মাসাই অবন্তিকা
দুশো বছর আগে আমার শব সেরেংগেটির শুকনো ঘাসে
নিয়ম মেনে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল বুড়ো মাসাই কর্তারা
যাতে শকুন শেয়াল হায়নারা ছিঁড়ে খেয়ে আমার সুনাম অক্ষুন্ন রাখে
কোনো পশু খেতে চায়নি আমার মরদেহ ওই ভাবেই দুদিন পড়েছিলুম
তুই তখন একমাত্র মাসাই দেবতা এনগাদির সদাশয় কালো রূপের
থানে গিয়ে প্রার্থনা করেছিলিস যাতে এনগাদির লাল রাগি রূপ
আমাকে ছেড়ে চলে যায়, রাতে আমার শবে ভেড়ার চর্বি আর রক্ত মাখিয়ে
অন্ধকারে দেখেছিলিস চোখের আলো জ্বেলে সিংহরা আমাকে শুঁকে চলে গেল
তারপর এলো হায়নার দল, তারা আমায় ছিঁড়ে-ছিঁড়ে তোর মুখে হাসি ফোটালো
মাদি আলফা হায়নার গর্ভে ঢুকে প্রতিটি হায়নার রক্তে তারপর থেকে
আমাকে পাচ্ছে মাসাই যুবতীরা তাদের মাংস খাইয়ে রেখেছে অমর করে
দুশো বছর আগে সেরেংগেটির বুনোঘাস রোদে ন্যাড়া মাথায়
গোরুর রক্ত খেয়ে কালো ঘেমো বুক খুলে যুবতীদের সঙ্গে নাচছিলিস
তোর বুক তোর সঙ্গে আমার চাউনির মতো নাচছিল
সঙ্গিনীদের ঝুলে পড়া বুক তাদের বুকের থেকে আলাদা নাচে কাহিল
তোর ভগাঙ্কুর আর যোনির ঠোঁট তিন বছর বয়সেই
বুড়িমা কেটে দিয়েছিল তুই কেঁদে ছিলিস অনেক দিন
এমুরাতারে কাটনির ফলে পেচ্ছাপ করতে কষ্ট হতো দাঁড়িয়ে করতিস
লাল কিটেঙ্গে শায়ার ওপর নকশাকাটা লাল খাঙ্গা ব্লাউজ
তার ওপর লাল চাককাটা শুকা চাদর দুই হাতে রঙিন এনকিসোমা
রাবতা আর ব্রেসলেট কচি ভেড়ার হাড়ের ব্রেসলেট
সিংহিনীর দুপাটি দাঁত জুড়ে কন্ঠহার
আমি নতুন যোদ্ধা জটপড়া চুলে ড্রেডলকস হাতে বর্শা
চুলে নিয়মিত গোরুর চর্বি লাগিয়ে সূর্যকে ধরে রাখি
মাসাই নিয়মে পুরুষরা কখনও হাত দুলিয়ে হাঁটে না
পাঁচ বছর আগে আমার নুনুর চামড়া যখন মাসাই জানগুরু ছাড়িয়েছিল
মুখে কোনো কষ্ট-যন্ত্রণার ভাব ফুটিয়ে তুলিনি
তাহলে আমাকে কাপুরুষ বদনাম দিয়ে একঘরে করে দেয়া ্তো
তোকে পাবার জন্য একা জঙ্গলে গিয়ে সিংহ শিকার করে এনেছিলুম
সিংহের চামড়া পরে হাতে বর্শা নিয়ে নেচেছিলুম আগুনের ফিনকি ঘিরে
মাথায় পরে নিয়েছিলুম সিংহে মাথা দুলছিল কালো কেশর
আমরা সবাই সিংহের মাংস আগুনে পুড়িয়ে খেয়েছিলুম
রোজই ভেড়া ছাগল গোরুর মাংস খেয়ে মুখ বিস্বাদ হয়ে গিয়েছিল
জঙ্গল পেরিয়ে অনেক দূরের ইকোবাদের গ্রাম থেকে দশটা গুরু লুটে এনেছিলুম
তোর বাবা বলেছিলেন কুড়িটা গোরুর মালিক হলে তবে তোকে পাবো
তোকে পাবার পরও মাসাই নিয়মে প্রায়ই তোকে অতিথিদের সঙ্গে শুতে হতো
জানি না আমার কুড়িটা বাচ্চার মধ্যে ক'টা আমার
তুই বলেছিলিস সবক'টা আমার সকলে তোর যোনির হদিশ পেতো না
কালো এনদাগি বলেছেন জবজগতে গোরু বলদ ষাঁড় কেবল মাসাইদের
লাল এনদাগি বলেছেন তোর যোনি শুধু আমার
তোর জন্য গোরুর হাড়ের কানে পরার গয়না বানিয়ে দিয়েছি
ভেড়ার হার দিয়ে পুঁতি তৈরি করে দিয়েছি
খোলা বুকে নাচের সঙ্গে ওগুলোও নাচে
দুশো বছর হয়ে গেছে এখনও পুঁতির ঝমঝমানি শুনতে পাই
আমার পাশেই তোর বুড়ি শব ফেলে গিয়েছিল
শেয়াল শকুন হায়নারা তোকে খায়নি বলে মরে গিয়ে ভাবি
আমার চেয়ে বেশি অতিথিরাই আদর করেছে তোকে
তুই মাসাই সুন্দরী ছিলিস অবন্তিকা, তাই...
( সোনালী মিত্র সম্পাদিত "মায়াজম" পত্রিকার ২০১৬ কলকাতা বইমেলা সংখ্যা থেকে পুনর্মুদ্রিত )
নিয়ম মেনে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল বুড়ো মাসাই কর্তারা
যাতে শকুন শেয়াল হায়নারা ছিঁড়ে খেয়ে আমার সুনাম অক্ষুন্ন রাখে
কোনো পশু খেতে চায়নি আমার মরদেহ ওই ভাবেই দুদিন পড়েছিলুম
তুই তখন একমাত্র মাসাই দেবতা এনগাদির সদাশয় কালো রূপের
থানে গিয়ে প্রার্থনা করেছিলিস যাতে এনগাদির লাল রাগি রূপ
আমাকে ছেড়ে চলে যায়, রাতে আমার শবে ভেড়ার চর্বি আর রক্ত মাখিয়ে
অন্ধকারে দেখেছিলিস চোখের আলো জ্বেলে সিংহরা আমাকে শুঁকে চলে গেল
তারপর এলো হায়নার দল, তারা আমায় ছিঁড়ে-ছিঁড়ে তোর মুখে হাসি ফোটালো
মাদি আলফা হায়নার গর্ভে ঢুকে প্রতিটি হায়নার রক্তে তারপর থেকে
আমাকে পাচ্ছে মাসাই যুবতীরা তাদের মাংস খাইয়ে রেখেছে অমর করে
দুশো বছর আগে সেরেংগেটির বুনোঘাস রোদে ন্যাড়া মাথায়
গোরুর রক্ত খেয়ে কালো ঘেমো বুক খুলে যুবতীদের সঙ্গে নাচছিলিস
তোর বুক তোর সঙ্গে আমার চাউনির মতো নাচছিল
সঙ্গিনীদের ঝুলে পড়া বুক তাদের বুকের থেকে আলাদা নাচে কাহিল
তোর ভগাঙ্কুর আর যোনির ঠোঁট তিন বছর বয়সেই
বুড়িমা কেটে দিয়েছিল তুই কেঁদে ছিলিস অনেক দিন
এমুরাতারে কাটনির ফলে পেচ্ছাপ করতে কষ্ট হতো দাঁড়িয়ে করতিস
লাল কিটেঙ্গে শায়ার ওপর নকশাকাটা লাল খাঙ্গা ব্লাউজ
তার ওপর লাল চাককাটা শুকা চাদর দুই হাতে রঙিন এনকিসোমা
রাবতা আর ব্রেসলেট কচি ভেড়ার হাড়ের ব্রেসলেট
সিংহিনীর দুপাটি দাঁত জুড়ে কন্ঠহার
আমি নতুন যোদ্ধা জটপড়া চুলে ড্রেডলকস হাতে বর্শা
চুলে নিয়মিত গোরুর চর্বি লাগিয়ে সূর্যকে ধরে রাখি
মাসাই নিয়মে পুরুষরা কখনও হাত দুলিয়ে হাঁটে না
পাঁচ বছর আগে আমার নুনুর চামড়া যখন মাসাই জানগুরু ছাড়িয়েছিল
মুখে কোনো কষ্ট-যন্ত্রণার ভাব ফুটিয়ে তুলিনি
তাহলে আমাকে কাপুরুষ বদনাম দিয়ে একঘরে করে দেয়া ্তো
তোকে পাবার জন্য একা জঙ্গলে গিয়ে সিংহ শিকার করে এনেছিলুম
সিংহের চামড়া পরে হাতে বর্শা নিয়ে নেচেছিলুম আগুনের ফিনকি ঘিরে
মাথায় পরে নিয়েছিলুম সিংহে মাথা দুলছিল কালো কেশর
আমরা সবাই সিংহের মাংস আগুনে পুড়িয়ে খেয়েছিলুম
রোজই ভেড়া ছাগল গোরুর মাংস খেয়ে মুখ বিস্বাদ হয়ে গিয়েছিল
জঙ্গল পেরিয়ে অনেক দূরের ইকোবাদের গ্রাম থেকে দশটা গুরু লুটে এনেছিলুম
তোর বাবা বলেছিলেন কুড়িটা গোরুর মালিক হলে তবে তোকে পাবো
তোকে পাবার পরও মাসাই নিয়মে প্রায়ই তোকে অতিথিদের সঙ্গে শুতে হতো
জানি না আমার কুড়িটা বাচ্চার মধ্যে ক'টা আমার
তুই বলেছিলিস সবক'টা আমার সকলে তোর যোনির হদিশ পেতো না
কালো এনদাগি বলেছেন জবজগতে গোরু বলদ ষাঁড় কেবল মাসাইদের
লাল এনদাগি বলেছেন তোর যোনি শুধু আমার
তোর জন্য গোরুর হাড়ের কানে পরার গয়না বানিয়ে দিয়েছি
ভেড়ার হার দিয়ে পুঁতি তৈরি করে দিয়েছি
খোলা বুকে নাচের সঙ্গে ওগুলোও নাচে
দুশো বছর হয়ে গেছে এখনও পুঁতির ঝমঝমানি শুনতে পাই
আমার পাশেই তোর বুড়ি শব ফেলে গিয়েছিল
শেয়াল শকুন হায়নারা তোকে খায়নি বলে মরে গিয়ে ভাবি
আমার চেয়ে বেশি অতিথিরাই আদর করেছে তোকে
তুই মাসাই সুন্দরী ছিলিস অবন্তিকা, তাই...
( সোনালী মিত্র সম্পাদিত "মায়াজম" পত্রিকার ২০১৬ কলকাতা বইমেলা সংখ্যা থেকে পুনর্মুদ্রিত )
মলয়দাস বাউলের গান
ডোমনি, তুইই দয়াল, কালো জাগুয়ার চামড়ায় মোড়া দেহ তোর
দু'জনে ধুলোয় গড়াগড়ি দিয়ে যা শিখেছি তা পশুসঙ্গের মহাবোধ
ডোমনি, তুইই দয়াল, ঘামের ত্বকে মোড়া বিকেলের পাঁকবিলাসিনী
পুলিশের গুলি খেয়ে কিশোরী বয়সে তুই খোঁড়া হয়ে গিয়েছিলি
ডোমনি, তুইই দয়াল, মেছুনির হাজা-হাত, কাগজকুড়ানিয়াফাটল-গোড়ালি
কী করে মগজে নিয়ে যাবো সুষুম্নার মুখে ইড়ার রাস্তায় জড়ো করা বীজ
ডোমনি, তুইই দয়াল, বন্দু ধারণের যোগ্য করে তুলবি কবে
দম নেবো আর ছাড়ব না দঞ যাতে কুম্ভকে থাকি বহুক্ষণ
ডোমনি, তুইই দয়াল, পচা মাংসের গন্ধ তোর মুখে, ঠোঁটেতে কাকের রক্ত
তোর লবণামৃতে সকাল-সন্ধে চান করিয়ে পাপিষ্ঠ করে তুলবি আমাকে
ডোমনি, তুইই দয়াল, শ্রেনিহীন করে দিস, আমিশাষী রসে
নাভিচক্রে কাতুকুতু থিতু করে আসক্তির স্বর্ণলতা দিয়ে মুড়ে দিস
ডোমনি, তুইই দয়াল, বলে দে কেমন করে কুণ্ডলনী চক্র জেগে যাবে
তর্জনীতে অষ্টগুণ ধরে রাখবার ক্রিয়া তোয়াক্কাবিহীন করে দিবি
ডোমনি, তুইই দয়াল, আমাকে যথেচ্ছাচারী মূর্খ করে তোল
নিরক্ষর হয়ে যেতে চাই, অশুদ্ধচিত্ত, নির্বোধ, কমলকুলিশ
ডোমনি, তুইই দয়াল, হাত ধরাধরি করে ডুব দিই বিষ্ঠার পাঁকে
দু'জনে ধুলোয় গড়াগড়ি দিয়ে যা শিখেছি তা পশুসঙ্গের মহাবোধ
ডোমনি, তুইই দয়াল, ঘামের ত্বকে মোড়া বিকেলের পাঁকবিলাসিনী
পুলিশের গুলি খেয়ে কিশোরী বয়সে তুই খোঁড়া হয়ে গিয়েছিলি
ডোমনি, তুইই দয়াল, মেছুনির হাজা-হাত, কাগজকুড়ানিয়াফাটল-গোড়ালি
কী করে মগজে নিয়ে যাবো সুষুম্নার মুখে ইড়ার রাস্তায় জড়ো করা বীজ
ডোমনি, তুইই দয়াল, বন্দু ধারণের যোগ্য করে তুলবি কবে
দম নেবো আর ছাড়ব না দঞ যাতে কুম্ভকে থাকি বহুক্ষণ
ডোমনি, তুইই দয়াল, পচা মাংসের গন্ধ তোর মুখে, ঠোঁটেতে কাকের রক্ত
তোর লবণামৃতে সকাল-সন্ধে চান করিয়ে পাপিষ্ঠ করে তুলবি আমাকে
ডোমনি, তুইই দয়াল, শ্রেনিহীন করে দিস, আমিশাষী রসে
নাভিচক্রে কাতুকুতু থিতু করে আসক্তির স্বর্ণলতা দিয়ে মুড়ে দিস
ডোমনি, তুইই দয়াল, বলে দে কেমন করে কুণ্ডলনী চক্র জেগে যাবে
তর্জনীতে অষ্টগুণ ধরে রাখবার ক্রিয়া তোয়াক্কাবিহীন করে দিবি
ডোমনি, তুইই দয়াল, আমাকে যথেচ্ছাচারী মূর্খ করে তোল
নিরক্ষর হয়ে যেতে চাই, অশুদ্ধচিত্ত, নির্বোধ, কমলকুলিশ
ডোমনি, তুইই দয়াল, হাত ধরাধরি করে ডুব দিই বিষ্ঠার পাঁকে
মলয় ফকিরের গান
ডোমনি, তুইই দয়াল, রোজ ভোরবেলা দেখি
আঁস্তাকুড় থেকে বেছে নিচ্ছিস কতো পরিত্যাগ
ডোমনি, তুইই দয়াল, আদিমতমা নারীবাদী
বডিস পরতে দেখিনি কোনোদিন, তোর দু'বুকের ভাঁজে
ডোমনি, তুইই দয়াল, জ্যোতি আছে কখনো বা আচমকা
বোঁটাও ঝিলিক দেয়, তাতে কিচ্ছু যায় বা আসেনাকো তোর
ডোমনি, তুইই দয়াল, বাতিল কনডোম তুলে নিয়ে বীর্য শুঁকিস
সুগন্ধে হাসিস মিটিমিটি, হাঁ করে গলায় ঢেলে নিস ফোঁটা-ফোঁটা
ডোমনি, তুইই দয়াল, বারোয়ারি বীজঠোঁটে কবে চুমু খাবো
তুই জিভ টেনে নিবি মুখে সুষুম্না লতিয়ে উঠে ঝরবে তলাতল
ডোমনি, তুইই দয়াল, রক্তমাখা স্যানিটারি ন্যাপকিন
তুলে নিয়ে চটের বস্তায় ভরে নিস, বস্তিতে গিয়ে রক্ত মাখবি গায়ে
ডোমনি, তুইই দয়াল, ওই বাসি রক্ত চেটে নিঃস্বভাবি হতে চাই
ডোমনি, তুইই দয়াল, শিখিয়ে দিয়েছিস শ্বাসবায়ু বন্ধ করে রেখে
ইচ্ছাধীন উড়ন্ত দেহে কুম্ভক সৃষ্টির ইন্দ্রজাল
ডোমনি, তুইই দয়াল, নাভিতে কতোকাল ময়লা জমে আছে
নিয়ে চল তোর ডেরায় জিভ দিয়ে পরিষ্কার করি
ডোমনি, তুইই দয়াল, প্রতিমাসে জোয়ারে ভেসে যাস
তোর তিন নাড়িতে ত্রিবেণী সংহতি
ডোমনি, তুইই দয়াল, রস ও রতির মিশেলে জেগে ওঠ
গরলামৃত নিয়ে আমার মতন সাধকের সাথে নৃত্য কর
ডোমনি, তুইই দয়াল, ইড়াতে পূরক, পিঙ্গলায় রেচক শেখালি
নদীর একূল-ওকূলে অধরে ধরে রেখে নির্মাণচক্রে ঘুমোস
ডোমনি, তুইই দয়াল, তোর লাবণ্যামৃতে চান করে উন্মাদ হই
বিন্দু ধারণের যোগ্য কবে করে তুলবি আমায়
ডোমনি, তুইই দয়াল, শ্মশানের কাঠকয়লায় রেঁধেছিস ভাত
করোটির থালায় ভরে খাবো দুইজনে পোড়া মাংস দিয়ে
ডোমনি, তুইই দয়াল, বলি দেয়া পাঁঠার রক্ত এনে ভরিস করোটিতে
একদিন আমারও করোটিতে চুমু দিয়ে রক্ত খেয়ে নাচবি ধামাল
ডোমনি, তুইই দয়াল, রজঃপ্রবৃত্তির তিনদিন তিনরাত
দেহের অমাবস্যায় তুই আমাকে পূর্ণিমা দিস
ডোমনি, তুইই দয়াল, আমার ব্যক্তিসত্ত্বা কবে লোপ করে দিবি
আনন্দকে তিনটে দিনের লাল আলো জ্বেলে শীতোষ্ণ করবি কবে
ডোমনি, তুইই দয়াল, চেয়ে দ্যাখ, আমি আঁস্তাকুড়
মানুষের ফেলে দেয়া সবকিছু নিজের অস্তিত্বে ধরে আছি
ডোমনি, তুই দয়াল, আমাকে আলেখ পুরুষ করে তোল
বলে দে কেমন করে স্খলন বন্ধ করে কবিত্বের শক্তি যোগাবো
ডোমনি, তুইই দয়াল, আমাকে সহজ পুরুষ করে তোল
বলে দে কেমন করে সারা দেহে প্রেমানন্দ আনবে বানভাসি
ডোমনি তুইই দয়াল, আমাকে অশ্লীলতম নোংরা গান শেখা
ঝরাই অশ্রাব্য অমৃতধারা এই লাৎখোর বঙ্গসমাজে
ডোমনি, তুইই দয়াল, তুইই শবরী, চণ্ডালী, শৈবালযোনি
পদ্ম আর বজ্রের যোগফলে ক্লেশশত্রুজয়ী পুরুষ করে তোল রে আমাকে
ডোমনি, তুইই দয়াল, কবে তোর অতিনোংরা চরণ দুটি পাবো
বুকের ওপরে রেখে খেলবি দজ্জালদোষে নৈরাত্মহরণ
আঁস্তাকুড় থেকে বেছে নিচ্ছিস কতো পরিত্যাগ
ডোমনি, তুইই দয়াল, আদিমতমা নারীবাদী
বডিস পরতে দেখিনি কোনোদিন, তোর দু'বুকের ভাঁজে
ডোমনি, তুইই দয়াল, জ্যোতি আছে কখনো বা আচমকা
বোঁটাও ঝিলিক দেয়, তাতে কিচ্ছু যায় বা আসেনাকো তোর
ডোমনি, তুইই দয়াল, বাতিল কনডোম তুলে নিয়ে বীর্য শুঁকিস
সুগন্ধে হাসিস মিটিমিটি, হাঁ করে গলায় ঢেলে নিস ফোঁটা-ফোঁটা
ডোমনি, তুইই দয়াল, বারোয়ারি বীজঠোঁটে কবে চুমু খাবো
তুই জিভ টেনে নিবি মুখে সুষুম্না লতিয়ে উঠে ঝরবে তলাতল
ডোমনি, তুইই দয়াল, রক্তমাখা স্যানিটারি ন্যাপকিন
তুলে নিয়ে চটের বস্তায় ভরে নিস, বস্তিতে গিয়ে রক্ত মাখবি গায়ে
ডোমনি, তুইই দয়াল, ওই বাসি রক্ত চেটে নিঃস্বভাবি হতে চাই
ডোমনি, তুইই দয়াল, শিখিয়ে দিয়েছিস শ্বাসবায়ু বন্ধ করে রেখে
ইচ্ছাধীন উড়ন্ত দেহে কুম্ভক সৃষ্টির ইন্দ্রজাল
ডোমনি, তুইই দয়াল, নাভিতে কতোকাল ময়লা জমে আছে
নিয়ে চল তোর ডেরায় জিভ দিয়ে পরিষ্কার করি
ডোমনি, তুইই দয়াল, প্রতিমাসে জোয়ারে ভেসে যাস
তোর তিন নাড়িতে ত্রিবেণী সংহতি
ডোমনি, তুইই দয়াল, রস ও রতির মিশেলে জেগে ওঠ
গরলামৃত নিয়ে আমার মতন সাধকের সাথে নৃত্য কর
ডোমনি, তুইই দয়াল, ইড়াতে পূরক, পিঙ্গলায় রেচক শেখালি
নদীর একূল-ওকূলে অধরে ধরে রেখে নির্মাণচক্রে ঘুমোস
ডোমনি, তুইই দয়াল, তোর লাবণ্যামৃতে চান করে উন্মাদ হই
বিন্দু ধারণের যোগ্য কবে করে তুলবি আমায়
ডোমনি, তুইই দয়াল, শ্মশানের কাঠকয়লায় রেঁধেছিস ভাত
করোটির থালায় ভরে খাবো দুইজনে পোড়া মাংস দিয়ে
ডোমনি, তুইই দয়াল, বলি দেয়া পাঁঠার রক্ত এনে ভরিস করোটিতে
একদিন আমারও করোটিতে চুমু দিয়ে রক্ত খেয়ে নাচবি ধামাল
ডোমনি, তুইই দয়াল, রজঃপ্রবৃত্তির তিনদিন তিনরাত
দেহের অমাবস্যায় তুই আমাকে পূর্ণিমা দিস
ডোমনি, তুইই দয়াল, আমার ব্যক্তিসত্ত্বা কবে লোপ করে দিবি
আনন্দকে তিনটে দিনের লাল আলো জ্বেলে শীতোষ্ণ করবি কবে
ডোমনি, তুইই দয়াল, চেয়ে দ্যাখ, আমি আঁস্তাকুড়
মানুষের ফেলে দেয়া সবকিছু নিজের অস্তিত্বে ধরে আছি
ডোমনি, তুই দয়াল, আমাকে আলেখ পুরুষ করে তোল
বলে দে কেমন করে স্খলন বন্ধ করে কবিত্বের শক্তি যোগাবো
ডোমনি, তুইই দয়াল, আমাকে সহজ পুরুষ করে তোল
বলে দে কেমন করে সারা দেহে প্রেমানন্দ আনবে বানভাসি
ডোমনি তুইই দয়াল, আমাকে অশ্লীলতম নোংরা গান শেখা
ঝরাই অশ্রাব্য অমৃতধারা এই লাৎখোর বঙ্গসমাজে
ডোমনি, তুইই দয়াল, তুইই শবরী, চণ্ডালী, শৈবালযোনি
পদ্ম আর বজ্রের যোগফলে ক্লেশশত্রুজয়ী পুরুষ করে তোল রে আমাকে
ডোমনি, তুইই দয়াল, কবে তোর অতিনোংরা চরণ দুটি পাবো
বুকের ওপরে রেখে খেলবি দজ্জালদোষে নৈরাত্মহরণ
মলয় সাঁইয়ের গান
ডোমনি, তুইই দয়াল, যাতে জ্বালা জুড়োবার ইচ্ছে পুরো ঘুচে যায়
জ্ঞানহীন বন্ধুবর্জিত শত্রুঘেরা থাকি তার ব্যবস্হা করে দিস
ডোমনি, তুইই দয়াল, মোমাছির চাকে মোড়া তোর অঙ্গ, অনিত্যানন্দময়ী
নিয়ে চল মহাবিলাসের গর্তে, করে তোল যতোটা পারিস অদীক্ষিত
ডোমনি, তুইই দয়াল, অশুভের নাচগানে সাধক করে তোল রে আমাকে
কী-কী করলে মহাপাপ হবে তার রাস্তা বলে দে, গোত্রবর্জিত করে তোল
ডোমনি, তুইই মহান, অপ্রেমপন্হায় শ্রীগুহ্যসমাজতন্ত্র ভাঙচুর কর
মগজের আশিক মাশুকাদের স্মৃতিহীন করে মেরে ফ্যাল
ডোমনি, তুইই দয়াল, শরীরের ব্যকরণ মুছে দে রে মস্তিষ্ক থেকে
নিয়ে চল ভুল পথে দেখা যাক মর্ষমজা কীরকম দোষদুষ্ট খেলি
ডোমনি, তুইই দয়াল, যাতে জ্বালা জুড়োবার ইচ্ছে পুরো ঘুচে যায়
জ্ঞানহীন বন্ধুবর্জিত শত্রুঘেরা থাকি তার ব্যবস্হা করে দিস
ডোমনি, তুইই দয়াল, মোমাছির চাকে মোড়া তোর অঙ্গ, অনিত্যানন্দময়ী
নিয়ে চল মহাবিলাসের গর্তে, করে তোল যতোটা পারিস অদীক্ষিত
ডোমনি, তুইই দয়াল, অশুভের নাচগানে সাধক করে তোল রে আমাকে
কী-কী করলে মহাপাপ হবে তার রাস্তা বলে দে, গোত্রবর্জিত করে তোল
ডোমনি, তুইই মহান, অপ্রেমপন্হায় শ্রীগুহ্যসমাজতন্ত্র ভাঙচুর কর
মগজের আশিক মাশুকাদের স্মৃতিহীন করে মেরে ফ্যাল
ডোমনি, তুইই দয়াল, শরীরের ব্যকরণ মুছে দে রে মস্তিষ্ক থেকে
নিয়ে চল ভুল পথে দেখা যাক মর্ষমজা কীরকম দোষদুষ্ট খেলি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন