রবিবার

সমীর রায়চৌধুরী : মলয়ের অবন্তিকারা


ইলোপকন্যা
তোর বেডরুমে তোকে পেলুম না, কি ঝঞ্ঝাট, মানে হয়
অবন্তিকা, কোন নদী নিয়ে গেছে, বরফের ডিঙি ভাসালুম
দ্যাখ, কেলেঘাই চূর্ণী গুমনি জলঢাকা ময়ূরাক্ষী কংসাবতীর
স্রোতে, তোর ঘাম নেইকো কোথাও, ভাল্লাগে না, জেলেরাও
পায়নি তোর ফেলে দেয়া অন্ধছোঁয়া, পূর্ণিমাও অন্ধকারে,
কি করে চলবে বল, পেঁয়াজের কান্না নেই, ধ্যাৎতেরি
চুড়ির বাজনাহীন, চুমুগুলো কোন সপ্নে রেখে গিয়েছিস
খুঁজে পাচ্ছিনাকো, কাউকে তো বলে যাবি, মুখের প্রতিবিম্ব
আয়নাসুদ্দু ফেলে দিয়েছিলি, ওঃ কি মুশকিল, পাশে-শোয়া শ্বাস
অন্তত রেখে যেতে পারতিস, আলমারি ফাঁকা কেন, বালিশে
খোঁপার তেল নাভির তিল কাকেই বা দিলি, চেনাই গেল না
তোর মনের কথাও, টুথব্রাশে কন্ঠস্বর নেই, চটিতে নাচও
দেখতে পেলুম না, এমন কষ্ট দিস কেন অবন্তিকা, চুলের
নুটিতে থাকত ডাকনাম, ফুলঝাড়ু চালিয়েও সাড়া পাচ্ছি না,
অফিস যাবার রাস্তা এসে তোর জন্যে মাকড়সার জালে
হাতের রেখা সাজিয়ে চলে গেল তোরই মুখের ইলিশস্বাদ
নিয়ে। আরে, ওই তো, যে-ছোকরার সঙ্গে পালিয়েছিলি তুই
তারই জুতোর ছাপের স্বরলিপি মার্বেল মেঝেয় আঁকা…

         মলয়ের বিখ্যাত কবিতা ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ যে কবিতাটির জন্য মামলা-মোকদ্দমা হয়েছিল, পরবর্তীকালে আনন্দ বাগচীর ‘প্রথম সাড়া জাগানো কবিতা’ গ্রন্হে সংকলিত হয়েছে । আনন্দ বাগচী আমার কলেজ জীবনের বন্ধু । তিনি ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকার প্রথম দিকে যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন, পরে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতের সঙ্গে মিল না হওয়ায় তিনি ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা থেকে সরে যান । ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ তাঁর গ্রন্হে সংকলিত করার জন্য প্রথমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অনুমতির প্রসঙ্গে তুলেছিলেন । মলয়ের কবিতার কোনো কপিরাইট নেই, অতএব অনুমতির প্রসঙ্গে ওঠে না । অধ্যাপক বাগচীর গ্রন্হটিও পাঠক মহলে অনায়ারে আলোড়ন তুলেছিল । কিন্তু ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কেন আলোড়ন তুলেছিল, কী তার বৈশিষ্ট্য, অনেকে হাংরি আন্দোলনের সময় থেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন । ঢাকার একটি ওয়েবসাইটে এই কবিতাটি নিয়ে ছয় বৎসর যাবৎ তর্ক বিতর্ক চলছে ।
         আমার মনে হয়েছে এই কবিতাটি বাংলা কবিতার বাঁক বদলের অন্যতম দিশাচিহ্ণ । রবীন্দ্রনাথ বাংলা কবিতার পাঠগতি বা স্পিডকে মন্থর করে দিয়েছিলেন । মলয়ের কবিতার পাঠগতি বা দ্রুতি ঢের বেশি । প্রাক-আধুনিক কবিতার গতি কবিয়ালদের বা প্রান্তিক মানুষের পদ্য, নাচ, গান ইত্যাদির মতো দ্রুতিসম্পন্ন। মলয়ের এই কবিতার শব্দ-নির্বাচন এমনই যে, সে গতি বা স্পিডকে কার্যকরী করে তুলেছে । বনলতা সেন, সুপর্ণা, নীরা এরা কবির যেন বা নিজস্ব নারী । জীবনানন্স স্পষ্টতই বলেছেন, তাঁর নায়িকা সবার নয় । ‘কী কথা তাহার সাথে, তার সাথে’, ‘ওইখানে যেওনাকো তুমি’ । কবি ও পাঠক এবং বনলতা যেন একতন্ত্রী এবং সম্পর্কের সুরে একরেখিক । ‘ছুতার’ ( ছুতোর ) দ্যোতকটি শিল্পবিরোধিতার জন্য ব্যবহার করেছেন মলয় । আর গতি স্বভাবতই চিৎকার-নির্ভর । চিৎকার এখানে ছন্দের অনুষঙ্গ । শ্বাসপ্রশ্বাসকে পাঠগতির সঙ্গে পাঠক এমনভাবে স্বয়ং ধাতস্হ হয়ে যায় যে, প্রচলিত অর্থে আমরা বলতে পারি, পাঠ-ছন্দসম্পন্ন । বরং বলা যায় কবিতাটি পপচলিত ছন্দ, থিম, প্রতীক, উপমা এসবকে গুরুত্ব না দিয়ে সেই সময়ের মেইনস্ট্রিম কবিতার প্রতি চ্যালেঞ্জরূপে আবির্ভূত হয়েছিল । 
         মনে রাখা প্রয়োজন এই কবিতাটির জন্যি কবিকে রাস্তায় কোমরে দড়ি দিয়ে, হাতে হাতকড়া পরিয়ে হাঁটিয়ে-হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল থানা পর্যন্ত এবং পরের দিন থানা থেকে আদালত অব্দি । কবিতাটির ধরনধারণ ইতিপূর্বের প্রেমের কবিতার নির্ধারিত ক্যাননের সঙ্গে মেলে না ।
         এই কবিতাটি সম্পর্কে লালবাজারে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কিছু বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক । মলয় তাঁর ‘আমার জেনারেশনের কাব্যদর্শন’ এবং কবিতার বিনির্মাণ সম্পর্কে বেশ কিছু প্রবন্ধে স্পষ্টত ঘোষণা করেছিলেন, তিন থেকে পাঁচ দশক অব্দি তৈরি কবিতার পাতিবুর্জোয়া চেতনার মডেল তিনি ক্রমশ বদলে ফেলতে চান ।
         প্রেম ওই কবিতার স্ট্র্যাটেজি, কেন্দ্র নয় । এজন্যই পপচলিত পাঠবোধ থেকে কবিতাটি পড়ে তাঁরা বিস্মিত হয়েছিলেন । সেই সময়ে আলোচক দীপ্তি ত্রিপাঠী আমার কবিতা পড়েও বলেছিলেন, ‘কবিতাটির মধ্যে অসংলগ্নতা রয়েছে, যুক্তিক্রম মেনে লেখা হয়নি ।’ পাটনায় থাকার সুবাদে মলয় ভোজপুরি মাগধি ইধসকে অনায়াসে কাজে লাগিয়েছিলেন এই কবিতার প্রান্তিক অবস্হান নির্ণয়ে । প্রথম পঙক্তি থেকেই কবিতাটি আক্রমণাত্মক । আধিপত্যকেন্দ্র ও প্রণালীকে বিস্হাপনের প্রয়াস । পাঠবোধকে ডিস্টেবিলাইজ করার ঝাঁকুনি । কবিতাটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে নারী-শরীর সংশ্লিষ্ট এমন অনেক শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে যা ছয়ের দশকের আগের পাঠবোধকে বিচলিত করে ; যে পাঠবোধের মধ্যে ছিল ভালো-খারাপ, শ্লীল-অশ্লীল ইত্যাদি বাইনারিবোধ । হাংরি আন্দোলন এই বৈপরীত্যবোধকে আক্রমণ করে । ‘আমি’ হচ্ছে কবিতার মধ্যে একটি সবজান্তা দ্যোতক । এই দ্যোতকটিকেই আক্রমণ করেছেন মলয় ।
         বনলতা সেন, নীরা ইত্যাদির সঙ্গে শুভাকে গুলিয়ে ফেলা উচিত হবে না । কেননা শুভা সম্পর্কে সাধারণ পাঠক যা জানতে চাইবেন তা হল কতকটা পূর্বপাঠের কবিতার নারীদের মতো । অথচ শুভা বাংলা কবিতার ঠক বিপরীত মেরুতে । যেমন খ্রিস্টধর্মে মেরি ম্যাগডালেন, তেমনই ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কবিতার শুভা ।
         শুভা প্রধান চরিত্র নয় -- শুভার জায়গায় যেকোনো নারীবাচক নাম প্রয়োগ করা যেতে পারে । সাধারণ পাঠক শুভাকে কবিতার কেন্দ্র হিসাবে অনুমান করেন, বনলতা বা নীরার আইডেনটিটির মতো ভাবেন । মলয় তো শুভাকে কবিতার কেন্দ্র করে তোলেননি । বনলতা বা নীরা সেই কবিতার প্রাসঙ্গিক কবিতার কেন্দ্র । শুভাকে মলয়ের আর কোনো কবিতায় পাবে না । এখন তো মলয়ের কবিতায় পাঠক ‘অবন্তিকা’কে পাবেন ।
         অবন্তিকাকে নিয়ে মলয় যে কবিতাগুলো লিখেছেন এবং সেই কবিতাগুলো সংকলিত করে রোহন কুদ্দুস পপকাশিত মলয়ের কাব্যগ্রন্হের নাম ‘ছোটোলোকের কবিতা’, যেখানে প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘ডেথমেটাল’ এবং প্রথম পঙক্তি ‘মুখপুড়ি অবন্তিকা চুমু খেয়ে টিশ্যু দিয়ে ঠোঁট পুঁছে নিলি?’    
               
মুখপুড়ি অবন্তিকা চুমু খেয়ে টিশ্যু দিয়ে ঠোঁট পুঁছে নিলি ?
শ্বাসে ভ্যাপসা চোখের তলায় যুদ্ধচিহ্ণ এঁকে ডেথ মেটাল মাথা দোলাচ্ছিস
চামড়া-জ্যাকেট উপচে লালনীল থঙ গলায় পেতল-বোতাম চোকার
ঝাপটাচ্ছিস সেক্যুইন গ্ল্যাম রকার খোলা চুল কোমরে বুলেট বেল্ট
বেশ বুঝতে পারছি তোকে গান ভর করেছে যেন লুঠের খেলা
স্ক্রিমিং আর চেঁচানি-গান তোর কার জন্যে কিলিউ কিলিউ কিল
ইউ, লাভিউ লাভিউ লাভ ইউ কাঁসার ব্যাজ-পিন কব্জি-বেল্ট
কুঁচকিতে হাত চাপড়ে আগুনের মধুর কথা বলছিস বারবার
আমি তো বোলতি বন্ধ থ, তুই কি কালচে ত্বকের সেই বাঙালি মেয়েটা ?
কোথায় লুকোলি হ্যাঁরে কৈশোরের ভিজে-চুল রবীন্দ্রনাথের স্বরলিপি
কবে থেকে নব্বুই নাকি শুন্য দশকে ঘটল তোর এই পালটিরূপ !
পাইরেট বুট-পা দুদিকে রেখে ঝাবড়া চুলে হেড ব্যাং হেড ব্যাং হেড ব্যাং
ঝাঁকাচ্ছিস রঙিন পাথরমালা বুকের খাঁজেতে কাঁকড়া এঁকে–
পাগলের অদৃশ্য মুকুট পরে দানব-ব্লেড বেজ গিটারে গাইছিস
বোলাও যেখানে চাই হাত দাও প্রেম-জন্তুকে মারো অ্যানথ্র্যাক্স বিষে
মেরে ফ্যালো মেরে ফ্যালো মেরে ফ্যালো কিল হিম কিল হিম কিল
কিন্তু কাকে বলছিস তুই বাহুতে করোটি উল্কি : আমাকে ?
নাকি আমাদের সবাইকে যারা তোকে লাই দিয়ে ঝড়েতে তুলেছে ?
যে-আলো দুঃস্বপ্নের আনন্দ ভেঙে জলের ফোঁটাকে চেরে
জাপটে ধরছিস তার ধাতব বুকের তাপ মাইক নিংড়ে তুলে
ড্রামবিটে লুকোনো আগুনে শীতে পুড়ছিস পোড়াচ্ছিস
দেয়াল-পাঁজিতে লিখে গিয়েছিলি ‘ফেরারি জারজ লোক’
ভাঙা-চোরা ফাটা বাক্যে লালা-শ্বাস ভাষার ভেতরে দীপ্ত
নিজেরই লেখা গানে মার্টিনা অ্যাসটর নাকি ‘চরমশত্রু দলে’
অ্যানজেলা গস কিংবা ‘নাইট ইউশ’-এর টারজা ট্যুরম্যান
লিটা ফোর্ড, মরগ্যান ল্যানডার, অ্যামি লি’র বাঙালি বিচ্ছু তুই
লাল-নীল-বেগুনি লেজার আলো ঘুরে ঘুরে বলেই চলেছে
তোরই প্রেমিককে কিল হিম লাভ হিম কিল হিম লাভ হিম লাভ
হিম আর ঝাঁকাচ্ছিস ঝাবড়া বাদামি চুল দোলাচ্ছিস উন্মাদ দু’হাত

         পাঠক লক্ষ করবেন ‘মুখপুড়ি’ শব্দের প্রয়োগ । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নীরাকে এভাবে সম্বোধন করতে পারতেন না । পাঠক লক্ষ করবেন ‘মুছে’ শব্দের জায়গায় ‘পুঁছে’ শব্দের প্রয়োগ । আমার ‘টিনিদির হাত’ গল্পে আমর প্রফেসার্স লেনের বন্ধুরা ইমলিতলাকে বলতেন ‘ছোটোলোকদের পাড়া’ । এখন তো শুনছি ‘ছোটোলোকের কবিতা’ নিঃশেষিত । সাধারণ পাঠক তো অবন্তিকার পৃথক আইডেনটিটি নিয়ে ভাবতে চাইবেন না । আমার মনে হয় শুভাকে এই পরিসরের মধ্যে স্হাপন করলে আইডেনটিটি কোড পালটে যাবে । ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কবিতার সপ্তম পঙক্তি স্হিতাবস্হা থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিতবহ --- ‘সমস্ত নোঙর তুলে নেবার পর শেষ নোঙর আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে’। শুভার বহুরৈখিক সত্বাকে স্পষ্ট করার জন্য নন্দিতা এবং আলেয়া নাম্নী আরও দুটি নারীর উপস্হিতি রেখেছেন মলয় ।
         জীবনানন্দ তাঁর কবিতায় সূর্য ও তপতীর সম্পর্কের গণিত প্রয়োগ করেছেন । সেখানে ‘সূর্যকরোজ্জ্বল’, ‘জয়জয়ন্তীর সূর্য’ ইত্যাদি শব্দবন্ধ প্রয়োগ করেছেন । ‘প্রচণ্ড বৈদভুতিক ছুতার’ কবিতায় দেখা যাচ্ছে অনভ ধরণের পঙক্তি, ‘শুভার স্তনের ত্বকের মতো বিছানায় শেষবার ঘুমোতে দাও আমায়/জন্মমূর্তের তীব্রচ্ছটা সূর্যজখম মনে পড়ছে’। বাংলা কবিতার আগে সেই সময়ের মেইনস্ট্রিমে যে  নায়িকাদের অবস্হান ছিল    তা মলয় বদলে দিলেন । মরিয়া মারমুখি আঞ্চলিক এথনিসিটির ভিন্নতাকে তুলে ধরলেন ।
         অনুষঙ্গগুলি এযাবৎ অচেনা ছিল এই মেজাজের কবিতায় । ‘যোনিকেশরে কাচের টুকরো’, ধাবমান ছবি, আধোবোজা নারী -- কবিতাটি সময়চেতনাকে আমল দিয়েছে । এখান থেকে মলয় পরে সরে গেছেন পরিসর চেতনার দিকে । ফলে কবিতাটি সেই সময়ে, এমনকি আজও, বঙ্গীয় পাঠকসমাজের কাছে সাংস্কৃতিক সমস্যাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে । সমস্যা আজও সেই একই জায়গায় । কোথাও না কোথাও আধিপত্যকেন্দ্র স্বয়ং উপলব্ধি করেছে এই ব্লান্ট যথাস্হিতি ।
         ‘প্রচণ্ড বৈদভুতিক ছুতার’ কবিতাটি প্রসঙ্গে আর একটি দৃষ্টিকোণ মনে রাখতে হবে । মলয় ইংরেজি অনুবাদে নাম রেখেছিলেন ‘Stark Electric Jesus’, কারণ যিশু ছিলেন ছুতোর । কনভেন্টে পড়ার সময়ে চার্চে গিয়ে বাইবেল ক্লাস করতে হত । মলয় কবিতাটিতে খ্রিস্টধর্মের ক্যানন প্রয়োগ করেছেন । যিশুকে কাঁধে করে ক্রস বইতে হয়েছিল । মলয়কে হাতে হাতকড়া, কোমরে দড়ি বেঁধে হাঁটানো হয়েছিল । যিশুর জীবনে যেমন মেরি ম্যাগডালেন, তেমন মলয়ের কবিতায় শুভা বা অবন্তিকা । মেরি ম্যাকডালেন যিশুর প্রেমিকা ছিলেন না, জীবনের কেন্দ্রে ছিলেন না । মেরি ম্যাকডালেন ছিলেন সবার কাছে অবারিত । তিনি বনলতা সেন বা নীরার মতি সাধ্বী ইমেজে বিলং করেন না । সেদিক থেকে দেখতে গেলে কবিতার নারীকে মলয় মুক্তি দিয়েছেন, স্বাধীনতা দিয়েছেন, স্বনির্ভরতা দিয়েছেন ।                                                                       
       

                                                   

                                                                           

                       
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                           

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন