ত্রিদিব মিত্র : গয়ের
আমার শরীরে অসংখ্য সৌরজগৎ তছনছ হয়ে গেছে
আসবাববিলাসী মানুষের ফাঁকা আস্ফালনে
নিজেকে নষ্ট করে আমি নিজেকে নষ্ট করি
আজ দুপুরেই হেঁটে যাব নষ্ট কোলকাতার বুকে জোড়ালাথি ছুঁড়ে
শিশ্ন উঁচিয়ে, থুথু ফেলে কিংবা বীর্যপাতে
রেখা এঁকে ছুটে যাব অন্য কোনো অন্ধকারে
আমার হৃদয়ে ওগ্রন্হে শিরা-উপশিরা এক-বাই-এক
গেঁথে দিয়ে ঢুকে যাব চুলকূপে
তোমাদের শয়তানি মুখোশ ঘিরে জালের পরত--
ছিঁড়ে দিয়ে চলে যাব দমবন্ধ হাহাকারের ভেতর
আমার আর্ত চিৎকার শুঁকে প্রাকৃতিক রমণী
গুপ্ত দুয়ারে খিল এঁটে দেয়
উর্বর জানুতে বহুবার হাত রেখে কোনো প্রীতির গন্ধ
খুঁজে পাইনি
বিস্রস্ত অন্ধকারে বিশ্বস্ত আশ্রয় আছে জেনে ছুটে গেছি
পূর্ণ শরীর নিয়ে
তোমাদের ধু-ধু সার্থকতার সামঞ্জস্য জানতে
অম্লান ছুটে গেছি শরীর নিয়ে শরীরের ভেতর
হাততালি দিয়ে বন্ধ করেছি রোমকূপের কর্ণবিদারী জলপ্রপাত
প্লূত রৌদ্রে বারবার চোখ মেলে দিয়ে
ওৎ-পাতা ধোঁয়া ও আবছা বিকেলের সূর্যোদয় রমণীর শরীরে
ঢুকে গেছি অনায়াসে
নারীর শরীরে গড়াগড়ি দিয়ে কিছুদিন ফিরে এসেছি
আ বা র
নিজস্ব স্বেচ্ছা নির্বাসনেউৎপন্ন হৃদয় হাতে ঘোর-দোর খুঁজেছি
সৎ ও সহজ সিন্দুকে
উচ্ছন্নতার শিকড়গুলি তবু বারবার কেন্দ্রাভিমুখী সঙ্গীন উঁচিয়ে
অবিচল খুলে দেয় মহিলাদের সুগন্ধি রেণু
তবু, মা, ওষধির জন্মহীন জন্ম নিয়ে
ফলহীন থেকেই গেলাম
রক্তের ভেতর তাই জমে ওঠে রুদ্ধ বিষাদের আশ্চর্য ফোয়ারা ।।
[ হাংরি আন্দোলনের পত্রিকা ‘জেব্রা’-র প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত ]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন