রবিবার

সুভাষ ঘোষের চিঠি -- মলয় রায়চৌধুরীকে

শনিবার
২২/৫/১৯৬৫
মলয়
এক্ষুনি তোমার চিঠি পেলাম --- আমার লেখা যা মোট ৮ পৃ ছাপা হয়ে গেল আজ -- তোমার দেরি দেখে গত এক সপ্তাহ ধরে তোমাকে অনন্ত পাঁচটি চিঠি দিয়েছি, আমি ব্লক ফটোর অলরেডি তৈরি করেছি --- লেখা ছাপিয়েছি ২০০ --- তুমি তো সব প্ল্যান গণ্ডোগোল করে দিলে still আমি তোমার ২৫০ কভারের জন্য আগামি ,ঙ্গলবার অবধি অপেক্ষা করব । প্রেসে সব ছাপিয়ে পুরো মাল পাঠিয়ে দেবো তোমাকে -- আর যদি না পাই তাহলে ৪০০ আর্ট পেপারে আমার ফটো ও ওই লেখা extra ছাপিয়ে দেবো তোমাকে ---

হ্যাঁ, যা বলছিলাম -- ক্ষু.প্র.তে হারাধনের বইয়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে বলে ওর লেখা জেব্রাতেও ছাপা হবে -- এরকম কথা আছে নাকি ? কই তোমার সঙ্গে দেখা হল যখন এরকম বললে না তো--- এই তোমার দোষ-- আমি তো তখন হারাধনের লেখা গুণগত যোগ্যতা না থাকায় ছাপতে বারণ করেছিলাম তোমাকে -- গুণও বড় কথা নয় --- আসল কথা দেবী রায়ের ক্লিক + এক্সপ্লয়টেশান+নোংরামি ।

আসলে ওর লেখা যখন ক্ষু.প্র.তে ছাপা হচ্ছে না জানল তখন মরিয়া আরকি -- আর তো --হেঁ..হেঁ । তুমি তখন জিগ্যেস করলেও আমি পরিষ্কার করতাম সব -- ফলে তুমি জেব্রা থেকে ওর লেখা withdraw করে নাও । ওর নাকি সব বিদেশি নাঙরা ১০০০-১০০০ পৃষ্ঠার প্রশংসা পাঠিয়েছে -- ওই নিয়ে থাকুক ও --- OK ---ভালোবাসা নিও
                                                 সুভাষ ঘোষ

( সন্দীপ দত্তের লাইব্রেরিতে ক্ষুধার্ত প্রতিরোধ এবং জেব্রা পত্রিকায় দেখা যায় যে ক্ষুধার্ত প্রতিরোধ পত্রিকা থেকে মলয় রায়চৌধুরী ও দেবী রায় উভয়কেই বাদ দেয়া হয়েছিল । দেবী রায় ও মলয় রায়চৌধুরীকে অপমান করার জন্য শৈলেশ্বর ঘোষ বেনামে দেবী রায়চৌধুরী নাম দিয়ে নিম্নমানের রচনা ক্ষুধার্ত পত্রিকায় প্রকাশ করতেন । জেব্রা পত্রিকায় সুভাষ ও দেবী রায় উভয়েরই রচনা প্রকাশিত হয়েছিল । )

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন