সোমবার

দুই বাংলাদেশি ইডিয়ট ও হাংরি আন্দোলন

 দুই বাংলাদেশি ইডিয়ট



বেলাল চৌধুরী আর চয়ন খায়রুল হাবিব, দুজন বাংলাদেশী,  তাদের কথাবার্তা একটা সাইটে প্রকাশ করেছে । বেলাল চৌধুরীকে কৃত্তিবাসের সম্পাদনার ভার সঁপেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, যাতে কলকাতার বন্ধুদের কেউ পত্রিকাটা দখল না করতে পারে । হাংরি আন্দোলন সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না পলাতক দুটোর।

বেলাল নামের বাংলাদেশি লোকটা সমীর রায়চৌধুরী সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেনি । লোকটা ছিল বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের খুৃঁটি ।  ২০১৪ সালে পেয়েছে সেদেশের একুশে পদক আর ১৯৮৪ সালে কবিতায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার । 

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাজে লাগতো যখন উনি বাংলাদেশে যেতেন । চাকরের ।

বেলাল চৌধুরী যেমন দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল, তেমন চয়ন খায়রুল হাবিবও  দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল যখন পাকিস্তানিরা অপারেশন সার্চলাইট আরম্ভ করে । 

দেশ স্বাধীন হলে চয়ন খায়রুল দেশে ফিরে ইউসুফ জুলেখার উল্টো বয়ানের নাটক লেখে । ইউসুফ জুলেখার প্রেম কাহিনিতে জুলেখাকে সবসময় একই ভাবে বর্ণনা করা হয়। কিন্তু খায়রুলের নাটকে  বর্ণনা খানিকটা ভিন্ন। এতে জুলেখা একজন লেখক। তাকে ধরে এনে রিমান্ডের মতো করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মূলত এ জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে পুরুষশাসিত এ সমাজে নারীর নিগৃহীত অবস্থানকে তুলে ধরা হয়েছে।

অতএব আমাকে আর দাদা সমীর রায়চৌধুরীকে নিয়ে বেলাল-চয়ন উল্টো বয়ান দিয়েছেন, এবং তা এইরকম:

শীলা চট্টোপাধ্যায় যে সমীর রায়চৌধুরীর শ্যালিকা, আর শক্তি চট্টোপাধ্যায় যে তিন বছর সমীর রায়চৌধুরীর চাইবাসার বাসায় ছিলেন তা বেলাল চৌধুরী জানতো না নাকি ! ঢাকায় আবার বেলালকে নিয়ে শুনি নাচন-কোদন হয়।।

চয়ন : এটা মজার, কৃত্তিবাসের একটা প্রধান অংশই সুনীলকে না জানিয়ে হাংরি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল।শক্তি, সন্দীপনও চলে গিয়েছিল।কিন্তু ঐসব ইস্তাহার তো পড়া যায় না, এতই পচা।সুনীলকে ওরা জানায় নি কেন?

বেলাল :  ঈর্ষা, ভয়।সমীর আবার সুনীলদার বন্ধু ছিল।“ধর্মে আছি, জিরাফে আছি” নিয়ে শক্তির তখন সাঙ্ঘাতিক অবস্থা, এক বসায় দশটা কবিতা লিখে ফেলছে। ও বুঝে গিয়েছিল সমীর, মলয়দের হাতে লেখা নেই।ও বুঝেছিল যে হাংরিদের সাথে থাকলে ওর কবিতা ধ্বংস হয়ে যাবে।খুব সম্ভবত সেই প্রথম শক্তি সুনীলদার কবিতার ক্ষমতা বুঝতে পেরেছিল।ও আবার ‘কৃত্তিবাস’ বলয়ে ফিরে আসে।টাইম ম্যগাজিন বিটদের কথা বলতে গিয়ে হাংরিদের সম্পর্কে বলেছিল।ঐটুকুই। লেখা কই? বোগাস।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন