২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে নিরস্ত্র কৃষকদের উপর পুলিশের নির্বিচার গুলিচালনায়
হাড় হিম হয়ে গিয়েছেল সকলের। কবিরাও শামিল হয়েছিলেন প্রতিবাদে। সেই সময়
ষাটের বিশিষ্ট হাংরি কবি অরুণেশ ঘোষ
তথাকথিত অন্ত্যজ, অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষের চূড়ান্ত ঘৃণার প্রকাশ ধরে রেখেছেন
তাঁর ‘আমার কবিতাযাত্রা’ গ্রন্থে, এইভাবে, ‘থুঃ বুদ্ধ থুঃ/খা কুকুরের
গু/থুঃ বিনয় থুঃ/খা ক্যাডারের গু/থুঃ বিমান থুঃ/খা মানুষের গু’। মাতালরা
সুর করে এই বাণী গেয়ে যায় ভাটিখানায, কবি শোনেন, আর তাঁর নিজের ভিতরে তৈরি
থাকে ‘পশুরাও অন্তর্লীন হাসে’ পুস্তিকার
(জুন, ২০০৭) অসম্ভব কবিতাগুলি, যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘বাইকে
বাইক/ম্যাসকারাইজড/ গুলি বন্দুক/পরে ভাঙচুর/লাগাও আগুন/ হোক
মুখচুন/বিদ্রোহীদের/বোকাচোতাদের/ বোঝ এইবার/কথা বলবার/হয়েছিল সাধ/মাঠে পড়ে
থাক/মুণ্ডুটা নেই/নাচ ধেই ধেই/ধীরে ধর্ষণ/কাছে সত্ বোন/দাঁত কিড়মিড়/সে তো
পার্টির/বল, জোরে কর/মাগী বর্বর।’ কবিরা চিরকাল এইভাবে আমাদের অগোচরে
ইতিহাস লিখে রেখে যান, যার কোনও ফুটনোট লাগে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন