সোমবার

সোনালী মিত্র : মলয় রায়চৌধুরীর জন্মদিন

প্রিয় মানুষ, প্রিয় কবি, অজস্র সৌরবছর তোমার জন্মদিনের উৎসব আলোক বর্তিকা হয়ে ফুটে থাকুক প্রতিটি সাহিত্যমননে। প্রেম জেনো, শ্রদ্ধা জেনো,প্রণাম জেনো, ভালোবাসা জেনো। কিই বা দিতে পারি! বারবার উৎসর্গ হোক কলম তোমার পায়ের কাছে। ক্রমশ উর্দ্ধ সত্তরের প্রেমে ডুবে যাচ্ছে বসন্তবর্ষীয় আয়ু, সারসার দিয়ে রক্তকীট ...বাস্তুতন্ত্রের বিষাক্তফণা ধেয়ে গেল গঠনপক্ত মধ্যে তিরিশের দিকে ,তাদেরও হারিয়ে দিতে পারে বুকে লাটখেয়ে যাওয়া তোমার সাদা চুলের ঘোড়া। ছুটছে ,ছুটছে ছত্রপতি শিবাজি চত্বর পেরিয়ে মহানভারত দরজায় উড়িয়ে দিচ্ছে সবুজ পতাকার স্নেহ। পতাকার দন্ডে আত্মমৈথুনরত সাহিত্যচেতনা। থ্রিজি নেটওয়ার্কেও কেন গিলে নিতে পারছি না সমগ্র তুমিকে! পিচ্ছিলজাত পরমান্নে ফসকে যাওয়ার খেলা। উফ! আর পারছি না কেন!জ্বলে যাচ্ছে সৃষ্টিশীল তুরুপ? কেন ডুবে যাচ্ছি তোমার মধ্যে? তোমার থেকে তোমার আগুন জ্বলানো বীর্যক্ষয়ী শব্দের শরীরে? সেখানে আউসের শীষে সোনালী শিল্পের ক্ষণজন্ম তেমন ভাবে জরুরী কি? সেখানে আমাদের মত সহস্র তামাটে চামড়ার ছড়াছড়ি যারা চিচিং ফাঁক মেলে ধরে সিঁধিয়ে নিয়েছিল ছয় ফুট আট ইঞ্চির আত্মঘাতী ধাতব সমীকরণ ... দশেরার রাবণ মারতে মারতে আমিও পুরুষ বিরোধী হয়ে উঠছি সময়? আমিও সেঁটে নিচ্ছি তকমা !নারীবাদী হলে কতটুকু লাভ চেটেপুটে নেওয়া যায় ক্যালকুলেশনে বইয়ে দিচ্ছি ফেসিয়ালে লোমতোলা মোম ত্বক! আমার শিরায় -প্রতিশিরায় একশ ছিনে জোঁক বাসা বাঁধবে বলে নি, আমার জঙ্ঘার মধ্যবিত্ত গুহায় ঘোলা রসে তোমার নাম নিয়ে প্যান্টি ভিজিয়ে যাবে এমন ও ঘটে নি প্রিয় পুরুষ। তবুও তোমার প্রেমে পড়া যায়! গত এককুড়ি রমনীর মত বুকের ওড়না সরিয়ে বলতেই পারি আমিই বা কম কিসে! যারা তোমার শীতঘুম ভাঙণের অহরহ নায়িকা , চোখ তুলে দেখ নব্বই মিলিয়ন উষ্ণতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি শূন্যদশকের খাতা জুড়ে।একশ শ্বাপদ হামলে পড়েছে নারীর রাসালো খাদ্যের দিকে। সন্ধ্যারতি থেকে ভোরের নামাজে তক ছুড়ে দিচ্ছে মুঠোমুঠো উপঢৌকন উপাচারে। আমি ওদের পাত্তা দিই না.... তোমার কথা ভেবে,বালিসে চুমু খেতে খেতে এটা তো জানি কগজের গায়ে উষ্ণতা দিতে সক্ষম বলেই আমার আগে ও পিছের রাধাবিন্দুর একচ্ছত্র সম্রাট তুমি। অগ্রজ "শুভা" মহলক্ষ্মী হলে তুমি শঙ্খ -চক্র -গদা - পদ্মে তেভাগার নারায়ন , রূপের পরে কয়েকটা শূন্য বসালেই জলন্ত সূর্যের তাপ ক্রমশ হ্রাস। তখন কাকে আগ্রাধিকার দিয়ে বলবে প্রিয় তোর শ্রীমুখ ঐশ্বর্যের উপর অন্নপূর্ণা! ঐশ্বর্যের উপর নিটোল ফিগার এঞ্জেলিনা তথাস্ত ঠোঁটের আগমন! না মশাই কেবল রূপের মহিমা নই... সন্ন্যাসী এবং শরীরখোড় ঈশ্বর এলেও তরতর করে লিখে যেতে পারি বিশ্বাসঘাতিনী শব্দ। তোমার মত একচাদরের নীচে নারী ও শিল্পকে সঙ্গমরত করে বলতে পারি নারী ও শিল্পের মত বিশ্বাসঘাতিনী আর কিছু নেই. প্রেমিকার চোখের দিকে চোখ রেখে জেগে ওঠা পুরুষাঙ্গের মত অস্থির কলমের দিব্যি -ঘাড়ের নীচে কামড়ে ধরে থাকা ক্ষুদার্থ বাঘিনীরদল তোমার শিরদাঁড়া ভাঙা জন্তুটাকেও নাড়িয়ে চাড়িয়ে তারাও বলতে পারে- যৌবন থেকে শিল্প পযর্ন্ত গল্পকে টেনে নিয়ে যাওয়াও একটা আর্ট, যৌনতা থেকে কবিতা পর্যন্ত সৃষ্টিকে সফলতা দেওয়াও একটা আর্ট। শুধু সেখানেই তুমি-আমি কি সফল! "ওরা"বলে, নষ্ট শব্দের কচকচি ঘাঁটার চেয়ে তোমার আর্থ্রাইটিস ভোগা অঙুল ঢের বেশি ভাল। যাদের জড়িয়ে বলতে পারি, যে শিশুদের জন্ম দিয়েগেল বাতক্ষয়িত আঙুল তারা তোমার বীর্যের চেয়েও দামী। শ্লেষ্মা কষ্টে হৃদপিণ্ড জাগা বুকে শেষ বারের মত ভরে নাও বিশুদ্ধ অক্সিজেন আর একবার তোমার নীচে আরাম গ্রহণকারিনী নারীটিকে ভেবে ছড়িয়ে দাও বীর্য ৩০০০০০০ শিশু উড়ে যাক গ্রিক মিথোলজির দিকে সাবর্ণ লাম্পট্য আমপ্লিফিয়ার ছিঁড়েখুড়ে নারীর পরম মমতার দিকে বেঁচে থাক মাইলের পর মাইল নায়িকা ও পুরুষের পুনঃমিলনের পরে সৃষ্টি ইতিহাস।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন