বৃহস্পতিবার

হাংরি আন্দোলনের কবি সমীরণ ঘোষ সম্পর্কে রাজা সাহা

নিজের চেনা-জানা জগৎ নিয়ে দারুন সন্দিহান আমি। এত বেশি অজানার মধ্যে দিয়ে হাঁটলে বোধহয় এমনটাই হয়। তাই খোঁজ চলে, চলবে শেষ দিন পর্যন্ত। আমি নিয়তিতে বিশ্বাসী নই। তবে জানিনা কিসের খেলায় কখনো সখনো আমার হাতেও এসে যায় আলাদিন'এর চেরাগ। যেমন একদিন পেয়েছিলাম কবি সুজিত অধিকারীর ' ডাউন ট্রেনের কামরায় '। আর তারপর বাকিটা ইতিহাস... 

দেড় দু মাস আগে মৃত প্রায় কবি বন্ধুর জন্যে মানবিক সাহায্য চাইতে হাজির হয়ে ছিলাম এক কবি সভায়। বিশেষ লাভ হয়নি। কিন্তু ওই সভাতেই পরিচয় হয় কবি সব্যসাচী ঘোষ'এর সাথে। সেই সময় যখন প্রায় সব নামি দামি মুখগুলি নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে সুচতুর কৌশলে , তখন দেখলাম সব্যসাচী নিজের জায়গা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে অসুস্থ কবির পাশে থাকার। এই কারনেই ওকে আলাদা করে মনে রাখা এবং ফোনের মাধ্যমে বন্ধুত্ব জমে উঠা। 

ফোনেই ঠিক হয় একদিন মালবাজার'এ (সব্যসাচীর শহর) জমিয়ে আড্ডা দেবো। সময়- সুযোগ হয়ে গেলো এক সোমবার। মালবাজার বাস স্ট্যান্ড'এ আমাদের কবিতা আড্ডা শেষ হওয়ার পর সব্যসাচী আমাকে ওর বাড়ি নিয়ে যায় আর সেখানেই আবার আরো এক আলাদিন এর চেরাগ আমার হাতে চলে আসে।

কবি সমীরণ ঘোষ(সম্পর্কে সব্যসাচীর বাবা)। বারুদে ঠাসা এক কলম। উত্তরবঙ্গে হাংরি জেনারেশন এর উজ্জত্ম প্রতিনিধি। আমি জেনে একই সাথে অবাক ও গর্বিত যে কবি সমীরণ ঘোষ শহর শিলিগুড়িতে দীর্ঘ দিন বসবাস করেছে। অনেক তথ্য জানাছিলোনা। জানতে দেওয়া হয়নি না কি আমার জানতে চাওয়ায় খামতি ছিলো, সে বিতর্ক ভুলে গত দুদিন ধরে মেতে আছি সমীরণ বাবুর কবিতায় বা বলা ভালো আগুনে

*বন্ধু'দের জন্য রইল কবির দুটো কবিতা আর কাব্যগ্রন্থ'এর ছবি
[পোস্টটা করেছি মুলত সেই সব বন্ধু আর ভাইদের কথা মাথায় রেখে যারা বারুদের খোঁজে কবিতার বই এর পাতা ওল্টায়]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন