শুক্রবার

হাংরি আন্দোলন সম্পর্কে কৌশিক সরকার

 

    আমি নিজে দারুণ ক্ষুধার্ত কিন্তু ক্ষুধার্তদের সম্পর্কে আমার কোনো ইলুসান নেই ওরা কেউ গদ্য লিখতে জানে না কবিতাও শৈলেশ্বর দুর্দান্ত লিখলেও উত্তর জীবনানন্দ পরিসরে সে ঢুকতে পারেনি প্রিমিটিভ ফোর্সকে পাথেয় করে দুঃস্বপ্নকে যতদূর চারিয়ে দেওয়া যায় ইতস্তত নিরক্ষর ষাঁড়ের গোঁয়ার অ্যারেনায় কিন্তু ওতে বাংলা কবিতার ভাগবত তথা পাগান তাগৎটুকুই কেবল মূর্ত হয়ে ওঠে বাসুর কথা ধরো ও যতক্ষণ সন্দীপনকে নকল করেছে ততক্ষণ ভাল লিখেছে কিন্তু তারপর হেজে গেল সুভাষের প্রোজ অনেকদূর যেতে পারত পেট্রন না পেলে মোদোকেলানে হয়ে লাভ নেই শক্তি মদখোর হয়েও নিজকে ফিউএল করে ভস্মীভূত লিখে গেছে আগুন কবিতা অহোরাত্র বহ্নি সেবন ওদেশে যেমন জ্যাক কেরুয়াক তুমুল হুইস্কি অ্যালকোহলিক অথচ কী চূড়ান্ত মিউটেটিভ প্রযোজনা অন দা রোড থেকে বিগ সার এর শিফটটা একবার খতিয়ে দ্যাখো গাড়ির চেয়ে ক্ষিপ্র পিকাপে মনের সুখে অ্যাকসিলারেটরে পা দাবিয়ে লেখা ততোধিক দাঁড়িকমাহীন সমস্ত ট্রাফিক আইন লালবাতি লঙ্ঘন করে ও নিজেকে প্রুস্তিয়ান বলত আসলে ওর গদ্য ওলট-পালট মেলটিংপট একদম পেনেলোপির তুল্য অনর্গল কেরুয়াক একের পর এক ড্রাংকন বাউটে জীবন জিনিয়াস জলদি ফুঁকে দিলেও জান লড়িয়ে লিখে গেছে ওদেশে লোকে জানে ঢেলে লিখলে টিঁকে যাব আর ওরা পড়াশোনা কখনো থামায় না মরতেও ভয় পায় না এখানে সেলিন পড়ে কী শিখল বাসু সুভাষ নাথিং সব কটা ছাপোষা বিপ্লবী কারুর বিয়ে পর্যন্ত ভাঙল না অথচ অন দা রোড শুরুই হচ্ছে মাগির সঙ্গে স্প্লিট আপ দিয়ে তফাৎটা বোঝো এরা সবাই ভাল বর যেমন সুনীল শ্যামল সন্দীপন কারুর ডিভোর্স হয়নি সুনীল অবশ্য রাজ খুলাসা করেছে যে বহুবার দাম্পত্য বিপর্যস্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত ভরাডুবি হয়নি কারণ বড় ফাটল কখনো ধরেনি আসল কারণটা হল সুনীল আলটিমেটলি বলেছিল খরচ দু হাত করো কিন্তু হিসেব লেখার দরকার নেই যখন যেমন আমদানি তত্র অপব্যয়, ক্লিয়ার! খরচের পাই ফয়সলার খতিয়ান লিখে দেহমন কালিসার করতে হবে না; মেয়েরা আর কী চায় ব্ল্যাঙ্ক চেক আমার বেশ মনে আছে আমি যমের অরুচি বলেই বলছি এসব কক্ষনো লিখতে হয় না আমি হয়্বান দুরাত্মা যখন আর্ট কলেজে পড়ি আমি লিজাকে রোজ লাগাতাম একদিন সে হাত পাতলো অর্থাৎ পয়সা দে আমি তো হতবাক খুব হার্ট হয়েছিলাম কিন্তু পরে ভেবে দেখেছি আমিই পাপী মিয়া কালপা যেকোনো রিলেসানের অনটলজিকাল বেসিসটাই হচ্ছে পওসা আমি ফোকতাই চুদেছি এই জন্য মীনাক্ষী বলেছিল জিব খসে যাবে! শক্তির ভয় আমার পিছু নিয়েছে পড়েছ জীবনানন্দ ফেল এত সটান হটেনটট পিশাচসিদ্ধ নটবায়োগ্রাফি টোটটাল পোয়েট্রি বলতে ঠিক যা বোঝায়: অন্তর্ধান! শক্তি জানত কোথায় কোন ভাবে জীবনানন্দকে সারপাস করা যায় ও ব্যাটা ভাড়ুয়া ছিল না বিয়ে ভাঙলে ভাঙবে আমি পারসনালি ক্ষুধার্তদের খুব সমর্থক কিন্তু তারা মিয়ার এনার্কিস্ট এমনকি পলিটিকালি ইনকরেক্ট বাসু তো সিপিএম হয়ে গেসল এত বড় বিপ্লবী আসলে ওয়েস্টার্ন লিটরেচারকে রিঅ্যাপ্রপ্রিয়েট করতে পারেনি কোনো ব্যাটাই এদিকে বাংলা সাহিত্যও পড়েনি আমি যেমন অ্যালাও মি খারাপ লাগলেও রবীন্দ্রনাথ পড়ি ওটা আমার গঙ্গার স্বরের নিজস্ব লেগ্যাসি মলয়দার কবিতা আমি পড়িনি খুব বলতেন প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার নিয়ে বিস্তারিত ছবি আঁকতে আমি আমল দিইনি অতএব ট্যাগ করেছ ভাল কথা কিন্তু ও লেখাটা সৃজিতের বাইশে শ্রাবণ না কী একটা ছবি ছিল দেখেছ তো আর তার এক্সট্রাটেরেস্ট্রুয়াল চরিত্র গৌতম ঘোষ যেখানে ভেটেরান ফ্রাস্ট্রু হাংরি কবির যে ভারসান ইতিহাস কথিকা হাজির করেছে বাসবের লেখাটা তার চেয়ে বেশি সত্য নয় যে যতটুকু জানে কী আর করা যাবে এভাবে সাহিত্যের ইতিহাস বারবার তলিয়ে যায় বিবিধ ডিজগাইসে আত্মবিস্মরণের আর্কাইভ থেকে তাকে পুনরুদ্ধার করো...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন