শুক্রবার

শঙ্খ ঘোষের কোঁচা ধরে শৈলেশ্বর ঘোষের এসট্যাবলিশমেন্টে প্রবেশ : কৃশানু বসু

কবি শৈলেশ্বর ঘোষ।হাংরি আন্দোলনের অন্যতম কবি।
হ্যাঁ,ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল তাঁরও সঙ্গে।প্রায় দেড়দশক জুড়ে।অনেক স্মৃতি, ঋণও অনেক।তবু ভেঙে গেল, মুগ্ধতা কেটে গেল!দূরত্বও তৈরি হলো অনেকটা।দূরত্ব বাড়াতে হাজির হয়ে গেলেন তাঁর অনুগত চাকরবাকরেরা! যেমনটি হয়, যেমনটি হয়ে এসেছে এযাবৎ!
তবু অনেক ঋণ তাঁর কাছে।হাংরি এবং হাংরি ঘিরে ষড়যন্ত্র এবং পরিকল্পনাগুলির অনেক গল্প তাঁরই কাছে শোনা যে!
ভালবাসতেন গাঁজা।ভালবাসতেন হেনরী মিলার,আঁতোয়া আর্তো,নিজের প্রশংসা এবং স্তুতি।
সাক্ষাৎকার দেবার আগে, শর্ত রাখলেন,মলয় রায়চৌধুরী এবং 'প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার' নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবেনা।মেনে নিলাম।বিরক্ত হলাম প্রথমবার।
প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কথা বলেছেন বরাবর।একইভাবে গভীর রাতে টেলিফোনে যোগাযোগ রেখে গ্যাছেন কবি শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে।অন্যদিকে 'শৈলেশ্বর ঘোষ সংখ্যা'-য় লিখতে অস্বীকার করেছেন 'মহামান্য' অভিভাবক-কবি শঙ্খ ঘোষ!
হ্যাঁ, মৃত্যুর আগে সরকার পরিচালিত লিটলম্যাগাজিন মেলার উদ্বোধন করার
সুযোগও পেলেন তিনি।মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির সঙ্গে ছবিও উঠলো তাঁর!
কবির মৃত্যুর পর এসব কথা বলা যায়?
যায়! যায়তো!
হ্যাঁ, শৈলেশ্বর দা!আপনার কবিতা নিয়ে কালও কথা হলো আর এক তরুণ বন্ধুর সঙ্গে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন