গত শতাব্দির সাড়া জাগানো সাহিত্য আন্দোলন ছিল হাংরি আন্দোলন।বিশেষ করে
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন উঠতি সাহিত্যিকদের মধ্যে নতুন এক যুগের হাতছানি
নিয়ে যেন আসে হাংরি আন্দোলন। যদিও হাংরি আন্দোলন নিয়ে অনেক সমালোচনাও আছে।
তারপরও হাংরি আন্দোলন অনেক সাহিত্যিকের জন্মও দিয়েছে বলা যায়। ১৯৬১ সালের
নভেম্বরে ইশতেহার প্রকাশের মাধ্যমে যে চারজন কবিকে হাংরি আন্দোলনের জনক মনে
করা হয় তাদের মধ্যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় অন্যতম। সমীর রায়চৌধুরী, দেবী
রায় ও মলয় রায়চৌধুরীর সঙ্গে মিলে হাংরির আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়। তবে
১৯৬৩ সালে সমীর, দেবী ও মলয়ের সঙ্গে মতপার্থক্য সৃষ্টি হওয়ার কারণে তিনি
হাংরি ত্যাগ করেন। এই সময় তিনি যোগ দেন হাংরির বিকল্প প্লাটফর্ম হিসেবে
বিবেচিত পশ্চিমবঙ্গের আরেক গুণি সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কৃত্তিবাস
গোষ্ঠীতে। হাংরি ছাড়ার আগে শক্তি প্রায় ৫০টি হাংরি বুলেটিন প্রকাশ
করেছিলেন। পরবর্তীতে কৃত্তিবাসের কবি সুনীল ও শক্তির নাম তৎকালের সাহিত্যিক
মহলে বেশ উচ্চারিত হতে থাকে। এও ঠিক যে সুনীল হাংরি আন্দোলনের ঘোর বিরোধী
ছিলেন এবং ১৯৬৬ সালে সেই মনোভাবের প্রমাণ পাওয়া যায় কৃত্তিবাসের এক
সম্পাদকীয়তে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন