।রূপায়নে যেন কোন অন্তরীক্ষের দেবশিশু উন্মোচনে আজ ভেনিসলিঙ্গ।

অন্তিমে বিপর্যয়ে আলোড়িত হৃদয় এক নিষ্পাপ প্রেমীর।ড্রয়িং রুমের আটপৌরে যুবতী পোড়া কপাল কাঙালের অভাব আরশির। গরীবের দেওয়াল জুড়ে দেখবে কেমনে তোমার প্রতুষ্যের বাসি লিপস্টিকের সঞ্চয় মধুযামিনীর সঙ্গম কোলাহল।তাই আরশি থাকার পরেও স্বয়ং দর্শন ন্যাংটো মলয়কে ছেড়ে দিয়ে শুধু প্রেমিকের আত্মসমীক্ষন আপ্রতিষ্ঠিত খেয়োখেয়ি শুধু তোমার জন্য।

##আমার একটা ছোট্ট জটিল ধাঁধার আলোকবর্তের দ্বন্দ্বের খাওয়াখাওয়ি আলোড়ন ও ঐশ্বরিক বোধিসত্ত্ব অনন্ত শৌর্য ও বীর্য এর এক অনূঢ়া প্রণয়দগ্ধ কুসুমের রূপকথা শাশ্বত সৌন্দর্যের পরিণয় হয়ে অশ্লীলতার উর্ধ্বে এক কায়াহীন সঙ্গমের উপাখ্যান হয়ে উঠেছে এই সীমিত সংক্ষিপ্ত পরিসরে। সেই প্রসঙ্গে কিছু লিখলাম মলয় দার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আমার করা এক ছোট্ট উদযাপন সৃষ্টি ও মোক্ষের প্রশান্তির আঁতুড়ঘরে।

##উৎসর্গীকরণ মলয় রায় চৌধুরী

##শুভ জন্মদিন (আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা)

##সুপ্রীতি বর্মন গাঙ্গুলি

##চির তারুণ্য আপনার বজায় থাকুক রৌদ্রদগ্ধ প্রণয়িনী সঙ্গমে রাঙাপলাশের আগুনে।


A reader par excellence

 From Krishnagar, West Bengal, she, Sonali Chakraborty,  crossed two rivers on boats, took a taxi and reached Dumdum airport for a flight to Mumbai and met Malay Roychoudhury just for a day. She collected more than twenty books written by Malay and went back the same day. 

…………………………………………………………………………………………

যেমত নেশাতুর হরিণীর তারারন্ধ্র স্থির ও উদাস থাকে বিশালতায়

প্রায় বছর আড়াই পর আবার উঠোন ভাঙতে গিয়ে প্রথম জানা গেলো কখন গালিব বলেছিলেন "কিতনি খউফ হোতে হ্যায় শাম কে অন্ধেরো মে, পুছ উন পরিন্দো সে জিনকে ঘর নেহি হোতে"। নিজের হাজার ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে প্যাকিং, বোর্ডিং পাস, কার্ড ব্যালেন্স চেক করে মেয়েকে ছেড়ে দেওয়ার আগে "জাস্ট ঘুমোতে যাওয়ার সময় gdn8 টা লিখে ঘুমোবে যদি ঘুমোতে মনে থাকে" বলে আর একবারও পিছনে না তাকিয়ে সোজা নিজের দুর্গে ফিরে যাওয়ার প্রবল পুরুষটি আর দাঁড়িয়ে থাকবে না ব্যালকনিতে যখন আমি ফিরবো...

খুব সহজ ছিলো না তাই এই সফর অথচ যেতে আমায় হতোই। ভাঙা বাতিঘর থেকে নাড়ি কাটা সূর্যকে দেখার জন্য যে নশ্বরতা, তার দায় থাকে। রামধনু দিয়ে কাজল পরে যে ফ্লাইটে উঠেছিলাম বৃষ্টি আর বিদ্যুত তাকে ধুয়ে কিছু অতিরিক্ত ক্লান্তি আঁকতে পেরেছিলো মাত্র। যে কোনো ডানার উড়াল আকাশের ব্যক্তিগত ভালো লাগার তালিকায় আছে, ঝড়ে যে উড়োজাহাজ আটকে না থেকেছে, তার যাত্রী না হলে এই প্রসঙ্গে সম্যক জ্ঞান জন্মায় না।

কিংবদন্তী যে প্রেমিক তাঁর মাথা কেটে আমায় পাঠিয়েছিলেন, তাঁর পায়ে একবার হাত না রাখলে অপরাধ হয় অথচ তিনি যেহেতু বললেন "আর তো দেখা হবে না", বরাবরের উন্মাদিনী আমার ভিতরে জিহাদ এলো তাঁকে ভুল প্রমাণের, সুতরাং প্রণাম করিনি, আবার দেখা হবে এই বিশ্বাসে।

প্রেমে পড়ার মতো ভয়ঙ্কর সুন্দরী দুই বিদুষী একত্রে ছিলেন, শীলা দি ও নূপুর দি, আমার ভিতরের তরঙ্গে "ইন্দুবালা গো, তুমি কার আকাশে থাকো, জোছনা কার মাখো" বাজছিলো, সামনে মলয় আর অর্ঘ্য দা ছিলেন বলে প্রকাশ করা গেলো না সেভাবে, কপাল। ও হ্যাঁ, আমি জাতিস্মর নই, নিয়তি নিজে লিখি তাই প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অর্ঘ্য দা ও নূপুর দির সঙ্গে পরবর্তী জন্মের মৌ সই করা আছে।

এতো বই পাওয়া হলো আদর টইটই চকোলেট (আমি বৃদ্ধা হইলেও কিছু কিউটস্য বন্ধু আমার আছে) সহ, দেবদূত বিরাট একটি ব্যাগ কিনে দিলেন ছত্রপতি থেকে আমার করুণ অবস্থা দেখে, সেও উপহারই। জানলাম এখন আর আমরা ভারতীয় এয়ারপোর্টে বসি না, 'আদানী লাউঞ্জ' এ রেস্ট করি, এও জানা হলো ভিস্তারা দীর্ঘ যাত্রায় খেতে দেয় না, 'হিন্দু মিল' সার্ভ করে। এই দেশ বিচিত্র ছিলোই কিন্তু দিনে দিনে আমার বড় অপরিচিত হয়ে উঠছে সেলুকাস, কোথা যাই বলো তো?

 


মঙ্গলবার

Sonali Chakraborty visits Malay Roychoudhury

 উত্তরাধুনিক রানুর উত্তরাধুনিক ভানুর গৃহে পদার্পন সম্পর্কিত

যেমত নেশাতুর হরিণীর তারারন্ধ্র স্থির ও উদাস থাকে বিশালতায়

প্রায় বছর আড়াই পর আবার উঠোন ভাঙতে গিয়ে প্রথম জানা গেলো কখন গালিব বলেছিলেন "কিতনি খউফ হোতে হ্যায় শাম কে অন্ধেরো মে, পুছ উন পরিন্দো সে জিনকে ঘর নেহি হোতে"। নিজের হাজার ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে প্যাকিং, বোর্ডিং পাস, কার্ড ব্যালেন্স চেক করে মেয়েকে ছেড়ে দেওয়ার আগে "জাস্ট ঘুমোতে যাওয়ার সময় gdn8 টা লিখে ঘুমোবে যদি ঘুমোতে মনে থাকে" বলে আর একবারও পিছনে না তাকিয়ে সোজা নিজের দুর্গে ফিরে যাওয়ার প্রবল পুরুষটি আর দাঁড়িয়ে থাকবে না ব্যালকনিতে যখন আমি ফিরবো…

খুব সহজ ছিলো না তাই এই সফর অথচ যেতে আমায় হতোই। ভাঙা বাতিঘর থেকে নাড়ি কাটা সূর্যকে দেখার জন্য যে নশ্বরতা, তার দায় থাকে। রামধনু দিয়ে কাজল পরে যে ফ্লাইটে উঠেছিলাম বৃষ্টি আর বিদ্যুত তাকে ধুয়ে কিছু অতিরিক্ত ক্লান্তি আঁকতে পেরেছিলো মাত্র। যে কোনো ডানার উড়াল আকাশের ব্যক্তিগত ভালো লাগার তালিকায় আছে, ঝড়ে যে উড়োজাহাজ আটকে না থেকেছে, তার যাত্রী না হলে এই প্রসঙ্গে সম্যক জ্ঞান জন্মায় না।

কিংবদন্তী যে প্রেমিক তাঁর মাথা কেটে আমায় পাঠিয়েছিলেন, তাঁর পায়ে একবার হাত না রাখলে অপরাধ হয় অথচ তিনি যেহেতু বললেন "আর তো দেখা হবে না", বরাবরের উন্মাদিনী আমার ভিতরে জিহাদ এলো তাঁকে ভুল প্রমাণের, সুতরাং প্রণাম করিনি, আবার দেখা হবে এই বিশ্বাসে।

প্রেমে পড়ার মতো ভয়ঙ্কর সুন্দরী দুই বিদুষী একত্রে ছিলেন, সলিলা দি ও নূপুর দি, আমার ভিতরের তরঙ্গে "ইন্দুবালা গো, তুমি কার আকাশে থাকো, জোছনা কার মাখো" বাজছিলো, সামনে মলয় আর অর্ঘ্য দা ছিলেন বলে প্রকাশ করা গেলো না সেভাবে, কপাল। ও হ্যাঁ, আমি জাতিস্মর নই, নিয়তি নিজে লিখি তাই প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অর্ঘ্য দা ও নূপুর দির সঙ্গে পরবর্তী জন্মের মৌ সই করা আছে।

এতো বই পাওয়া হলো আদর টইটই চকোলেট (আমি বৃদ্ধা হইলেও কিছু কিউটস্য বন্ধু আমার আছে) সহ, দেবদূত বিরাট একটি ব্যাগ কিনে দিলেন ছত্রপতি থেকে আমার করুণ অবস্থা দেখে, সেও উপহারই। জানলাম এখন আর আমরা ভারতীয় এয়ারপোর্টে বসি না, 'আদানী লাউঞ্জ' এ রেস্ট করি, এও জানা হলো ভিস্তারা দীর্ঘ যাত্রায় খেতে দেয় না, 'হিন্দু মিল' সার্ভ করে। এই দেশ বিচিত্র ছিলোই কিন্তু দিনে দিনে আমার বড় অপরিচিত হয়ে উঠছে সেলুকাস, কোথা যাই বলো তো?





সোমবার

সুপ্রীতি বর্মণ : মলয় রায়চৌধুরীর জন্মদিন ( ২৯ অক্টোবর )

 

কলঙ্কভাগের আলাপচারিতায় নিষিদ্ধ রমণীকামসূত্র বিধ্বংসী ক্ষুধার্ত আলোড়নে যখন গৃহস্থের লজ্জাশ্রী গরাদের দোহন ছেড়ে উন্মুক্ত সৌন্দর্য এ প্রণয়দগ্ধ কুসুমে প্রস্ফুটিত হবার ক্রোড় খুঁজে পায় তখন তোমার দেখা মেলে!!!!
@####লজ্জাই নারীর আভূষণ এই চিরাচরিত রক্ষণশীল ছাঁচে আধমরা যেসব বুভুক্ষু হ্যাংলা জিহ্বার সঙ্গম দোসর হয়ে স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের ছলাকলায় উদ্বিগ্ন কোলাহলে খুঁজে বেড়ায় ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত জঠর পোড়াধরা প্রেমিকের আত্মতৃপ্তি রমণ উল্লাস লহরী উদ্দাম চঞ্চল চন্দ্র ও চকোরের খাওয়াখাওয়ি তখন তোমার দেখা মেলে!!!!
@####সঙ্গম সহবাস কিংবা রমণ উল্লাস যা দরজার কপট কটাক্ষের আড়ালে শুধুমাত্র রাতবাসের রঙরাসহেমাঙ্গিনীমোহ রসের ধারাস্নান সেটা যে নয় কিংবা বেশ্যাবৃত্তির প্রতি রক্তচক্ষু শাপিত পৈশাচিক ধর্ষকামী একঘরে থেকে যাবার আচরণ নোংরা বোধে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বিধ্বস্ত উদ্বাস্তু শারীরিক পেষণ অখণ্ড উলঙ্গিনী নিরাভরণ প্রাঞ্জল অধ্যায় নিষিদ্ধ নিখাদ দ্রষ্টব্য প্রকরণ সেটার খোলস উন্মোচন সোহাগের ঊর্ণনাভ জাল তুমি আমি যখন তখন আদ্যোপান্ত আদিম আস্কারা আদি থেকে অন্ত নেই কোন ভ্রূক্ষেপ নেই কোন পিছুটান প্রতিবন্ধকতার শুধুই অনন্ত আস্কারার মিলন তোমার হাংড়ির ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত মিলন তখন তোমার দেখা মেলে!!!!
যখন প্রথম প্রথম লেখার জগতে এসে পড়ি কোন প্লান কিংবা প্রোগ্রাম ছাড়াই শুধুমাত্র জটিল ধাঁধা ও উদ্বিগ্ন কোলাহলের ঝড় থেকে নিজের ক্ষুদ্রনীড় কে আগলে নিজের করে ধরে রাখতে নগণ্য সামর্থ্য এ তখন এলোপাথাড়ি এলোকেশ বিধ্বস্ত উদ্বাস্তু অস্তিত্ব নিজের আবেগ নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া থেকে সংরক্ষণের জন্য কলম ধরে মহীরুহ হতে নিজের মূল্য নিজেই নিজের জন্য খুঁজে নিতে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে ক্রমবিবর্তনের শেকড়বাকড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আস্থা কে প্রগাঢ় ইচ্ছার কালজয়ী স্রোতে টিকিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছি কোন প্রত্যাশা ছাড়া।
এমতাবস্থায় আকস্মিক এই পদার্পণের চরণে ছিল শুধুমাত্র শৈল্পিক শৃঙ্গার রস এবং প্রখর ক্ষুধার নির্লিপ্ত নির্লজ্জ উপোসি ভোগ যা করাতলগত স্পৃহা হয়ে কিছুতেই সম্পূর্ণ হয়না শুধু বাড়তেই থাকে দিন প্রতিদিন কারণ ঠেলাগোঁজা এই দায়বদ্ধকতার জীবন তার একরত্তি পোষায় না তাই রক্রমাংসে লাস্যময়ী হয়ে অজন্তা ইলোরায় সম্পূর্ণ রূপে গ্রন্থিত হয়ে যেতে চায় আমরণ আজন্মসাধন রমণসূত্রে যেখানে কামরূপরসগন্ধবর্ণের এক অপরূপ সঙ্গমের অলেখ্য জোয়ার অহর্নিশি বয়েই চলে কোন বিরাম নেই।
কিন্তু নির্দিদ্ধায় সেই পদক্ষেপ নিতে গিয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে কুরুচিকর ব্যক্তিগত আক্রমণের উল্টোপাল্টা তীর্যক মন্তব্য এর আঁচড়কাটা অসহ্য আগুন ও রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকে। তোমাকে ছিঁড়তে থেকে বিকলাঙ্গ শ্যাওলা পড়া অপ্রচলিত একঘেঁয়ে নৈঃশব্দ্য শীৎকার যাপনঘুম গার্হস্থ্য এর অস্তিত্বের চিড় খাওয়া অসঙ্গত আসক্তির রোষানলে শুধুই উন্মাদনার শিহরণ জাগায়। এমতাবস্থায় দীর্ঘায়িত কাব্যশৈলীর আলাপনে প্রায় সকলেই এই নিষিদ্ধ করে দেওয়া তথাকথিত বস্তুসেবন বর্জ্যপদার্থের আগলেই ঠেলেগুঁজে দিতে থাকে উচ্ছিষ্ট করে। তবুও নীড় ছোট আস্থা অগাধ আত্মস্থ ক্ষুধার দর্পণ ভাঙাচোরা অস্তিত্ব কে স্পর্ধা দেয় সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে এক অবাধ্য জেদী মননে এক আলোকবর্ষ দূরে শুধুমাত্র প্রণয় তোমাকে অশ্লীলতার দায়ে আত্মসাৎ এর হাত থেকে উদ্ধার করার দায়ে ছুটে চলেছে হাজার হাজার কিংবা কোটি কোটি শুক্রাণু ডিম্বাণুর ঘোটকদৌড় পরস্পর অবাধ উলঙ্গ শুদ্ধসত্ত্ব সহজিয়া মিলন ঘটাতে।
"সোহাগ প্রজাপতির ফুলশয্যা" এই কাব্যগ্রন্থ যার মূল বিষয় হচ্ছে "সহবাস ও সঙ্গম" সম্পাদনা ও প্রকাশ করার চক্করে আমাকে একাই অনেক ঝড়ঝাপটা সহ্য করে এগিয়ে যেতে হয়েছে কারোর কোন সহযোগিতা ছাড়া। এই কাব্যগ্রন্থ কে অনেকেই অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত করেছে আর আমি মেয়ে হয়ে কেন এমন নিষিদ্ধ অশ্লীল অশুচি বিষয় নির্বাচন করেছি তার জন্য অনেক বিরূপ কটাক্ষের তির্যক বাণ এ দগ্ধ করে গেছে যার শিকার আমাকে হতে হয়েছে। তার পাশাপাশি সেই নির্দিষ্ট বিষয়ে যত তাবড় তাবড় কবি থেকে শুরু করে ছোটখাটো সদ্য উৎপন্ন কবির কাছ থেকে শুধু না লিখতে চাওয়া ও পারার অক্ষমতা গ্রহণ করে যেতে হয়েছে। যাদের কে হন্যে হয়ে প্রখর দুশ্চিন্তার সঙ্গদোষে যা হোক করে খুঁজে আনা হয়েছে এবং পরিশেষে তাদের এই বিষয়ে লিখতে গিয়ে কালঘাম ছুটে গেছে। তবুও আমার মন পরিপূর্ণ আস্বাদন ভোগ করে উঠতে সক্ষম হয়নি কারণ বেশ কিছুজনের লেখা অসমাপ্ত রসে আটকে থেকে পূর্ণতা পায়নি স্রষ্টার কমলাক্ষরের স্পর্শ কিছু কিছু অংশেই সম্পূর্ণ হয়েছে আর বেশ কিছুজনের অপরিপূরক মননশীলতায় বন্ধ্যা রমণগুণ উৎসারিত হয়েছে।
মলয় দা কে বলেছিলাম এই ব‌ইয়ের সম্পাদকীয় লিখে দিতে তখন আশ্চর্য লেগেছিল যে উনি আমাকে বলেছিলেন যে তুই লেখ নিজেই এর সম্পাদকীয় সেটাই বরং সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। এই কথা শুনে কেমন করে যেন একটা কঠোর দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ প্রাণে আত্মবিশ্বাস নিয়ে লিখে গিয়েছিলাম সম্পূর্ণ এক ব্যতিক্রমী সম্পাদকীয় অন্য কারোর অপেক্ষা না করে।
আমার লিখনশৈলীর অলঙ্করণ ও তার বিধিবদ্ধ ধারা থেকে বেরিয়ে গিয়ে এক জটিল দ্বন্দ্বের ঊর্ণনাভ জাল বোধগম্য এর উর্ধ্বে থাকা ঊষর মরুভূমির মরীচিকা অগ্নিস্নান হবার প্রবণতা অগ্নিমান্দ্য জঠরে তার আশ্রয় তাই সেই সূত্র অনেকের গলাধঃকরণ কিংবা হজমের বাইরে চলে গেছে সেই কারণে আমাকে অনেকেই কানেকামড়ে বোঝানোর চেষ্টা করে গেছে যেন সেই পথ ব্যতিরেকে আমি আড়ষ্ট করে নিজের ব্যতিক্রমী সত্তা কে চাপা দিয়ে ঢুকে পড়ি চিরাচরিত অভ্যাসের গোয়ালে যাতে আমাকে গ্রহণ করা যায় মগজ ধোলাই ছেড়ে অবোধ শিশুর স্বভাবসুলভ সহজ আচরণে সঙ্কটাপন্ন আমার সৃষ্টির কালঘামে কিন্তু আমি সেটাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে আমার ভ্রমরভ্রামরী বিলাস চালিয়ে গেছি।
তখন মলয় দা আমার এই সিগনেচার স্টাইলে নিজের বিশেষ ক্রোড়পত্রে অংশগ্রহণ করে আমাকে লেখার অনুরোধ জানায়। শুধু তাই নয় সেই প্রসঙ্গে অনেকবার আমি লিখতে অস্বীকার করলেও উনি বারবার বলে গেছেন আমিই লিখতে পারবো আর আমার ঐ সিগনেচার স্টাইল উনি নিতে চান কারণ আমার ঐ স্টাইলের স্বকীয়তার সৃজন শৃঙ্গার রস ব্যতিক্রমী তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করে যা তিনি উৎকন্ঠায় প্রখর আগ্রহী হয়ে পেতে চান তাই আমাকেই এই প্রসঙ্গে লিখতে হবে। অন্য আর পাঁচজন প্রতিষ্ঠিত কিংবা গবেষকের পাশাপাশি আমার এই নিজস্ব আত্মোপলব্ধির গবেষণা করতে পারা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমার কাছে। তার প্রেমের একগুচ্ছ কবিতার সংগ্রহশালার মধ্যে থেকে আমার অবাধ বিচরণে নিজের ইচ্ছায় নির্বাচিত কবিতাগুলোর বিশ্লেষণী পর্যালোচনা দমদম জংশন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।এ যেন আমার এক স্বকীয়তার প্রোথিতদশার আলোড়ন।
এখন যদি কাউকে সে কথা অকপট প্রকাশ্যে বলি গর্বের সাথে তখন কেউ কেউ বলে উঠে তোমাকে তো কেউ একজন শক্তি হয়ে উৎসাহ ও উচ্ছ্বসিত আত্মপ্রকাশ এর মোক্ষমার্গ দিয়ে তোমার সাফল্য প্রশস্ত করেছে আর তাতেই তোমার প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পেরেছে যা আর পাঁচজনের কপালে জোটে না।
এই প্রসঙ্গে এই পরশ্রীকাতরতার প্রতিবাদে আমি বলতে চাই যে যে কেউ হোক না কেন তাকে তখনি কেউ উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দিতে পারবে কিংবা তাকে খুঁজে এনে প্রতিষ্ঠার সোপানে উন্নীত করতে পারবে যদি তার মধ্যে সেই কঠোর অস্তিত্ব এর ঔজ্জ্বল্য এর দ্যুতি থাকে আগে থেকে তার অন্তরে প্রতিপালিত হবার চরণে না হলে যত‌ই তাকে ঠেলে গুঁজে নিয়ে যাওয়া হোক তবুও ক্ষমতার অভাবে পথের মাঝে একদিন না একদিন হোঁচট খেয়ে সে পড়বেই কোনদিন এগিয়ে যেতে পারবে না আর যদি কোনক্রমে এগিয়েও যায় তবুও নিরেট শূন্য‌অন্ধবন্ধভগ্নাংশ হয়ে আটকে থাকবে কোটরগত অসমাপ্ত চাহিদায় অসম্ভব প্রত্যাশায়।
আমি তাই চাই এই প্রসঙ্গে যে প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতাশালী অভিব্যক্তিরা এগিয়ে এসে সেই উপযুক্ত খোঁজের সন্ধান করে যান যাতে যারা সত্যিকারে যোগ্য তারা যেন তাদের সঠিক মূল্য পায় ঔচিত্য বোধে যাতে অকালে তারা কোনদিন অবসাদগ্রস্থ চিত্তে যেন হারিয়ে না যায়। তবেই আমাদের শিল্প শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চার সঠিক মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ হবে না হলে আপামর ব্রতী সকলে অসমাপ্ত প্রশ্নের চাহিদার উপাস্য অনুশোচনা কাকতাড়ায়ু হয়ে অপেক্ষমাণ থেকে যাবে শমনের দীর্ঘশ্বাসের যন্ত্রণায়।
চিরাচরিত প্রতিষ্ঠার কিংবা প্রতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধকতার আচার ও শৃঙ্খলাদাসত্বপ্রথার হাড়গোড়ভাঙা মেনে নেওয়া ও মানিয়ে নেওয়ার অন্তর্দ্বন্দ্ব এর দলাইমালাই নিষ্পেষণ এবং খাওয়াখাওয়ি ত্যাগ করে কঠোর পরিশ্রম ও সংযমী মননে যারাই আজ পর্যন্ত কঠোর সংগ্রামে ব্রতী হয়ে এসেছে আজন্মসাধন তপস্যায় তাদেরকেই সবচেয়ে বেশি বিরুদ্ধাচরণ ও ব্যভিচারী উৎখাত হয়ে যাবার কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। মলয় রায় চৌধুরী সেই প্রসঙ্গে ব্যতিক্রমী নয়। তাকেও অনেককিছু সহ্য ও সহ্যাতীত গ্রহণের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে হয়েছে ঐ আলোকবর্ষ দূরে সেই স্বর্গীয় প্রশান্তি ও সৌন্দর্য মোক্ষের সন্ধানমার্গে। অনেক না মেনে নেওয়া পোস্ট তাই খাওয়াখাওয়ির এবং রিপোর্টের শিকার হয়েছে অবশ্য এই প্রসঙ্গে আমরা কেউই তার ব্যতিক্রমী নয়। সকল কে সত্যের অগ্ন্যুৎপাত এর ভিতরে প্রবেশ করতেই হয় সততার দাম দিতে গিয়ে এক অগ্নিপরীক্ষা এটাই তার ভবিতব্য।
আমাদের অস্তিত্ব তো এমনিতেই ঠেলেগুঁজে থ মেরে বসে থাকা ঠনঠনে গরুর গাড়ি সেখানে যদি সবসময় চুপটি করে মুখে আঙুল দিয়ে সুবোধ বালক হতে হয় তাহলে তো সমগ্র অস্তিত্ব গুলিয়ে উঠবে বীর্যস্খলন শিলান্যাসে ঝুলবারান্দার উলালিঝুলালির অন্দরমহলে।
সেক্ষেত্রে সঙ্গমের ফলশ্রুতি নপুংসক দশায় কালাশৌচ যাপনে ক্ষয় হয়ে নগ্নীকরণ লগ্নিকরণেরহিসেবনিকেশ খাতায় অবশিষ্টভগ্নাংশের মড়ক দশায় ঝুলে থাকবে।
মলয় দার একটা কবিতা আমার প্রথম দিন থেকে সবচেয়ে বেশি প্রিয় যা আমি যতবার পড়ে যাই ততবার এক একগুঁয়ে জেদী প্রেমিকের স্বগতোক্তির উচ্চারণে উত্থিত যৌবন ও বীর্যবিলাসিশৌর্যে সমর্পণ তার প্রেমিকার কাছে সোহাগের প্রতিশ্রুতি প্রণয়দগ্ধ অঙ্গীকারে অঙ্গাঅঙ্গি আদরে আবদারে কর্ষণ ও রমণ উল্লাসে উচ্ছ্বসিত হতে থাকে যার নাম "প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার",,,,,,,
চন্দ্রমুখী তে প্রকাশিত মলয় রায় চৌধুরীর কবিতা "প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার"
Interpretation Style Segment
কালজয়ী প্রেমের ইতিহাস আক্ষরিক সোহাগ ভূষন।
"প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার"
'ওঃ মরে যাব মরে যাব মরে যাব
আমার চামড়ার লহমা জ্বলে যাচ্ছে অকাট্য তুরুপে
আমি কী কোর্বো কোথায় যাব ওঃ কিছুই ভাল্লাগছে না
সাহিত্য-ফাহিত্য লাথি মেরে চলে যাব শুভা
শুভা আমাকে তোমার তর্মুজ-আঙরাখার ভেতরে চলে যেতে দাও
চুর্মার অন্ধকারে জাফ্রান মশারির আলুলায়িত ছায়ায়
সমস্ত নোঙর তুলে নেবার পর শেষ নোঙর আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে
আর আমি পার্ছিনা, অজস্র কাঁচ ভেঙে যাচ্ছে কর্টেক্সে
আমি যানি শুভা, যোনি মেলে ধরো, শান্তি দাও
প্রতিটি শিরা অশ্রুস্রোত বয়ে নিয়ে যাচ্ছে হৃদয়াভিগর্ভে
শাশ্বত অসুস্থতায় পচে যাচ্ছে মগজের সংক্রামক স্ফুলিঙ্গ
মা, তুমি আমায় কঙ্কালরূপে ভূমিষ্ঠ করলে না কেন ?
তাহলে আমি দুকোটি আলোকবর্ষ ঈশ্বরের পোঁদে চুমু খেতুম
কিন্তু কিছুই ভালো লাগে না আমার কিছুই ভালো লাগছে না
একাধিক চুমো খেলে আমার গা গুলোয়
ধর্ষণকালে নারীকে ভুলে গিয়ে শিল্পে ফিরে এসেছি কতদিন
কবিতার আদিত্যবর্ণা মুত্রাশয়ে
এসব কী হচ্ছে জানি না তবু বুকের মধ্যে ঘটে যাচ্ছে অহরহ
সব ভেঙে চুরমার করে দেব শালা
ছিন্নভিন্ন করে দেব তোমাদের পাঁজরাবদ্ধ উত্সব
শুভাকে হিঁচড়ে উঠিয়ে নিয়ে যাব আমার ক্ষুধায়
দিতেই হবে শুভাকে
ওঃ মলয়
কোল্কাতাকে আর্দ্র ও পিচ্ছিল বরাঙ্গের মিছিল মনে হচ্ছে আজ
কিন্তু আমাকে নিয়ে কী কোর্বো বুঝতে পার্ছিনা
আমার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
আমাকে মৃত্যুর দিকে যেতে দাও একা
আমাকে ধর্ষণ ও মরে যাওয়া শিখে নিতে হয়নি
প্রস্রাবের পর শেষ ফোঁটা ঝাড়ার দায়িত্ব আমায় শিখতে হয়নি
অন্ধকারে শুভার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়া শিখতে হয়নি
শিখতে হয়নি নন্দিতার বুকের ওপর শুয়ে ফরাসি চামড়ার ব্যবহার
অথচ আমি চেয়েছিলুম আলেয়ার নতুন জবার মতো যোনির সুস্থতা
যোনিকেশরে কাঁচের টুকরোর মতো ঘামের সুস্থতা
আজ আমি মগজের শরণাপন্ন বিপর্যয়ের দিকে চলে এলুম
আমি বুঝতে পার্ছিনা কী জন্য আমি বেঁচে থাকতে চাইছি
আমার পূর্বপুরুষ লম্পট সাবর্ণ চৌধুরীদের কথা আমি ভাবছি
আমাকে নতুন ও ভিন্নতর কিছু কোর্তে হবে
শুভার স্তনের ত্বকের মতো বিছানায় শেষবার ঘুমোতে দাও আমাকে
জন্মমুহুর্তের তীব্রচ্ছটা সূর্যজখম মনে পড়ছে
আমি আমার নিজের মৃত্যু দেখে যেতে চাই
মলয় রায়চৌধুরীর প্রয়োজন পৃথিবীর ছিল না
তোমার তীব্র রূপালি য়ুটেরাসে ঘুমোতে দাও কিছুকাল শুভা
শান্তি দাও, শুভা শান্তি দাও
তোমার ঋতুস্রাবে ধুয়ে যেতে দাও আমার পাততাড়িত কঙ্কাল
আমাকে তোমার গর্ভে আমারি শুক্র থেক জন্ম নিতে দাও
আমার বাবা-মা অন্য হলেও কি আমি এরকম হতুম ?
সম্পূর্ণ ভিন্ন এক শুক্র থেকে মলয় ওর্ফে আমি হতে পার্তুম ?
আমার বাবার অন্য নারীর গর্ভে ঢুকেও কি মলয় হতুম ?
শুভা না থাকলে আমি কি পেশাদার ভালোলোক হতুম মৃত ভায়ের
ওঃ বলুক কেউ এসবের জবাবদিহি করুক
শুভা, ওঃ শুভা
তোমার সেলোফেন সতিচ্ছদের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীটা দেখতে দাও
পুনরায় সবুজ তোশকের উপর চলে এসো শুভা
যেমন ক্যাথোড রশ্মিকে তীক্ষ্ণধী চুম্বকের আঁচ মেরে তুলতে হয়
১৯৫৬ সালের সেই হেস্তনেস্তকারী চিঠি মনে পড়ছে
তখন ভাল্লুকের ছাল দিয়ে সাজানো হচ্ছিল তোমার ক্লিটোরিসের আশপাশ
পাঁজর নিকুচি-করা ঝুরি তখন তোমার স্তনে নামছে
হুঁশাহুঁশহীন গাফিলতির বর্ত্মে স্ফীত হয়ে উঠছে নির্বোধ আত্মীয়তা
আ আ আ আ আ আ আ আ আ আঃ
মরে যাব কিনা বুঝতে পার্ছিনা
তুল্কালাম হয়ে যাচ্ছে বুকের ভেতরকার সমগ্র অসহায়তায়
সব কিছু ভেঙে তছনছ করে দিয়ে যাব
শিল্পের জন্যে সক্কোলকে ভেঙে খান-খান করে দোব
কবিতার জন্য আত্মহত্যা ছাড়া স্বাভাবিকতা নেই
শুভা
আমাকে তোমরা ল্যাবিয়া ম্যাজোরার স্মরণাতীত অসংযমে প্রবেশ কোর্তে দাও
দুঃখহীন আয়াসের অসম্ভাব্যতায় যেতে দাও
বেসামাল হৃদয়বত্তার স্বর্ণসবুজে
কেন আমি হারিয়ে যাইনি আমার মায়ের যোনিবর্ত্মে
কেন আমি পিতার আত্মমৈথুনের পর তাঁ পেচেছাপে বয়ে যাইনি
কেন আমি রজঃস্রাবে মিশে যাইনি শ্লেষ্মায়
অথচ আমার নিচে চিত আধবোজা অবস্থায়
আরাম গ্রহণকারিনী শুভাকে দেখে ভীষণ কষ্ট হয়েছে আমার
এরকম অসহায় চেহারা ফুটিয়েও নারী বিশ্বাসঘাতিনী হয়
আজ মনে হয় নারী ও শিল্পের মতো বিশ্বাসঘাতিনী কিছু নেই
এখন আমার হিংস্র হৃৎপিণ্ড অসম্ভব মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে
মাটি ফুঁড়ে জলের ঘূর্ণি আমার গলা ওব্দি উঠে আসছে
আমি মরে যাব
ওঃ এ সমস্ত কী ঘটছে আমার মধ্যে
আমি আমার হাত হাতের চেটো খুঁজে পাচ্ছি না
পায়জামার শুকিয়ে যাওয়া বীর্য থেকে ডানা মেলছে
৩০০০০০ শিশু উড়ে যাচ্ছে শুভার স্তনমণ্ডলীর দিকে
ঝাঁকে ঝাঁকে ছুঁচ ছুটে যাচ্ছে রক্ত থেকে কবিতায়
এখন আমার জেদি ঠ্যাঙের চোরাচালান সেঁদোতে চাইছে
হিপ্নোটিক শব্দরাজ্য থেকে ফাঁসানো মৃত্যুভেদী যৌন-পর্চুলায়
ঘরের প্রত্যেকটা দেয়ালে মার্মুখী আয়না লাগিয়ে আমি দেখছি
কয়েকটা ন্যাংটো মলয়কে ছেড়ে দিয়ে তার অপ্রতিষ্ঠ খেয়োখেয়ি।'
মলয় রায় চৌধুরীর রচনা কবিতা "প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার" তার উপর আমার করা বিশ্লেষণী পর্যালোচনা যা কলকাতার আন্তর্জাতিক ব‌ইমেলায় দমদম জংশন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল,,,,,
প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার
বিশ্লেষণী পর্যালোচনা
দমদম জংশন পত্রিকার মলয় রায় চৌধুরীর ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত
সুপ্রীতি বর্মন
"বৈদ্যুতিক ছুতারের জন্য কবিতায়",,,, কাম রজঃগুনে প্রেমিক জেদী মন সাহিত্য-ফাহিত্য লাথি মেরে চলে যাবে।সে দেউলিয়া থাকতে চায় নিঃস্ব থেকে কারন প্রেম হল তার একমাত্র সম্পত্তি।সমস্ত নোঙর তুলে নেবার পর শেষ নোঙর ছেড়ে চলে যাচ্ছে তার প্রিয়তমার বিরহের উদ্বিগ্নতা। দুর্নিবার যন্ত্রনায় ছিন্ন প্রেমিক স্বত্তার উৎকন্ঠিত হৃদয় প্রেমিকাকে হিঁচড়ে উঠিয়ে নিতে চায় আপন ক্ষুধায়।লকলকে জিহ্বায় শ্যাওলা জমেছে তোমার নিরাসক্তির ঘোমটার ঔদাসিন্যতায় তুমি রেখেছো যেন গা ঠেস ছাড়ো ছাড়ো একরাশ হ্যাংলায় অশ্রাব্য ঘুমের স্নিগ্ধতার দূরত্ব।তাই বোধহয় চোখের পালকি থেকে বিদায় নিয়েছে দৈহিক স্পর্শের টান কন্যা এখন যুবতী।
প্রতিবেশী নাভিগহ্বরে লটকে পড়েছে সোঁদা গন্ধের বিনুনী তোমার বীর্যের আঠালো স্রোতে নিংড়ে পেতে চাইছে আজ জরায়ুর গন্ধ।
মশারীর রৌদ্রদগ্ধ আঁতুরঘরে হাঁপরের দীর্ঘশ্বাসে রাত্রিযাপনের কোলাজে গুটানো পাছার দূর্দন্ডপ্রতাপে শ্রীমতি সোহাগটুকু নিংড়ে রক্তিম টিপে করেছে বন্দী।আঠালো স্রাবে বৈদ্যুতিক ঝাপটা তুমি আজ হয়েছো যেন ছুতোর।তোমার অপটু ধস্তাধস্তি কুঠারে আমার নাভিতে উছলিয়ে বৈতরিনী জাহ্নবীর ছলাকলায় গুহ্য অভ্যন্তর সরস পড়ি পড়ি মরি মরি। উড়ুক্কু কলা ঊরুদ্বয়ে আগোল আমার যৌবনতটে তোমার আঁশ কামড়ে যোনির সুস্থতা নাড়ি ছেঁড়া রোমান্টিসিজম শুভার প্রতি কাঙাল হৃদয় প্রেমিক মলয়ের।
শুভার স্তনের বিছানায় আমাকে শুতে দাও শেষবার ঘুমোতে দাও মর্মান্তিক আকুতি এক ব্যথিত চিত্তের।ভরাট স্তনের শিমূলে মাথা গোঁজার ঠাঁই।উদ্দাম ন্যাংটো তন্বীর আঁচড়ে কোঁকড়ানো চুলে মেঘের কার্নিশ আকন্ঠ ভরে যাচ্ছে আজ বীর্যের স্রোতে।রূপশালী নাভিমাসে বীর্য ফোঁটায় স্নিগ্ধ গথিক পিলার আঁকশি রূপে নেতিয়ে থাকা দূর্বল শরীরী বাকলের হেতাল বনে আনতে চায় মরা কোটালের বান।
পরিপক্ক সোহাগের ডোরে খেঁজুর মন্থনে উদ্যত উদ্ধত জেদী আঠালো লিঙ্গ ঢোঁড়া সাপ স্ফীতগতরে ঊরুজাত রোঁয়া ওঠা শিহরনের কম্বলে দগ্ধভূমি পুরুষত্বের ঔরসে নিষিক্ত জরায়ু আজ তার একচ্ছত্র অধিকার।পিতৃতন্ত্র আজ জাঁকিয়ে বসে শীত হয়ে কুমারী স্তনে।
তাই আজ সব প্রয়োজন শূন্য প্রেমিকার গর্ভে ঔরসজাত সন্তান রূপে শুক্র থেকে প্রেমিকের জন্ম হোক এ যেন এক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রেমিকের দৃঢ় অঙ্গীকার কালজয়ী উৎসর্গীকরন দেহতত্ত্বের সঙ্গমে।
পাঁজর নিকুচি করা ঝুরি নামছে স্তনে আর তুলকালাম হয়ে যাচ্ছে বুকের ভেতরের সমগ্র অসহায়তা।যোনি মেলে ধরো প্রেমিকের আকুতির টান পাঁজরাবদ্ধ উৎসবে।পাঁজরের দরমায় পৃষ্ঠটান উরুদ্বয়ের আগোলে চতুষ্কাম বর্গক্ষেত্র।
কুমারী অমাবস্যায় পদ্মবোঁটার উন্মোচন অন্তর্বাস ছিঁড়ে বেআব্রু শুভার রজঃস্বলায় প্রেমিক শ্লেষা হয়ে মিশে যেতে চায়।মায়ের যোনিবর্ত্মে অাত্মগোপন বা ধিক্কার স্বীয় অধিকারে তাই অথৈ বানে পিতার আত্মমৈথুনের পেচ্ছাপে তার বয়ে যাওয়া কেবল এক নিষ্পাপ প্রেমিকের স্বীকারোক্তি শুভার প্রতি তার শেষ প্রয়োজন।তাই ঋতুস্রাবে ধুয়ে যেতে চায় এক প্রেমিকের পাপতাড়িত কঙ্কাল।
এক অসাধারন কাল্পনিক চিত্র প্রেমিক সোহাগ স্বপ্ন গর্ভবতী শ্রীময়ী শুভার আসন্ন প্রস্ফুটিত কুসুম।শুকিয়ে যাওয়া বীর্য থেকে ডানা মেলে ৩০০০০০ উড়ে যাচ্ছে শুভার স্তনমন্ডলীর দিকে।রূপায়নে যেন কোন অন্তরীক্ষের দেবশিশু উন্মোচনে আজ ভেনিসলিঙ্গ।
অন্তিমে বিপর্যয়ে আলোড়িত হৃদয় এক নিষ্পাপ প্রেমীর।ড্রয়িং রুমের আটপৌরে যুবতী পোড়া কপাল কাঙালের অভাব আরশির। গরীবের দেওয়াল জুড়ে দেখবে কেমনে তোমার প্রতুষ্যের বাসি লিপস্টিকের সঞ্চয় মধুযামিনীর সঙ্গম কোলাহল।তাই আরশি থাকার পরেও স্বয়ং দর্শন ন্যাংটো মলয়কে ছেড়ে দিয়ে শুধু প্রেমিকের আত্মসমীক্ষন আপ্রতিষ্ঠিত খেয়োখেয়ি শুধু তোমার জন্য।
##আমার একটা ছোট্ট জটিল ধাঁধার আলোকবর্তের দ্বন্দ্বের খাওয়াখাওয়ি আলোড়ন ও ঐশ্বরিক বোধিসত্ত্ব অনন্ত শৌর্য ও বীর্য এর এক অনূঢ়া প্রণয়দগ্ধ কুসুমের রূপকথা শাশ্বত সৌন্দর্যের পরিণয় হয়ে অশ্লীলতার উর্ধ্বে এক কায়াহীন সঙ্গমের উপাখ্যান হয়ে উঠেছে এই সীমিত সংক্ষিপ্ত পরিসরে। সেই প্রসঙ্গে কিছু লিখলাম মলয় দার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আমার করা এক ছোট্ট উদযাপন সৃষ্টি ও মোক্ষের প্রশান্তির আঁতুড়ঘরে।
##উৎসর্গীকরণ মলয় রায় চৌধুরী
##শুভ জন্মদিন (আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা)
##সুপ্রীতি বর্মন গাঙ্গুলি
##চির তারুণ্য আপনার বজায় থাকুক রৌদ্রদগ্ধ প্রণয়িনী সঙ্গমে রাঙাপলাশের আগুনে।


13টি কমেন্ট