হাংরি জেনারেশন বুলেটিন কিংবা ক্ষুধার্ত পত্রিকায় অনেকেই লিখেছিলেন। এরা
কারা, কিভাবে যুক্ত হয়েছিলেন, কেনই বা সরে গিয়েছিলেন, বলতে পারবো না।
যেহেতু হাংরি সাহিত্য বিষয়ক গবেষণা পত্র লিখতে বসিনি তাই সেসব প্রসঙ্গ
এখানে অর্থহীন। আমি এবং আমরা সেসময় যে যে ক্ষুধার্ত লেখক/কবিদের সংস্পর্শে
এসেছিলাম এই আখ্যানে শুধুই তাদের প্রসঙ্গ। সম্পূর্ণ ইতিহাসে আগ্রহীরা আশা
করি স্বীয় তাগিদে বিশদ জেনে নেবেন।
অবনী ধরের সঙ্গে কোনদিন আলাপ হয়নি। আলাপ হবেই বা কীভাবে, উনি বেঁচে আছেন কিনা সেটুকু তথ্যও কারো কাছ থেকে জানতে পারিনি সেদিন। মাত্র বছর কয়েক আগে জানতে পেরেছি ওঁর মৃত্যুসন-২০০৭। আহা, একবারটি দেখা হলো না অবনীদা!
কেন সেদিন অবনী ধর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারিনি সে প্রসঙ্গে আমি কিছু না বলে বরং অবনী পুত্র অলোক ধরের লেখা থেকে অংশবিশেষ তুলে ধরি--
” ২০১১ সালে শৈলেশ্বর ঘোষ সম্পাদিত ক্ষুধার্ত সংকলন প্রকাশিত হয়েছিল ‘দে’জ’ প্রকাশনা থেকে। সংকলনটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত তিন হাংরি লেখক কবিদের উদ্দেশ্যে। এরা হলেন-- বাসুদেব দাশগুপ্ত, সুভাষ ঘোষ, ফালগুনী রায়। অথচ আমার বাবা অবনী ধর প্রয়াত হন ২০০৭ সালে। আর এভাবেই সেই সংকলনটির সম্পাদক প্রমাণ করবার চেষ্টা করেছিলেন যে, দু-একটা লেখা ক্ষুধার্ত সংকলনগুলোতে ছাপা হলেও আসলে অবনী ধর হাংরি জেনারেশনের তেমন কেউ ছিলেন না। তাই তিনি অবনী ধরকে তাদের সহযোদ্ধাও মনে করেননি।”( শারদীয় অনুষ্টুপ-২০১৯)।
পুরোন ক্ষুধার্ত পত্রিকা এবং স্বকাল পত্রিকায় অবনীর, “ ভাতের জন্য শ্বশুরবাড়ি”, “ ওয়ান ব্রেড ওয়ান শট”, “ কলিকাতা ভ্রমণ”, “ আমার দুঃখী মা” পড়েছিলাম। পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। অবনী ধরকে একজন অন্যতম ক্ষুধার্ত গদ্যকার হিসেবে মেনে নিতে অসুবিধে হয়নি। কারণ সহজ সরল ভাষায় কোনো উপমা, প্রতীকের পরোয়া না করে শুধুমাত্র নিজেকেই ব্যবহার করে যা লিখেছেন সেসব লিখতে অনেক লেখকের ব্যাগ পাইপ ফেটে যাবে। যদিও লেখার প্রশ্নও ওঠে না কারণ তাদের কাছে সাহিত্য এক অনন্ত মায়াপুর।
অবনী ধরের কয়েকটা গল্প পুনর্মুদ্রণ করেছিলাম আমরা। সম্ভবত আমাদের পূর্বে কেউ করেনি। করার কথাও নয়। যা হোক আমাদের সেই কাজটাকে ক্ষুধার্ত বন্ধুরা সমর্থনও করেনি। কেন করেনি, কী বলেছিল? থাক সেসব কথা। এতদিন পর সে সব প্রসঙ্গ তুলে বাতাস গন্ধা করে কোনো লাভ নেই। বাংলা সাহিত্য থাকলে অবনী ধরও থাকবেন।
ফালগুনী রায় সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলার নেই। আমরা ওঁকে জীবিত অবস্থায় পাইনি। পেয়েছিলাম ওঁর কিছু কবিতা, একটা উপন্যাস এবং “ নষ্ট আত্মার টেলিভিশন” নামক চটি কবিতা সংকলনটা। কবিকে বোঝার জন্য এ্টুকুই তো যথেষ্ট। আমরাই প্রথম ফালগুনীর কবিতা এবং ফালগুনী বিষয়ক কিছু লেখা নিয়ে একটা সংকলন প্রকাশ করেছিলাম। সংকলনটির এককপিও আমার কাছে নেই। হয়ত সন্দীপ দত্তের সংগ্রহে থাকতে পারে।
পরিচয় হয়েছিল ত্রিপুরার কবি/লেখকদের সঙ্গে। যেমন অরুণ বণিক, সেলিম মুস্তাফা, বিনয় দেবনাথ, প্রণব দেবনাথ, অরূপ দত্ত। পরিচয়ের সূত্র প্রদীপ চৌধুরী। ওদের সঙ্গে কখনও দেখা না হলেও চিঠিতে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। লেখালিখিতে যোগাযোগ ছিল। মনে আছে পোস্টকার্ডে উপন্যাস পাঠাতেন অরুণ বণিক। উত্তর না পেলে চটে উঠতেন। আহা, মানুষটাকে নৃশংস হত্যা করেছিল কে অথবা কাহারা। খবরটা জেনে আমরা শিলিগুড়িতে শোকপালনও করেছিলাম।
সুবিমল বসাকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বহু বহু বছর পেরিয়ে। সুবিমল অসাধারণ কিছু গদ্য এবং কবিতা লেখা সত্বেও ওঁর বন্ধুদেরই কখনও দেখিনি ওঁকে গুরুত্ব দিতে। কেন ওই উপেক্ষা, বলতে পারব না। হয়ত মলয় রায়চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার অপরাধে। মলয় ছুঁলে আঠেরো ঘা।
দেবী রায়ের সঙ্গে কোনদিন যোগাযোগ না হওয়া সত্বেও ওঁর প্রসঙ্গে কিছু কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি। দেবী রায়ের আদত নাম হারাধন ধাড়া। কে জানে কেন ভদ্রলোক ছদ্মনামে লিখতেন! তা লিখতেই পারেন, বাংলা সাহিত্যে এ আর নতুন ঘটনা কি! কিন্তু অবাক হয়ে দেখতাম ক্ষুধার্তরা দেবী রায়ের পিতৃদত্ত নাম নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন। ব্যাপারটা খুবই বিসদৃশ ঠেকতো। প্রতিবাদ হয়ত করিনি কখনও তাবলে ঘটনাটাও ভুলতে পারিনি। না ভোলার প্রমাণ বছর খানেক আগে একটা গল্প লিখেছিলাম,‘ নামগোত্র’। ভয় নেই, এখানে সেই গল্পটা ফাঁদতে বসবো না, শুধু জানিয়ে রাখছি মূল বিষয় ছিল এই নাম-ছদ্মনাম।
অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে আমার প্রায় ছত্রিশ বছর লাগলেও মলয় রায়চৌধুরী কিন্তু বহু পূর্বেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। মলয়দার কথাগুলো হুবহু মনে নেই, তবে মর্মার্থটা এরকম ছিল, দেবী রায়ের প্রকৃত নাম উচ্চারণ করতে যাদের উল্লসিত হোতে দেখি শঙ্খ ঘোষের প্রকৃত নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে সেসব ছাগকন্ঠ শুকিয়ে আসে।
মলয়ের এই প্রতিবাদ খুব ভালো লেগেছিল। শুধু দেবী রায়কে সমর্থন করার জন্যই নয়, শঙ্খ ঘোষের প্রসঙ্গটা তুলে ধরার কারণেও। সত্যিই, শঙ্খ ঘোষের মতো জ্যান্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্ষুধার্তদের অত মাখামাখি আমাদের সেসময় বিমূঢ় করে দিতো। বুঝতে পারিনি শ্রী ঘোষের, ‘শব্দ আর সত্য’ এর মতো একটা লেখা ক্ষুধার্ত পত্রিকায় কেন প্রকাশিত হয়েছিল! যদিও লেখাটির পাশেই প্রদীপ চৌধুরীর একটি প্রতিবাদী লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। ওই যে খানিক আগে প্রদীপ চৌধুরী প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে খানিকটা গদ্যাংশ তুলে ধরে বলেছিলাম, লেখাটি তাৎপর্যপূর্ণ, ওটাই ছিল পাল্টা লেখাটার অংশবিশেষ।
প্রদীপদার লেখাটা শেষ হয়েছিল এভাবে-- “ আপনি শব্দ ও সত্যের কথা লিখতে চেয়েছেন কিন্তু শব্দের গোপন সত্যের কথা ভেবেছেন কখনো?”
কিন্তু এই কাউন্টার-এনকাউন্টার পর্ব ভালো লাগেনি আমার। বরং মনে হয়েছে বিরক্তিকর ঘটনাটাকে তো এড়িয়ে যাওয়াই যেত। প্রথম লেখাটা ছাপানোর কী এমন দায়বদ্ধতা ছিল! ভদ্রলোকদের সঙ্গে গা ঘষাঘষি করার এত লোভ?
ভদ্রলোকি প্রসঙ্গ যখন এলোই তখন একটা গল্প বলার লোভ সামলাতে পারছি না। যদিও ঘটনাটা অবান্তর মনে হোতে পারে, হয় হোক, আগাম মার্জনা চেয়ে রাখছি।
অবনী ধরের সঙ্গে কোনদিন আলাপ হয়নি। আলাপ হবেই বা কীভাবে, উনি বেঁচে আছেন কিনা সেটুকু তথ্যও কারো কাছ থেকে জানতে পারিনি সেদিন। মাত্র বছর কয়েক আগে জানতে পেরেছি ওঁর মৃত্যুসন-২০০৭। আহা, একবারটি দেখা হলো না অবনীদা!
কেন সেদিন অবনী ধর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারিনি সে প্রসঙ্গে আমি কিছু না বলে বরং অবনী পুত্র অলোক ধরের লেখা থেকে অংশবিশেষ তুলে ধরি--
” ২০১১ সালে শৈলেশ্বর ঘোষ সম্পাদিত ক্ষুধার্ত সংকলন প্রকাশিত হয়েছিল ‘দে’জ’ প্রকাশনা থেকে। সংকলনটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত তিন হাংরি লেখক কবিদের উদ্দেশ্যে। এরা হলেন-- বাসুদেব দাশগুপ্ত, সুভাষ ঘোষ, ফালগুনী রায়। অথচ আমার বাবা অবনী ধর প্রয়াত হন ২০০৭ সালে। আর এভাবেই সেই সংকলনটির সম্পাদক প্রমাণ করবার চেষ্টা করেছিলেন যে, দু-একটা লেখা ক্ষুধার্ত সংকলনগুলোতে ছাপা হলেও আসলে অবনী ধর হাংরি জেনারেশনের তেমন কেউ ছিলেন না। তাই তিনি অবনী ধরকে তাদের সহযোদ্ধাও মনে করেননি।”( শারদীয় অনুষ্টুপ-২০১৯)।
পুরোন ক্ষুধার্ত পত্রিকা এবং স্বকাল পত্রিকায় অবনীর, “ ভাতের জন্য শ্বশুরবাড়ি”, “ ওয়ান ব্রেড ওয়ান শট”, “ কলিকাতা ভ্রমণ”, “ আমার দুঃখী মা” পড়েছিলাম। পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। অবনী ধরকে একজন অন্যতম ক্ষুধার্ত গদ্যকার হিসেবে মেনে নিতে অসুবিধে হয়নি। কারণ সহজ সরল ভাষায় কোনো উপমা, প্রতীকের পরোয়া না করে শুধুমাত্র নিজেকেই ব্যবহার করে যা লিখেছেন সেসব লিখতে অনেক লেখকের ব্যাগ পাইপ ফেটে যাবে। যদিও লেখার প্রশ্নও ওঠে না কারণ তাদের কাছে সাহিত্য এক অনন্ত মায়াপুর।
অবনী ধরের কয়েকটা গল্প পুনর্মুদ্রণ করেছিলাম আমরা। সম্ভবত আমাদের পূর্বে কেউ করেনি। করার কথাও নয়। যা হোক আমাদের সেই কাজটাকে ক্ষুধার্ত বন্ধুরা সমর্থনও করেনি। কেন করেনি, কী বলেছিল? থাক সেসব কথা। এতদিন পর সে সব প্রসঙ্গ তুলে বাতাস গন্ধা করে কোনো লাভ নেই। বাংলা সাহিত্য থাকলে অবনী ধরও থাকবেন।
ফালগুনী রায় সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলার নেই। আমরা ওঁকে জীবিত অবস্থায় পাইনি। পেয়েছিলাম ওঁর কিছু কবিতা, একটা উপন্যাস এবং “ নষ্ট আত্মার টেলিভিশন” নামক চটি কবিতা সংকলনটা। কবিকে বোঝার জন্য এ্টুকুই তো যথেষ্ট। আমরাই প্রথম ফালগুনীর কবিতা এবং ফালগুনী বিষয়ক কিছু লেখা নিয়ে একটা সংকলন প্রকাশ করেছিলাম। সংকলনটির এককপিও আমার কাছে নেই। হয়ত সন্দীপ দত্তের সংগ্রহে থাকতে পারে।
পরিচয় হয়েছিল ত্রিপুরার কবি/লেখকদের সঙ্গে। যেমন অরুণ বণিক, সেলিম মুস্তাফা, বিনয় দেবনাথ, প্রণব দেবনাথ, অরূপ দত্ত। পরিচয়ের সূত্র প্রদীপ চৌধুরী। ওদের সঙ্গে কখনও দেখা না হলেও চিঠিতে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। লেখালিখিতে যোগাযোগ ছিল। মনে আছে পোস্টকার্ডে উপন্যাস পাঠাতেন অরুণ বণিক। উত্তর না পেলে চটে উঠতেন। আহা, মানুষটাকে নৃশংস হত্যা করেছিল কে অথবা কাহারা। খবরটা জেনে আমরা শিলিগুড়িতে শোকপালনও করেছিলাম।
সুবিমল বসাকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বহু বহু বছর পেরিয়ে। সুবিমল অসাধারণ কিছু গদ্য এবং কবিতা লেখা সত্বেও ওঁর বন্ধুদেরই কখনও দেখিনি ওঁকে গুরুত্ব দিতে। কেন ওই উপেক্ষা, বলতে পারব না। হয়ত মলয় রায়চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার অপরাধে। মলয় ছুঁলে আঠেরো ঘা।
দেবী রায়ের সঙ্গে কোনদিন যোগাযোগ না হওয়া সত্বেও ওঁর প্রসঙ্গে কিছু কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি। দেবী রায়ের আদত নাম হারাধন ধাড়া। কে জানে কেন ভদ্রলোক ছদ্মনামে লিখতেন! তা লিখতেই পারেন, বাংলা সাহিত্যে এ আর নতুন ঘটনা কি! কিন্তু অবাক হয়ে দেখতাম ক্ষুধার্তরা দেবী রায়ের পিতৃদত্ত নাম নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন। ব্যাপারটা খুবই বিসদৃশ ঠেকতো। প্রতিবাদ হয়ত করিনি কখনও তাবলে ঘটনাটাও ভুলতে পারিনি। না ভোলার প্রমাণ বছর খানেক আগে একটা গল্প লিখেছিলাম,‘ নামগোত্র’। ভয় নেই, এখানে সেই গল্পটা ফাঁদতে বসবো না, শুধু জানিয়ে রাখছি মূল বিষয় ছিল এই নাম-ছদ্মনাম।
অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে আমার প্রায় ছত্রিশ বছর লাগলেও মলয় রায়চৌধুরী কিন্তু বহু পূর্বেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। মলয়দার কথাগুলো হুবহু মনে নেই, তবে মর্মার্থটা এরকম ছিল, দেবী রায়ের প্রকৃত নাম উচ্চারণ করতে যাদের উল্লসিত হোতে দেখি শঙ্খ ঘোষের প্রকৃত নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে সেসব ছাগকন্ঠ শুকিয়ে আসে।
মলয়ের এই প্রতিবাদ খুব ভালো লেগেছিল। শুধু দেবী রায়কে সমর্থন করার জন্যই নয়, শঙ্খ ঘোষের প্রসঙ্গটা তুলে ধরার কারণেও। সত্যিই, শঙ্খ ঘোষের মতো জ্যান্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্ষুধার্তদের অত মাখামাখি আমাদের সেসময় বিমূঢ় করে দিতো। বুঝতে পারিনি শ্রী ঘোষের, ‘শব্দ আর সত্য’ এর মতো একটা লেখা ক্ষুধার্ত পত্রিকায় কেন প্রকাশিত হয়েছিল! যদিও লেখাটির পাশেই প্রদীপ চৌধুরীর একটি প্রতিবাদী লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। ওই যে খানিক আগে প্রদীপ চৌধুরী প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে খানিকটা গদ্যাংশ তুলে ধরে বলেছিলাম, লেখাটি তাৎপর্যপূর্ণ, ওটাই ছিল পাল্টা লেখাটার অংশবিশেষ।
প্রদীপদার লেখাটা শেষ হয়েছিল এভাবে-- “ আপনি শব্দ ও সত্যের কথা লিখতে চেয়েছেন কিন্তু শব্দের গোপন সত্যের কথা ভেবেছেন কখনো?”
কিন্তু এই কাউন্টার-এনকাউন্টার পর্ব ভালো লাগেনি আমার। বরং মনে হয়েছে বিরক্তিকর ঘটনাটাকে তো এড়িয়ে যাওয়াই যেত। প্রথম লেখাটা ছাপানোর কী এমন দায়বদ্ধতা ছিল! ভদ্রলোকদের সঙ্গে গা ঘষাঘষি করার এত লোভ?
ভদ্রলোকি প্রসঙ্গ যখন এলোই তখন একটা গল্প বলার লোভ সামলাতে পারছি না। যদিও ঘটনাটা অবান্তর মনে হোতে পারে, হয় হোক, আগাম মার্জনা চেয়ে রাখছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন