সোমবার

আপেল মাহমুদ : আনন্দবাজার ও মলয় রায়চৌধুরী

আনন্দবাজার খুব বড় কোন পত্রিকা কি? আমরা কেন বারবার আনন্দবাজারের সংবাদকে খুব বেশি পাত্তা দিয়ে ফেলি? আনন্দবাজারতো হরহামেশাই আমাদের আজে বাজে অনলাইন পত্রিকাগুলোর মত নিউজ করে।

এইতো গত ২০ জুনের ঘটনা। হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম আনন্দবাজার নিউজ শিরোনাম করেছে 'নেইমারের শাস্তি কমে এক ম্যাচ'। সংবাদ পড়ে দেখলাম কলম্বিয়ার সাথে ব্রাজিলের ম্যাচে নেইমার জুনাগাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে লালকার্ড খাবার শাস্তি কমে এক ম্যাচ করা হয়েছে। অথচ তখনো আমাদের চ্যানেলগুলো নেইমারের চার ম্যাচ নিষিদ্ধের খবর জানানো হচ্ছে। আমি শিওর হবার জন্য কয়েকজন ক্রীড়া রিপোর্টারকে ফোন দিলাম। সব শেষে শিওর হলাম আনন্দবাজারের নিউজটি সঠিক নয়। এমনকি সেই ভূয়া সংবাদটি তারা এখনো সরিয়ে নেয়নি বা সংশোধন করেনি।

গত ২২ জুন একটা সংবাদে আনন্দবাজার লিখল বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি নাকি দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের রাতে মুস্তাফিজুরকে নিয়ে গিয়েছিলেন ধোনীর রুমে। সেখানে মুস্তাফিজের আইপিএল দরজা খোলার সম্ভাবনা আছে কি না তা ধোনীর কাছে জানতে চান মাশরাফি। এমনকি ধোনির কাছে একটা ব্যাটও নাকি চেয়েছেন দেশের এক নবীন প্রতিভাকে উত্‌সাহিত করতে। ডাহা এই মিথ্যা কথাটা তারা কি করে লিখল? অদ্ভূত! এমনকি সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি মুস্তাফিজকে ধোনীর রুমে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে সাংবাদিকদের জানানোর পরেও আনন্দবাজার ভুল সংবাদটির জন্য ক্ষমা চায়নি এমনকি সংশোধনও করেনি। 

২২ জুনেরই আরেকটা সংবাদে আনন্দবাজার লিখলো বাংলাদেশীরা নাকি সুধীর গৌতমের উপর হামলা করেছে, পাথর নিক্ষেপ করেছে। অথচ সুধীর নিজেই জানিয়েছে তাকে কেউ পাথর নিক্ষেপ করেনি, আঘাতও করেনি। এমনকি তার সাথে যা হয়েছে সেটাকে মোটেও 'হামলা' শব্দ ব্যবহার উপযোগি কোন ঘটনা বলা যাবেনা। 

গত ৬ জুনের আরেকটা সংবাদ শৈলেন সরকার নামের একজন সাংবাদিক 'হাংরি জেনারেশন রচনা সমগ্র' বুক রিভিউ লিখতে গিয়ে স্বয়ং মলয় রায়চৌধুরীর অবদানকে খাটো করেছেন। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে শৈলেন সরকার মলয়'দার 'প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার' কবিতাটিকে 'প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক কুঠার' বলে লিখেছেন। বলাই বাহুল্য যে কবিতার জন্য মলয়'দার বিরুদ্ধে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার মামলা করেছিল সেই কবিতার নামটা পর্যন্ত ঠিকভাবে জানেনা, তারা অাবার সাংবাদিক! আর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় এই যে মলয়'দা এই বিষয়টি নিজের ফেসবুকে খুব কঠোরভাবে লেখার পরেও আনন্দবাজার এখনো কোন ক্ষমা চায়নি এমনকি তাদের অনলাইন ভার্সনেও কবিতার নামটি সংশোধন করেনি

আমার কোলকাতার বন্ধুদের মুখেই শুনেছি ওরা আনন্দবাজারের সংবাদকে এতটাও গুরুত্ব দেয়না যতটা গুরুত্ব দেই আমরা বাংলাদেশীরা। তাই বলি কি, অনেক হইছে। আর না। এক জুন মাসেই যে পত্রিকাটি এত এত ভুল করে সেই পত্রিকার সারা বছরের নিউজ ঘাটলে ভুলের পাহাড় বের করা যাবে। তাই এই দায়িত্বজ্ঞানহীন নিম্নমানের পত্রিকাটির সংবাদ নিয়ে আর লাফালাফি না করি। পাগল পাগলের প্রলাপ বকতে থাকুক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন