'আনন্দবাজার পত্রিকা'-য় হাংরি জেনারেশন নিয়ে দুইটি লেখা পড়ে একদম মাইন্ড গট সুপ্রিমলি বগলড্। এরকম কিছু লাইন পাওয়া গেল একদম বেসিক তথ্যের নিরিখে -
১। ১৯৬১ সালে হাংরি জেনারেশনের প্রথম লিফলেটে এই আন্দোলনের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে পরিচয়দাতা মলয় রায়চৌধুরী ১৯৬৪ সালেই এই আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
২। যতই মলয় রায়চৌধুরী ... নিজের বুর্জোয়া অতীত নিয়ে গর্ব প্রকাশ করুন বা ১৯৬৪ সালে হাংরি জেনারেশনের মৃত্যু ঘোষণা করুন, তাতে তিনি যে ১৯৬৫-র আগে পর্যন্ত অর্থাৎ হাংরি জেনারেশনের প্রথম পর্বের এক জন ছিলেন এটা তো অপ্রমাণ হয় না।
১। ১৯৬১ সালে হাংরি জেনারেশনের প্রথম লিফলেটে এই আন্দোলনের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে পরিচয়দাতা মলয় রায়চৌধুরী ১৯৬৪ সালেই এই আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
২। যতই মলয় রায়চৌধুরী ... নিজের বুর্জোয়া অতীত নিয়ে গর্ব প্রকাশ করুন বা ১৯৬৪ সালে হাংরি জেনারেশনের মৃত্যু ঘোষণা করুন, তাতে তিনি যে ১৯৬৫-র আগে পর্যন্ত অর্থাৎ হাংরি জেনারেশনের প্রথম পর্বের এক জন ছিলেন এটা তো অপ্রমাণ হয় না।
অথচ শৈলেন সরকার লিখিত রিভিউটির দ্বিতীয় প্যারায়, যেখানে একগাদা উদ্ধৃতি-র
আগে এই লাইনটি আছে "যেখানে শৈলেশ্বর ঘোষ সত্তর দশকে শুরু হওয়া ‘হাংরি জেনারেশন’ আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছেন"। '৬১-তে শুরু হওয়া আন্দোলন 'সত্তর দশক' হয়ে গেল কেমনে?
এই আন্দোলনটি নিয়ে খুব লেম্যান-গোত্রের উৎসাহ আছে বলেই রিভিউগুলি পড়তে গিয়েছিলাম - বদলে পাওয়া গেল মলয় রায়চৌধুরী আন্দোলনের শুরুতে ছিলেন না শেষে, আন্দোলনের পিতা ছিলেন না জারজ সন্তান জাতীয় চায়ের দোকানের আলোচনা। দুটি রিভিউতেই ছুতার 'কুঠার' হয়ে গেছে, হয় মুদ্রকের শশব্যস্ত ভূত বা আবাপ-তে অটোকারেক্টের নৃত্য চলছে। সৃজিতের 'বাইশে শ্রাবণ'-এর সময় থেকেই মিডিয়া ও কালচারে 'হাংরি' বেশ ইন-থিং হয়েছে বুঝতে পারছি, কিন্তু ইদানিং কিছু ভালো গবেষণা হচ্ছে বলেও জানা যায়। সেইসব গবেষকদের দিয়েও লেখানো যেত, তার বদলে এইসব মনবগলীয় লেখা এখন সর্বাধিক বিকৃত পত্রিকায় বেরোচ্ছে, যা থেকে না জানা যায় মুভমেন্টটি নিয়ে ন্যূনতম তথ্য, না বোঝা যায় বইয়ে কি আছেটা কি, মনোজ্ঞ সমালোচনা তো দূরে থাক! এইসব সাহিত্য আপনারা পছন্দ করেন না, সেটা সোজাসুজি বলে দিলেও তো হয়!
এই আন্দোলনটি নিয়ে খুব লেম্যান-গোত্রের উৎসাহ আছে বলেই রিভিউগুলি পড়তে গিয়েছিলাম - বদলে পাওয়া গেল মলয় রায়চৌধুরী আন্দোলনের শুরুতে ছিলেন না শেষে, আন্দোলনের পিতা ছিলেন না জারজ সন্তান জাতীয় চায়ের দোকানের আলোচনা। দুটি রিভিউতেই ছুতার 'কুঠার' হয়ে গেছে, হয় মুদ্রকের শশব্যস্ত ভূত বা আবাপ-তে অটোকারেক্টের নৃত্য চলছে। সৃজিতের 'বাইশে শ্রাবণ'-এর সময় থেকেই মিডিয়া ও কালচারে 'হাংরি' বেশ ইন-থিং হয়েছে বুঝতে পারছি, কিন্তু ইদানিং কিছু ভালো গবেষণা হচ্ছে বলেও জানা যায়। সেইসব গবেষকদের দিয়েও লেখানো যেত, তার বদলে এইসব মনবগলীয় লেখা এখন সর্বাধিক বিকৃত পত্রিকায় বেরোচ্ছে, যা থেকে না জানা যায় মুভমেন্টটি নিয়ে ন্যূনতম তথ্য, না বোঝা যায় বইয়ে কি আছেটা কি, মনোজ্ঞ সমালোচনা তো দূরে থাক! এইসব সাহিত্য আপনারা পছন্দ করেন না, সেটা সোজাসুজি বলে দিলেও তো হয়!
Public posts
হাংরি জেনারেশন : মলয় রায়চৌধুরী (জন্ম : ২৯ অক্টোবর, ১৯৩৯): তিনি হাংরি
জেনারেশনের জনক। কবিতা ছাড়াও সাহিত্যের অন্যান্য মাধ্যমেও তিনি তার
সৃজনশীলতার অনবদ্য স্বাক্ষর রেখেছেন সমান ভাবে। মলয় রায়চৌধুরীর
প্রতিদ্বন্দ্বী মলয় রায় নিজেই। পাঠকের সামনে তাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে
দেবার কিছু নেই। এখানে যৎসামান্য বয়ান শুধুমাত্র সূ্ত্রমুখ হিসেবে দেওয়া
হল। বলা হয়ে থাকে, আধুনিক বাংলা কবিতার ইতিহাসে তিনি এক বিতর্কিত
ব্যক্তিত্ব। তিনি ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কবিতাটির জন্য গ্রেফতার ও
কারাবরণ করেন। ...
Continue reading
Continue reading
youtube.com
হাংরি
আন্দোলনের সূত্রপাতের সময়ে পশ্চিমবঙ্গের আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক
পরিস্হিতি আন্দোলনের পক্ষে যথেষ্ট অনুকুল ছিল। কিন্তু অনুকূল ছিল না
প্রাতিষ্ঠানিক সাংস্কৃ...
আজ,
সাহিত্যিক সুবিমল বসাকের জন্মদিন। তাঁর সম্পর্কে ফালগুনী রায় বলেছিলেন –
‘সুবিমল রবিঠাকুরের মত গান বা নাটক লেখেননি কোনদিন, সো হোয়াট? রবীন্দ্রনাথ
না থাকলে সুবিমল লিখতেন না কি?’
bongodorshon.com
‘সুবিমল বসাকই একমাত্র সুবিমল বসাকের ইতিহাস’
PeopleSee all
ভালোবাসি তাই প্রেম করি না, মেয়েরা ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাবেন না ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন