মঙ্গলবার

হাংরি আন্দোলনের অবদান নিয়ে বিতর্ক : বিষয় প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার


  • হাংরি আন্দোলনের অবদান

    - প্রবীর চ্যাটার্জী(ভোরের পাখি)


    রাজীব ভৌমিক ০২/০৯/২০১৫, ১৭:২১ মি:
    হাংরি আন্দোলন নিয়ে এত গোছানো লেখা আমি আর পড়ি নি, কোন লেখাই এত সুন্দর পরিস্কার ধারণা দিতে পারে নি! ধন্যবাদ আপনাকে এত অনবদ্য অবদানের জন্য। শুভেচছা ;
    • লেখাটি পরে মতামত দেবার জন্যে অনেক অভিনন্দন জানাই | আসলে ৭০ এর দশকে খানিকটা এ ধরনের আন্দোলনে আমি নিজেই জড়িয়ে ছিলাম | যেটাকে বলা হয় নক্সালিস্ট আন্দোলন | যার জন্যে লেখাটা বোধহয় এতটা ভালো হয়ে গেছে |
      পরবর্তী পর্যায় পড়ার অনুরোধ রইলো | ভালো থেক |
  • শ্রীতরুণ গিরি ০২/০৯/২০১৫, ১৫:৩০ মি:
    আলোচনার শিরোনাম পড়ে চমকে উঠেছিলাম। আক্ষরিক অর্থেই চমকানোর মত ব্যপার ঘটিয়েছেন আপনি। যে আসরে "কুসুমকুজন- আম্রকানন" মার্কা কবিতার রবরবা, যে আসরে এখনো "মোর,দোঁহে, জাতীয় ঐতিহাসিক পদ্যশব্দ ব্যাবহার হয়, এবং মনে করিয়ে দিলে তেড়ে মারতে আসে, সেই আসরের কতজন হাংরি জেনারেশানের কবিতা সহ্য করার মত প্রাপ্তমনস্ক হয়েছেন সে কথা ভেবে চমকাতে হয় বৈকি। সকলকে এক পঙক্তি ভুক্ত করা অন্যায় হবে,এই আসরের অনেকেই আধুনিক, আধুনিক-উত্তর কবিতার খোঁজ খবর রাখেন এবং লেখায় তার প্রতিফলন দেখা যায়, সন্দেহ নেই। তবে অধিকাংশ কবিরই অবস্থা দেখে মনে হয় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সামসুর রহমানের পরেও যে বাংলা কবিতা অনেক রাস্তা চলে এসেছে সে কথা ধর্তব্যের মধ্যে আনেন না। (রাস্তাধারে মন্দির দেখে পেন্নাম ঠোকার মত করে একটু জীবনানন্দ ব্যাস)।
    শিল্প সংস্কৃতির যে কোন শাখাতেই অগ্রসর হতে হলে তার (ইতিহাস) পিছনের পথটি সম্পর্কে ভালোরকম জানতে হয়। হাংরি জেনারেশানের কবিতা সেই পিছনের পথের এক বিরাট মাইলস্টোন। ধুমকেতুর মত উদয় এবং বিলয়ের আগে যে উজ্জলতা তা থেকে উৎসারিত হয়েছিল তা নস্যাৎ করা অসম্ভব।
    আধুনিক বাংলা কবিতার ইতিহাসে হাংরি জেনারেশানের কবিতা একটি অন্যতম ইম্পরট্যান্ট চ্যাপটার । ভালোবসুন/ মন্দবাসুন, পছন্দ করুন বা নাই করুন, কবিতা চর্চার ক্ষেত্রে ভালো নম্বর পেতে হলে এই অধ্যায় ভালো করে জানতে হবে।
    আপনি সেই দুরূহ কাজে আলোকপাত করেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ।
    পুনঃ ৩য় প্যারায় শক্তি চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বলতে গিয়ে " প্রতিষ্ঠানবিরোধী " না হয়ে প্রতিষ্ঠান অনুসারী হবে মনে হয়। কারন তিনি বাজারি কাগজে যোগ দিয়েছিলেন।
    ধন্যবাদ।
    • ধন্যবাদ | পরের লেখা দেখবেন আশাকরি |
      মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা, গল্প ও উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য হল যে সেগুলো মুক্ত-সূচনা ও মুক্ত-সমাপ্তি দ্বারা চিহ্নিত; এবং তা বহুমাত্রিক. আঠ্গিক-ভাঙা, ঘটমান, যুক্তির কেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত, কেন্দ্রাতিগ, অফুরন্ত অর্থময়, সংকরায়িত, রাইজোম্যাটিক. অপরিমেয়, ভঙ্গুর বাকপ্রতিমায় আপ্লুত, একাধিক বার্তাবহ এবং ক্যানন-অতিক্রমী ।
    • রেনেসাঁ সাহা ০২/০৯/২০১৫, ১৫:৩৬ মি:
      সহমত ।
  • প্রণব কুসুম দত্ত ০২/০৯/২০১৫, ০৭:৩৫ মি:
    আজ সকালে আমি কবিতাটা পড়েছি। আলোচনায় দেখি আপনিও এটাকে উপস্থাপন করেছেন। হাংরি আন্দোলনকে নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম আপনার কাছে। আমাদের পরিবারে সাহিত্য চর্চা আছে। পরিবারের সদস্যদের আমি এ নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। কেউ হাংরি আন্দোলন নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি। 'প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার' পড়ে মনে হল- উচ্চবাচ্য না করাই উত্তম! পাশ্চাত্য সম্পর্কে আমার যা ধারণা- ফরাসিরা তাঁদের সকল শিল্পকর্মের মধ্যেই নগ্নতা ও যৌনতাকে স্বাভাবিক করে নিয়েছে অনেক অনেক অনেক আগেই। ওদের সামাজিক রীতিতে এসব বাধে না। কিন্তু ইংল্যান্ড আমেরিকায় ভব্যতার মাত্রাবোধ আবার ভিন্ন। আপনি আমেরিকায় আছেন আপনি ভাল বলতে পারবেন। প্রত্যকটা দেশের, প্রত্যেকটা জাতের একটা নিজস্ব কৃষ্টি আছে। সেটাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করাও উচিত। কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যখন আমরা সরব হই তখন আমরা সুসংস্কার গুলোকে সামনে তুলে ধরি। কিন্তু কবিতার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তেমন তো নয়। মধুসূদনের কবিতার ভাব,ভাষা অখাদ্য- তাই আমরা এখন সুখাদ্য আনয়নের চেষ্টাই আছি! এরকম একটা অসুস্থ বোধ আধুনিক লেখকদের মধ্যেও এসে গেছে। প্রেমের কবিতায় যৌনতা আনতে না পারলে সে কবিতা যেন কবিতাই নয়। এটা কি কোন সুস্থ সাহিত্যবোধের লক্ষণ?
    হাংরি আন্দোলন এই ভাবনাকে কিছুটা হলেও তো উসকে দিয়েছিল। আমি এর নিন্দা করছি না। তবে যে কোন একপেশে ভাবনার বিরোধী আমি। "প্রচন্দ বৈদ্যুতিক ছুতার"- এরকম স্ত্রী জননাঙ্গের আখ্যায়িকা ব্যাঞ্জক কবিতা- যেসব দেশে ন্যুডিটি, ফ্রি সেক্স স্বাভাবিক- সে সব দেশেও উচ্চাঙ্গের কবিতার মর্যাদা পায় কিনা আমার জানা নেই!
    • স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পবস্তু বা 'আর্ট ফর আর্ট সেক'-এর ঔপনিবেশিক তত্বকে বর্জন করার কথা বলেছেন মলয় রায়চৌধুরী যা বাংলা সাহিত্যে তাঁর পূর্বে কেউ বলেননি ।
  • অজানা পাঠক ০২/০৯/২০১৫, ০৬:৪১ মি:
    কবিতা লিখতে গেলে কি কি জিনিস প্রয়োজন? "আমি মনে করি দুটো জিনিস প্রয়োজন ১> প্রথমত- পাঠকের মর্মস্পর্শী বা মরমে আঘাত করা ( সে বিষয়বস্তু বা শব্দ বা কাব্যিকতা অথবা গঠন কাঠামো বা গতিশীলতা বা উপস্থাপনা যাই দিয়ে হোক) আর ২> দ্বিতীয়ত- মৌলিকতা।আর যেটা সবসময় উহ্য থেকে যায় তা হল যে কোন বিষয়ে গভীর অনুভূতি আর ব্যাতিক্রমী ভাবনায় বিজারিত হতে জানা। এই তিনটি না থাকলেই যা হয় তা কবিতার মত কিছু একটা। সেখানে সুচারু ব্যাকরণাবদ্ধ ছন্দ বা অন্তমিল দিতে পারলে ভাল না হলেও ক্ষতি নেই। গুরুচন্ডালি না থালেই ভালো হয়।"
    হাংরির দিকে যদি তাকাই এটাই একমাত্র বাংলা সাহিত্যের বাঁধ ভাঙার অন্দোলন। এখানেই প্রথম দেখি বাংলা সাহিত্যে কিছু অশ্লীল শব্দের প্রয়োগ, (যদিও শ্লীল অশ্লীল এর বিচার কে করে আর বিচারকের বিচারের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে আপনার সামাজিক মুন্ডপাত হবে, সবাই স্বঘোষিত-স্বনিযুক্ত বিচারক।) এখানেই পাই গুরুচান্ডালি থেকে অন্যান্য সব বিধি নিষেধের শিখল ভাঙতে। (হাংরি যে সাহিত্যের সব আভিজাত্যকে ভেঙেদিয়ে রাতারাতি মুষ্টিমেয় কিছু লোকের সস্তার ছেনালি বা লোকদেখান আন্দোলন ছিল না তা বুঝতে গেলে এ বিষয়ের অন্তস্থলে পৌচানোর দরকার, কিন্তু ক'জন তা করবে সেটাই ভেবে দেখার।) বরং তা ছিল বাংলা সাহিত্যের উন্নতির জন্য। আমি তো মনে করি এই হাংরির কারণেই কলকাতা কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্য, ঢাকা কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছে, ঢাকা কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যে আমি নতুন কোন অভিযোজন দেখতে পাই না যে ধরনের অভিযোজন কলকাতায় দেখি।
    আর একটি কথা বলতেই হয়, হাংরি কবিতাগুল যখন বারবার গুরুচান্ডালি দোষে দুষ্ট হচ্ছিল তখন সুনীল গাঙ্গুলি বলে ছিলেন "কবিতা পাঠকের মরমে পৌঁছানোর জন্য সাধু চলিত শব্দের মিশ্রণ আনা যেতেই পারে, তবে তা যেন পাঠকের কর্ণকুহরে আঘাত না হানে।" এ প্রসঙ্গে আমার মনে হয় এই আসরের কবিরা সুনীল বাবুর কথার প্রথম অংশ মেনে চলেন অর্থাৎ " কবিতা পাঠকের মরমে পৌঁছানোর জন্য সাধু চলিত শব্দের মিশ্রণ আনা যেতেই পারে," এইটুকু কিন্তু পাঠকের পাঠকের কর্ণকুহরে তা আঘাত হানছে কি না তা ভারার দায়বদ্ধতা তাদের নেই।

    একটা উদাহরন দেই ; হাংরির অনেক আগে লেখা এই দুটি লাইন-
    " পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল
    কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিল। " এখানে করে ক্রিয়া পদ চলতি ভাষা কিন্তু পোহাইল ক্রিয়া পদ সাধু কিন্তু তাতে পাঠকের কানে শ্রুতি মাধূর্য আঘাত করে নি। কিন্তু এই আসরের কবি যখন লেখেন -
    " আমি তোর ছোঁয়া অনুভব করি আমার বিছানায়,
    সারাদিন ছুটে বেড়াচ্ছি তোর আশেপাশে, সেথায়
    আমার সব বুকভরা ভালোবাসা দেব তব পায়।"
    কবিতার এই তিনটি লাইন আমার সংগ্রহ করে রাখা ছিল। কারন একই ব্যক্তিকে একবার তোর আর তব শুনতে ভালো লাগছিল না আর সেথায় ও তব সাধুভাষা যেখানে অন্য চলিতের মধ্যে এটা কানে লাগছিল তাই জানিয়ে ছিলাম সবিনয়ে। তারপর কি হল সেটা উহ্য থাকাই ভালো। আমার আশঙ্কা এই যে "কবিতা পাঠকের মরমে পৌঁছানোর জন্য সাধু চলিত শব্দের মিশ্রণ আনা যেতেই পারে," শুধু এই কথাটি ব্যবহার না বাড়তে থাকে আসরে।
    আমি কিন্তু এই কবিতায় কোনো অশ্লীলতা খুঁজে পাইনি। আগেই বলেছি শ্লীল অশ্লীলের বিচারের মাপকাঠির কি আর তার নির্ধারণ কে করল।
    আমার এই মন্তব্যে জন্য যদি আপনার কোথাও আঘাত লেগে থাকে তা নিতান্তই আমার অঞ্জতা বশত, এরকম কিছু হলে অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিলাম।
    • শ্লীল অশ্লীলের মাপকাঠির বিচার নিজের ওপর নির্ভর করে | এ বিষয়ে আলোচনা করব 'হাংরি আন্দোলন' এর লেখা শেষ হবার পরে | আপনার মতামতের জন্যে অভিনন্দন জানাই | আমি একটা কথা পরিস্কার করে দেব যে মলয় রায়চৌধুরী খালি অশ্লীল কবিতা লিখে কবিতাতে আধুনিকতা আনতে চান নি | পরের লেখাটা দেখবেন আশাকরি |
  • দেবাশিস্ ভট্টাচার্য্য ০২/০৯/২০১৫, ০৩:৪৩ মি:
    আপনাকে ধন্যবাদ আমার পক্ষ থেকেও। পুরো বিষয়টা ভাল লেগেছে তবে এই কবিতাটা শক্তি চট্ট্যোপাধ্যায়ের মত বলি - পুরোটা ভাল লাগে নি। কিছু কিছু জায়গা নিঃসন্দেহে ভাল। আধুনিকতার শুরু বোধহয় এইসময় থেকে। শুভেচ্ছা রইল একরাশ। ভাল থাকবেন। এইভাবেই ভরিয়ে রাখবেন। আমার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে আপনার বয়স আপনার লেখার বাধা হয় নি। এখনও চিন্তায়-চেতনায় নবীন। প্রার্থণা করি এই ভাবেই ভরিয়ে রাখবেন।
    • তোমার মতামত পেয়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো | আশ্বস্ত হলাম এই ভেবে যে অন্তত আমার পরিশ্রমটা সার্থক হলো |

      মলয়, ১৯৬০ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকনমিকস নিয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন | তিনি কর্মসূত্রে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক, এগ্রিকালচার রিফাইনানস ডেভেলাপমেন্ট কর্পোরেশন, লাখনও, হয়ে যোগ দেন ন্যাশানাল ব্যাংক ফর এগ্রিকালচার এণ্ড রুরাল ডেভেলাপমেন্ট -এ এবং এই সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হয়ে অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯৭ সালে |

      শুধুমাত্র কবিতা, নানা বিষয়ে মতের মিল না হওয়া ও সর্বপ্রকার বন্ধন থেকে মুক্তির স্পৃহা তাঁকে তাঁর পি.
      এইচ.ডি অসমাপ্ত রেখেই কলকাতায় চলে আসতে বাধ্য করে | কলকাতায় এসে তাঁর প্রধাণ কাজ হয় "হাংরি জেনারেশন বা হাংরিয়ালিস্ট সাহিত্য আন্দোলনের (১৯৬১ ~ ১৯৬৫)" সূচনা ও নেতৃত্ব প্রদান করা | মলয় রায়চৌধুরীকে আমরা এই বিখ্যাত সাহিত্য আন্দোলনের জনক বা পথিকৃৎ বললে অত্যুক্তি করা হবে না |
      • দেবাশিস্ ভট্টাচার্য্য ০২/০৯/২০১৫, ১৪:৪০ মি:
        খুব ভাল লাগল উত্তর পেয়ে। উনার সম্পর্কে আরোও পড়ার ইচ্ছে জাগলো। একটা কথা বলার লোভ সামলাতে পারছি না - উনার কবিতা ঠিক ফরাসি সিনেমার ও সাহিত্যের মত, তাই বোধহয় আমরা হজম করতে পারছি না বা অসুবিধে হচ্ছে। আসলে নগ্নতার বিভিন্ন রুপ আছে, এবং এইরুপ নগ্নতায় বোধহয় আমাদের তথাকথিত ভদ্রসমাজের অসুবিধেয় হয়। কিন্তু কি আর করা - জিনিয়াস কিছুই মানতে চায় না যে!
        • কথাটা যখন তুললে তাহলে বলি
          রবীন্দ্রনাথ নিজেই অশ্লীলতার দায়ে পরেছিলেন | এখন সংক্ষেপে বলি পরে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে| রবীন্দ্রনাথ এই কথাগুলি নিজে বলেছিলেন মংপুতে মৈত্রেয়ী দেবীর বাড়িতে বসে ----"কথা ও কাহিনীর"'শ্রেষ্ঠভিক্ষা'কবিতায় আছে না
          অরণ্য আড়ালে রহি কোনমতে একমাত্র বাস নিল গাত্র হতে ,বাহুটি বাড়ায়ে ফেলি দিল পথে ভূতলে ' ওই কবিতাটি যখন বেরুলো ,মহাশয় আমাকে বলিলেন ,রবিবাবু এটা লেখা কি ঠিক হয়েছে ? ছেলেরা পড়বে আপনার কবিতা ,
          'একমাত্র বাস নিল গাত্র হতে'---- ঠিক হবে কি ? এতটা অশ্লীল রচনা ছেলেদের পড়া ঠিক হবে না | কি আর বলব বল ?
          আর একটি উদাহরণ : রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবনের প্রেয়সী ওকাম্পো অর্থাত বিজয়া কে উদেশ্য করে এমন কতগুলি কবিতা লিখেছিলেন এবং তার মধ্যে প্রেমের অভিব্যক্তি এতটাই বেশি ছিল যে কবিতাগুলি তার পুত্র রথী ও পুত্রবধু প্রতিমা দেবীকে পাঠাতে পারেন নি | মলয় রায়চৌধুরী না হয় তার কবিতার মধ্যে কিছু ব্যবহারিক ভাষা ব্যবহার প্রয়োগ করেছেন |
          যাই হোক এ ব্যাপারে অনেক কিছু আলোচনা করা যেতে পারে | এখন লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে |
  • অভিষেক মিত্র ০২/০৯/২০১৫, ০২:২৩ মি:
    স্যার, কবিতার নামটা শুনেছিলাম আগে, একটু পড়া হয় নি।
    আজ পড়লাম।
    আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
    • মন্তব্য করলে ভালো লাগলো , তবে তোমাদের মত পাঠকদের কাছে কবিতা পড়ে প্রতিক্রিয়া জানতে পারলে বেশি খুশী হতাম |
      ভালো থেকো |
      • অভিষেক মিত্র ০২/০৯/২০১৫, ০৬:৩৪ মি:
        কবিতার কিছু জায়গা নিঃসন্দেহে ভালো। আধুনিকতার ছাপ। তবে একটু অবসেন্স তো বটেই।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন